পশ্চিমবঙ্গে নারী পাচার ও বাল্যবিবাহ আটকানোর অ্যাপে সফলতা এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ২০১৪ সালে ‘অ্যাক্সেনচার’ ও বিখ্যাত এনজিও ‘সিনি’র উদ্যোগে ‘জিপাওয়ার’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। জিপাওয়ারের মূল কাজ বাংলার গ্রামে ক্রমবর্ধমান নারী পাচার ও বাল্যবিবাহ আটকানো। প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের মার্চে চালু হওয়া এই অ্যাপ বাংলার গ্রামে নারী পাচারকারীদের রুখতে যথেষ্ট সফল। নতুন এই অ্যাপের সাহায্যে এখন পর্যন্ত ২০টি গ্রামের ২০০ জন কিশোরীকে নারী পাচারকারী ও বাল্যবিবাহের হাত থেকে বাঁচানো গেছে। আগামী ৩ বছরে ১০০টি গ্রামের ৭০০০ কিশোরীকে এই পরিষেবার আওতায় আনা যাবে।
সিনি’র সহ-সভাপতি ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান, ২০১৩ সালের শেষ দিকে মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামে কন্যা সন্তানদের শিক্ষার বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তখনই দেখা যায় ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সি কিশোরীরা বেশির ভাগই হয় নারী পাচারকারীদের হাতে বন্দি, নয় তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে গেছে।
ইন্দ্রানী ভট্টাচার্যের দাবি, বেশির ভাগ কিশোরীর পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং টাকার বিনিময়ে পরিবারের লোকই তাদের নারী পাচারকারীদের হাতে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই কিশোরীদের মধ্যে কেউ কেউ নিজের গ্রামে ফিরে আসতে পারলেও, বেশির ভাগই নিখোঁজ।
তিনি জানান, তখনই অনুভব করা হয় এমন কোনও সফটওয়্যার চালু করার; যার মাধ্যমে নারী পাচার এবং জোর করে বিয়ে দেওয়া সেই মেয়েগুলোকে খুঁজেও বের করা যাবে।
যেভাবে কাজ করে এই অ্যাপ:
সূত্র : ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ‘জিপাওয়ার’ নামে মোবাইল ...