অ্যান্ড্রয়েড হলো স্মার্টফোনের জন্য তৈরি এক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম। এই অপারেটিং সিস্টেমে মিডলওয়্যার (একাধিক অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে সহজ যোগাযোগের জন্য মিডলওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে) ও কিছু বিল্ট-ইন অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেম বলতে বোঝায় কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পরিচালনাকারী কতকগুলি কম্পিউটার প্রোগ্রামের সমষ্টিকে। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারীর থেকে ইনপুট নেয় এবং বিভিন্ন কাজ ও কম্পিউটারে অভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে পরিচালনা করে ব্যবহারকারী ও অন্যান্য প্রোগ্রামকে পরিষেবা দেয়।
মনে রাখতে হবে, অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কোনও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (লেখালিখি, ছবি আঁকা ইত্যাদি দৈনন্দিন কাজের জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে) চলবে না। অপারেটিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলি তৈরি করা হয়। নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার নির্দিষ্ট একটি অপারেটিং সিস্টেমের উপরই ভিত্তি করে চলে। তবে আজকাল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে মোটামোটি সব অপারিটং সিস্টেমই সেগুলো চলে। ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটার যেমন, উইন্ডোজ এক্সপি, ভিসতা, উইন্ডোজ ৭, ম্যাক ওএস, লিনাক্স নামের বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে চলে তেমনি স্মার্ট মোবাইল ফোনও (স্মার্টফোন) অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে নিয়ে আসে গুগল। স্মার্টফোনের আরও কিছু অপারেটিং সিস্টেম, নোকিয়ার সিম্বিয়ান, অ্যাপলের আইওএস, মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ফোন ইত্যাদি।
আমরা কম্পিউটারে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করি। যে সফটওয়্যারগুলির সাহায্যে আমরা ব্যবহারিক কাজ করে থাকি। প্রতিটি আলাদা অপারেটিং সিস্টেমের প্লাটফর্ম অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। যেমন উইন্ডোজের জন্য তৈরি সফটওয়্যার ম্যাক বা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে চলবে না। তেমনি আইফোনের জন্য তৈরি সফটওয়্যার অ্যান্ড্রয়েডে চলবে না। অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে এমন সফটওয়্যার, গেম, উইজেট বা অ্যাপসগুলোই হল অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপলিকেশন বা সংক্ষেপে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
গুগলে “অ্যানড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড” নামে সার্চ দিতে অসংখ্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোডের লিঙ্ক চলে আসবে। কিন্তু সব জায়গা থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে আপনার ফোনে ইন্সটল করে অনেক রকম ঝামেলায় পড়তে পারেন, এমনকী আপনার স্মার্টফোনটি সারা জীবনের জন্য ডেড (অকেজো) হয়ে যেতে পারে। তাই না জেনে বা বুঝে যে কোনও ওয়েবসাইট বা লিঙ্ক থেকে অ্যাপস ডাউনলোড না করে গুগল প্লে থেকে সরাসরি ইনস্টল করে নেওয়া ভালো। অ্যান্ড্রয়েড ফ্রি অ্যাপস ডাউনলোড করতে প্রথমে জিমেল বা গুগললগ-ইন করতে হবে। এর পর গুগুল ডট কম–এ গিয়ে গুগল প্লে সিলেক্ট করতে হবে। সেখান থেকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে টপ ফ্রি বাটনে ক্লিক করতে হবে। যে সব অ্যাপস ফ্রি ডাউনলোড করা যাবে শুধু সেগুলো দেখা যাবে। তবে এভাবে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেই ডাউনলোড করা যাবে। এটা ঠিক ডাউনলোড নয়, অ্যাপসটি আপনার ফোনে সরাসরি ইনস্টল হয়ে যাবে।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
