অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

ভ্যাট বিভাগের জন্য আইসিটি-নির্ভর বাণিজ্যিক কর প্রশাসন

ভ্যাট বিভাগের জন্য আইসিটি-নির্ভর বাণিজ্যিক কর প্রশাসন

মুখবন্ধ

চূড়ান্ত অসংগঠিত অবস্থা। কর আদায়ের ক্ষেত্রেও কোনও নির্দিষ্ট মান নেই। ফলস্বরূপ ঠিকমতো ভ্যাট বাবদ কর জমা পড়ে না। অতিরিক্ত কাগজ-নির্ভরতা জটিলতা বাড়ায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দমন এবং দিউ-এর ভ্যাট সংগ্রহ বিভাগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি-নির্ভর বাণিজ্যিক কর প্রশাসন চালু করার উদ্যোগ নেয়।

এই মিশন মোড প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রকল্প। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কর আদায়ের পদ্ধতিকে একটি নির্দিষ্ট মানে আনা ও নাগরিককেন্দ্রিক পরিষেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হল রাজ্যের বাণিজিক কর প্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উন্নত পরিষেবা প্রদান।

প্রকল্পের অংশ হিসাবে দমন ও দিউ-এর ভ্যাট বিভাগ ‘ওয়ান স্টপ সল্যুশন’ নামে একটি পোর্টাল চালু করে। এর মাধ্যমেই মূলত ভ্যাট সংক্রান্ত কাজ চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই পোর্টালের মাধ্যমে যে ই-পরিষেবাগুলি পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে ই-রেজিস্ট্রেশন, ই-রির্টান, ই-পেমেন্ট, ই-টিডিএস, অনলাইনে সংবিধিবদ্ধ ফর্মের ইস্যু, ই-রিফান্ড, ই-অডিট এবং অ্যাসেসমেন্ট। এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পরিবর্তন দেখা দেয়। জটিলতা কমে। কাজের মান বাড়ে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ে কর আদায়ের পরিমাণ।

তবে এটি নতুন একটি ব্যবস্থা। তাই একে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে। শিল্প সংগঠনগুলির মধ্যে আগ্রহবৃদ্ধিকারী অনুষ্ঠান করতে হয়েছে। প্রথমে দিকে নতুন একটি ব্যবস্থাকে মেনে নিতে গ্রাহক এবং ভ্যাট বিভাগের কর্মী, উভয় তরফ থেকেই বাধা এসেছে। তবে সময় যত গেছে আগ্রহ তত বেড়েছে। প্রকল্পে অনেকটাই সাফল্য মিলেছে। আগামী দিনে ই-গভর্ন্যান্সের সক্রিয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে দমন-দিউকে ই-জেলা হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ই-ভ্যাট নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

যাঁরা এই প্রকল্প নেবেন তাঁদের উদ্দেশে

বিভিন্ন ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ বাদ দিয়ে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই মিশন মোড প্রকল্পকে সাফ্যলের সঙ্গে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রথম দিকে ডিলাররা কাগজে তাদের রির্টান ফাইল করছিলেন। এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও রির্টান ফাইল করার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছিল। দু’টি পদ্ধতিকে সমান্তরাল ভাবে না বজায় রাখলে অনর্থক জটিলতার সৃষ্টি হবে। নতুন এই পদ্ধতিকে মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের তরফ থেকে বিরোধ আসবে। যা প্রথম দিকে কিছুটা এসেছিলও। আস্তে আস্তে যখন অধিকাংশ ডিলার অনলাইনে ই-রিটার্ন ফাইল করতে শুরু করলেন তখন প্রকল্পে গতি এল।

অধিকাংশ ডিলার যাঁদের ক্ষেত্রে ই-রির্টান ফাইল করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছিল তাঁরা যাতে এই পোর্টালটিকে আরও ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারেন তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।

এই প্রকল্প কতটা সফল? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কত জন ডিলার এই প্রকল্পটিকে ব্যবহার করছেন তার সংখ্যা দিয়ে। দেখা গেছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ। খুব স্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে কর আদায়ের পরিমাণও। অনলাইনে ২০১২ সালে প্রায় ৪১৬২ লক্ষ টাকা কর আদায় হয়েছে। নয়া এই পদ্ধতিতে কতটা আগ্রহ বেড়েছে তা বোঝা যাবে কর আদায়ের পরিমাণ দেখে। শুধু তা-ই নয়, প্রতি বছর কাগজ চালানের মাধ্যম কর আদায়ের একটি পরিমাপ থাকে, দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২০১২ সালে অনলাইনে কর আদায়ের পরিমাণ তাকে ছাপিয়ে গেছে।

সেই অর্থে শক্তসার্মথ্য এই সফটওয়্যারের ‘বেটা সংস্করণ’ লাইভ পরিষেবা দেয়। যা এই প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তবে জটিলতাও রয়েছে। সফটওয়্যারটি একেবারে থামিয়ে দিয়ে কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। কোনও স্বনির্ধারণ বা পরিবর্তন করতে হলে সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যেই কাজ করতে হয়।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

প্রকল্পের প্রেক্ষিত

এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে যা সুসংবদ্ধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তার পিছনে মূল ভাবনা ছিল জনগণের মধ্যে ই-গভর্ন্যান্স উদ্যোগের প্রসার ঘটানো।

এই প্রকল্প চালু করার আগে রির্টান ফাইলের সমস্ত প্রক্রিয়াটাই ছিল প্রচণ্ড অসংগঠিত এবং কাগজ-নির্ভর। সমগ্র প্রক্রিয়ার নির্দিষ্ট কোনও মান ছিল না। কর আদায়ের পদ্ধতির ক্ষেত্রের পাশাপাশি কী পরিমাণ কর ধার্য হবে তার হিসাবের ক্ষেত্রেও। ব্যক্তিগত চালান রাখা হত না এবং কর আদায় করা হত দু’টি পদ্ধতিতে — কেনা এবং বেচা। সামগ্রিক বিক্রি এবং কেনাকাটার উপর করের হিসাবে হত। আলাদা আলাদা বিভাগের পণ্যদ্রব্যের জন্য আলাদা ভাবে কর ধার্য হত না। কাগজের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াতেই কর আদায় চলত। আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্দেশীয় বিক্রি ও কেনার উপর আলাদা কোনও পার্থক্যরেখা ছিল না। এর সঙ্গে পণ্যদ্রব্যের শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী আলাদা কর কাঠামো মেনে চলা হত না। ফলে কর আদায়ও কম হত।

কাগজের মাধ্যমে রির্টান জমা দেওয়ার আরও কতগুলি অসুবিধা ছিল। জমা দেওয়া রির্টান ভালো করে যাচাই করা কার্যত এক দুরূহ কাজ ছিল ডিলারদের কাছে।

এই এমএমপি যে প্রকল্প অনলাইন কর আদায় সফটওয়্যারের নকশা তৈরি করেছে, তা নিম্নলিখিত কাজকে নিশ্চিত করে :

  • নতুন বা হারিয়ে যাওয়া ডিলারের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন এবং সহযোগী নথি অপলোড করার সুবিধা
  • ত্রৈমাসিক বা মাসিক ই-রির্টান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক করের হিসাব
  • টিডিএস কতৃর্পক্ষের জন্য ই-টিডিএস
  • প্রয়োগকারীর সক্রিয়তার জন্য ই-অডিট এবং ই-মূল্যায়ন
  • দফতরের কর্মীরা যে অনলাইনে পরীক্ষা করছেন তা নিশ্চিত করার জন্য ই-অডিট
  • টাকা জমা দেওয়ার জন্য বা জরিমানার ক্ষেত্রে ই-অডিট
  • দফতরের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন বিধিবদ্ধ ফর্ম ডাউনলোড
  • ই-ফাইলিং-এর অংশ হিসাবে ডিলার লগ ইনের জন্য সিএসটি ফর্ম
  • ই-সংশোধন এবং ই-ডিরেজিস্ট্রেশন