রুট শব্দটা এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে। লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে রুট ইউজার বলা হয়। অ্যান্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম থেকে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট পারমিশন মানে সিস্টেম ফাইল এডিট করার অনুমতি আদায় করাকে রুট করা বলে। অর্থাৎ আপনি চাইলে সিস্টেম ফাইলকে নিজের ইচ্ছামতো এডিট করে নিতে পারবেন। এটাকে ফোন হ্যাক করাও বলা যেতে পারে।
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফোনের কেন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পারমিশন “আদায়” করে নিতে হবে? কেন ইচ্ছা করলেই একটা ফাইল ডিলিট করতে পারবেন না? ফোন ম্যানুফ্যাকচাররা আপনাকে অনেক সুবিধা দিলেও কিছু সুবিধা/পারমিশন তারা দেয় না। এটা করা হয় আপনার ভালোর জন্যই। কারণ আগে থেকে আপনাকে ফোনের মধ্যে যা ইচ্ছা তাই করার অনুমতি দেওয়া থাকলে দেখা যাবে আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা সিস্টেম ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারেন, অথচ আপনি শুধু চেয়েছিলেন আপনার ফোন মেমোরি বাড়াতে বা অন্য কিছু করতে। কিন্তু ওই ফাইলটি ডিলিট করার কারণে আপনার ফোনটি কার্যত অকেজো হয়ে গেল। এ ছাড়া আপনি কাস্টমাইজ করতে গিয়ে বা রম ইনস্টল করতে গিয়ে ভুল করলে ফোন ব্রিক (নষ্ট) করে ফেলতে পারেন। এ ছাড়া ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের ঢুকে যেতে পারে। কারণ রুট পারমিশন পেলে আপনি যা ইচ্ছা তাই ইনস্টল করতে পারেন, যার কারণে ম্যালওয়ার ফোনে ঢুকে পড়তে পারে। আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য নষ্ট করা বা পাচার করে দিতে পারে। সাধারণ ভাবে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কারণে কমপিউটারে ম্যালওয়্যার ঢুকে যেতে পারে। প্যাচ এবং কী-জেন ব্যবহার করে সফটওয়্যার আনলক করলে আপনার কমপিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে। তাই প্যাচ এবং কি-জেন করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
রুট করার পর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আপনি এমন সব কাজ করতে পারবেন, যেগুলো করার পর আপনি আপনার নিজের ফোনটিই চিনতে পারবেন না। যা যা করতে পারবেন ---
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
প্রথম কথা হচ্ছে আপনার ফোনে যে ব্যাটারি রিডিং দেখাচ্ছে তা ঠিক নয়। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই ভুল পাঠ দেখায়। আগেকার ফোনগুলোতে চার্জ থাকত অনেক বেশি সময়। কারণ ফোনগুলোর চার্জ হওয়ার ধরন ছিল অন্য রকম। ফুলচার্জ হওয়ার পর ফোনের বিদ্যুৎপ্রবাহ পরিবর্তন হয়ে সর্বোচ্চ চার্জ ধরে রাখার ব্যবস্থা করত। এতে চার্জ হয়ত বেশিক্ষণ থাকত কিন্তু ব্যাটারি লাইফ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যেত।
কিন্তু এখনকার স্মার্টফোনগুলো এমন ভাবে তৈরি যেন ব্যাটারি লাইফ বেশি দিন থাকে। এ জন্য ফুল চার্জ হওয়ার পর ব্যাটারি আর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ নেয় না। ততটুকুই নেয় ফুল চার্জ শো করতে যতটুকু দরকার।
ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখার জন্য আপনি যে কাজগুলো করতে পারেন তা হচ্ছে ---
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে বলতে কী বোঝায়? যারা এই এসডিকে শব্দটি শুনেছেন তাদের কাছে এটি নতুন কিছু নয়। তবে অনেকের কাছেই এসডিকে কী তা নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে। কাকে বলে এসডিকে? তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে(সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট), যার সাহায্যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বা প্লাটফর্মের জন্য অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে-এর মধ্যে সোর্স কোড সহ স্যাম্পল প্রজেক্ট, ডেভেলপমেন্ট টুলস, ইমুলেটর এবং অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্ট বিল্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি রয়েছে।লাইব্রেরি থেকে এগুলিকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ তৈরি করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপলিকেশন জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজে লেখা হলেও অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে সাহায্যে বিল্ড করা হয়। অ্যাড্রয়েডে এপিআই-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন তাদের এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভাল। কাকে বলে এপিআই, এর কার্যকারীতাই বা কী, তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
এপিআই হল, অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। অ্যাপলিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস হল এমন একটি ইন্টারফেস যা কোনও কম্পিউটার, লাইব্রেরি অথবা অ্যাপলিকেশন অন্য অ্যাপলিকেশনকে বিভিন্ন সার্ভিস দেওয়ার জন্য বা ডেটা বিনিময়ের জন্য প্রদান করে হয়ে থাকে।
কীভাবে একটি কম্পিউটার অ্যাপলিকেশন বা এক জন সফটওয়্যার ডেভেলপার ঐ অ্যাপলিকেশনের বিভিন্ন ফাংশনের অ্যাকসেসের পদ্ধতিকে বর্ণনা করা। এর জন্য ঐ অ্যাপলিকেশনের ফাংশনের সোর্স কোড অ্যাকসেস করার বা সোর্স কোডের পূর্ণ ব্যাখ্যা জানার প্রয়োজন পড়ে না। এপিআই একটি অ্যাবস্ট্রাক্ট ধারণা, যে হেতু এটি একটি ইন্টারফেস।
কম্পিউটার প্রোগ্রামাররা প্রায়ই অপারেটিং সিস্টেমের এপিআইকে মেমোরি বণ্টন এবং ফাইল অ্যাকসেস করতে ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সিস্টেম ও অ্যাপলিকেশন এপিআই–এর সুবিধা দেয়। এদের মধ্যে গ্রাফিক্স সিস্টেম, ডেটাবেজ, নেটওর্য়াক, ওয়েব সার্ভিস এমনকী কম্পিউটার গেমস উল্লেখযোগ্য।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন সংস্করণ (ভার্সন) রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েডের আসল ভার্সনের প্রকাশের পূর্বে বেশ কিছু আপডেট দেখা যায়। এই সব আপডেটগুলো মূল অপারেটিং সিস্টেমে চলার আগে পরীক্ষামূলক ভাবে দেখা হচ্ছিল। এই পরীক্ষামূলক ভাবে দেখার সময় যেখানে বিভিন্ন বাগ (সফটওয়্যারের ভুল) ছিল সেগুলি ঠিক করা হয় এবং নতুন ফিচার যোগ করা হয়। সাধারণত, নতুন প্রত্যেকটি ভার্সনের কোড নাম থাকে এর উল্লেখ্যযোগ্য পরিবর্তন এবং বাগ ঠিক করার উপর। আগের আপডেটগুলোর মধ্যে আছে কাপকেক এবং ডোনাট। কোড নামগুলো আবার বর্ণানুক্রিম ভাবে সাজানো যেমন কাপকেক, ডোনাট, ইক্লিয়ার, ফ্রোয়ো, জিঞ্জারব্রেড, হানিকম্ব, আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, জেলি বিন। আইসক্রিম স্যান্ডউইচ ভার্সনটি জিনজারব্রেড এবং হানিকম্বের সমন্বয়ে তৈরি একটি অপারেটিং সিস্টেম যাকে ‘কোহেসিভ হোল’ বলা হচ্ছে।
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন
|
ভার্সনের নাম
|
প্রকাশের তারিখ
|
এপিআই লেভেল
|
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৪.৩
|
জেলি বিন
|
২৪ জুলাই, ২০১৩ |
১৮ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৪.২.২
|
জেলি বিন
|
১৩ নভেম্বর, ২০১২ |
১৭ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৪.১.২
|
জেলি বিন
|
৯ জুলাই, ২০১২ |
১৬ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৪.০.৩-৪.০.৪
|
আইসক্রিম স্যান্ডউইচ
|
১৬ ডিসেম্বর, ২০১১ |
১৫ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৩.২
|
হানিকম্ব
|
১৫ জুলাই, ২০১১ |
১৩ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ৩.১
|
হানিকম্ব
|
১০ মে, ২০১১ |
১২ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ২.৩.৩-২.৩.৭
|
জিনজারব্রেড |
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ |
১০ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ২.৩-২.৩.২
|
জিনজারব্রেড |
৬ ডিসেম্বর, ২০১০ |
৯ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ২.২
|
ফ্রোয়ো
|
২০ মে, ২০১০ |
৮ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ২.০-২.১
|
এইক্লিয়ার
|
২৬ অক্টোবর, ২০০৯ |
৭ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১.৬
|
ডোনাট
|
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ |
৪ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১.৫
|
কাপকেক
|
৩০ এপ্রিল, ২০০৯ |
৩ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১.১
|
পেটিট ফোর [এটি শুধু HTC Dream মডেলের মোবাইলের জন্য ছিল] |
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ |
২ |
অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১.০
|
এটি অ্যান্ড্রয়েডের প্রথম বাণিজ্যিক ভার্সন ছিল এবং শুধু HTC Dream মডেলের মোবাইলের জন্য ছিল |
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ |
১ |
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
আজকাল স্মার্ট ফোন মানে অ্যাড্রয়েড। কিন্তু কীভাবে তৈরি হয়েছিল অ্যাড্রয়েড তার ইতিহাস নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
অ্যান্ড্রয়েড ইনকর্পোরেট প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০০৩ সালের অক্টোবরে। এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ডি রুবিন (ডেনজারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা), রিচ মাইনার (ওয়াইল্ডফায়ার কমিউনিকেশনস ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা), নিক সিয়ারস (টি-মোবাইলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং ক্রিস হোয়াইট (ওয়েবটিভি’র ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান)। যে হেতু তাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ছিলেন তাই অ্যান্ড্রয়েড প্রতিষ্ঠানটি তার কার্যক্রম চালাত অনেকটা লুকিয়ে। প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হত যে তারা শুধু মোবাইলের একটি সফটওয়্যারের কাজ করছে।
২০০৫ সালের আগস্ট মাসে গুগল অ্যান্ড্রয়েড কিনে নেয় এবং এটাকে এর অধীনস্থদের (অ্যান্ডি রুবিন, রিচ মাইনার এবং ক্রিস হোয়াইট) গুগল ইনকর্পোরেটের সহ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
গুগলে, রুবিন দ্বারা পরিচালিত দল মোবাইলের প্লাটফর্ম হিসেবে লিনাক্স কারনেল উন্নয়ন করে। গুগল এই প্লাটফর্মকে বাজারে ছাড়ে হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। শর্ত হিসেবে বলে যে তারা এর আপডেট বা উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে। গুগল কিছু হার্ডওয়্যার উপাদান এবং সফটওয়্যার অংশীদারের কথা উল্লেখ করে যা অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত।
গুগলের কার্যক্রম দেখে অনেকেই মনে মনে ভাবতে শুরু করে গুগল মোবাইল বাজারে প্রবেশ করবে (২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে)। বিবিসি এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল উল্লেখ করে গুগল তাদের সার্চ ইঞ্জিন এবং অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ফোনে চালাতে চায় এবং তারা তা করার জন্য কাজ করছে। অনলাইন এবং কাগজে গুজব ছড়াতে থাকে যে গুগল তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট তৈরি করছে। কেউ কেউ মতামত দেয় যে যে হেতু গুগল কারিগরি দিকগুলোর কথা বলছে সে হেতু এটা মোবাইল ফোনের নমুনা উৎপাদক এবং নেটওর্য়াক অপারেটরদের দেখাচ্ছে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, ইনফরমেশন উইক প্রকাশ করে যে গুগল কিছু মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনকে পেটেন্ট করে নিয়েছে।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
৫ নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যাল্যায়েন্স সূচিত হয় যাতে ছিল ব্রডকম কর্পোরেশন, গুগল, এইচটিসি, ইন্টেল, এলজি, মার্ভেল টেকনোলজি গ্রুপ, মটোরোলা, এনভিডিয়া, কোয়ালকম, স্যামস্যাঙ ইলেক্ট্রনিকস, স্প্রিন্ট নেক্সটেল, টি-মোবাইল এবং টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট। ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যাল্যায়েন্সের উদ্দেশ্য হল মুক্ত ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট প্লাটফর্ম তৈরি করা। একই দিনে, ওপেন হ্যান্ডসেট অ্যাল্যায়েন্স তাদের প্রথম পণ্য অ্যান্ড্রয়েড ছাড়ে যা লিনাক্স কারনেল ২.৬ এর উপর ভিত্তি করে তৈরি।
৯ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে, আরও ১৪ নতুন সদস্য যোগ দেয় যাতে ছিল এআরএম হোল্ডিংস, এথিরস কমিউনিকেশনস, আসুসটেক কম্পিউটার ইনকর্পোরেট, জারমিন লিমিটেড, হাওয়াই টেকনোলজিস, প্যাকেটভিডিও, সফটব্যাংক, সনি এরিকসন, তোসিবা কর্পোরেশন এবং ভোডাফোন গ্রুপ।
অ্যান্ড্রয়েড পাওয়া যেত ওপেন সোর্স লাইসেন্সের আওতায় ২১ অক্টোবর ২০০৮ সাল পযর্ন্ত। এর পর গুগল তাদের পুরো সোর্স কোড ছাড়ে অ্যাপ্যাচি লাইসেন্সের আওতায়। গুগল তাদের প্রকাশিত কোডগুলোকে উন্মুক্ত করে সবার দেখার এবং মন্তব্য করার সুযোগ দেয়। যদিও সফওয়্যারটি উন্মুক্ত, তবুও মোবাইল প্রস্ততকারকরা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করতে পারবে না কারণ গুগলের ট্রেডমার্ক করা অপারেটিং সিস্টেমের কপি গুগল সার্টিফিকেট প্রদান করার আগ পযর্ন্ত কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।
হাতের মুঠোয় ইন্টারনেট এসেছে সে তো অনেক দিনের কথা। কিন্তু সম্প্রতি স্মার্টফোন যে ভাবে ইন্টারনেটের নতুন গতি ও ব্যবহার এনে দিয়েছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। আর এই স্মার্টফোন জগতেই দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস।
স্মার্টফোন জগতে বর্তমানে রাজত্ব করছে অ্যান্ড্রয়েড। মূলত বিভিন্ন দামের ও আকার-আকৃতির এবং ব্র্যান্ডের কাছ থেকে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ায় বাজারে এর গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে গেছে বহু দূর। আজ প্রায় সব ধরনের বাজেটেই রয়েছে কোনও না কোনও অ্যান্ড্রয়েড ফোন। ইন্টারনেট মহারাজ গুগলের তৈরি এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম শুরুতে মোবাইল ফোনের জন্য তৈরি করা হলেও বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলছে নেটবুক, ট্যাবলেট ও গুগল টিভিতে (এ টিভিতে গুগলের সব ধরনের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আছে এবং এর পাশাপাশি ভিডিও দেখার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবের ভিডিও সরাসরি দেখা যায় এ টিভিতে)। আগামীতে এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রোবট চালনার কাজেও ব্যবহৃত হবে, এমন আভাস গুগল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছে।
সূত্র : http://www.online-dhaka.com/122_1327_26502_0-android-online-dhaka-guide.html
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020