এই সমস্ত ই-পরিষেবারই উদ্দেশ্য ছিল অন্য রাজ্যগুলির মতো সঠিক ট্যাক্স আদায়কে নিশ্চিত করা। তবে সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সফল ভাবে ভ্যাট অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের উপর এই প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করছে।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

যে কোনও সরকারি প্রসেস রি-ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প (জিপিআর) মূল কতগুলি ধাপ মেনে চলে। এই ধাপগুলি হল পরিকল্পনা—কাজ—পরীক্ষা—অ্যাক্ট—পুনর্মূল্যায়ন—কাজ। এ ক্ষেত্রেও সে ভাবে কাজ এগিয়েছে। একটি সাধারণ ই-গভর্ন্যান্স প্রকল্প যে জীবনচক্র মেনে চলে এ ক্ষেত্রে সেই ভাবেই কাজ এগিয়েছে। উল্লেখিত জীবনচক্রের ধাপগুলি নিম্নরূপ :

  • ক) ই-গভর্ন্যান্সের কৌশল তৈরি : এ ক্ষেত্রে দমনের জন্য প্রকল্পের প্রয়োগকৌশল তৈরি করা হয় এবং ই-গভর্ন্যান্সের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এর জন্য টাকা দেয় অর্থমন্ত্রক। এর সমগ্র প্রশাসিক ব্যবস্থাকে দমন, দিউ এবং দাদরা ও নগর হাভেলির সঙ্গে এক প্রশাসকের অধীনে রাখা হয়। প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ই-গভর্ন্যান্সের অংশ হিসাবে নাগরিক পরিষেবাকে ই-সক্রিয় করার উদ্দেশ্য নিয়ে। সিটিডি দমন প্রকল্প ডুভ্যাটের মধ্যে প্রদেয় ই-রির্টান জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইস করার মধ্যে দিয়ে।
  • খ) বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যত অবস্থার মূল্যায়ন : চলতি অবস্থার মূল্যায়নের মধ্যে দিয়ে ই-পরিষেবা দেওয়ার একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। জিএপি মূল্যায়নের পর যা রিপোর্ট পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করে প্রকল্পকে বাস্তবায়নের প্রাথমিক ধাপ হিসাবে নিম্নলিখিত মডিউলগুলি নেওয়া হয় :
    • ই-অডিট
    • ই-সিএসটি
    • ই-রিফান্ড
    • ই-রেজিস্ট্রেশন
    • ই-রির্টান
    • ই-টিডিএস
    • ই-পেমেন্ট

    এই জিএপি বিশ্লেষণ রিপোর্ট তৈরি করা হয় গ্রাহকের চাহিদা, স্থানীয় কর ব্যবস্থা, স্টেকহোল্ডারদের সুবিধা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভ্যাট অফিস যে যে পরিষেবা দেয় তার উপর ভিত্তি করে এই জিএপি রিপোর্ট প্রকল্পের জন্য একটি প্রাথমিক খাঁচাও তৈরি করে।

  • গ) বাস্তবায়নের পদ্ধতি এবং উদ্যোগ : এই জিএপি বিশ্লেষণের মধ্যেই প্রকল্পের ম্যাপ, স্টেকহোল্ডারদের চাহিদা, সাংগঠনিক কাঠামো ইত্যাদির একটি স্পষ্ট ছবিও পাওয়া যায়। এ ছাড়া মানুষ মেশিনের দূরত্ব দূর করতে দক্ষতা তৈরি কর্মসূচিও নেওয়া হয়। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আসে। প্রথম দিকে কর্মী এবং গ্রাহকদের এই নয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আগ্রহী করা তোলাই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। একাধিক দক্ষতাবৃদ্ধি কর্মসূচি নিয়ে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গ্রুপ করে বা ব্যক্তিগত ভাবেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
  • ঘ) উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ : ভ্যাট অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি, তথ্যপ্রযুক্তি কাঠামো তৈরি, থার্ড পার্টি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টিং, প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা তৈরি এই প্রকল্প পরিকল্পনার অন্যতম অংশ এবং যা প্রকল্পের সাফল্যের জন্য জরুরি।
  • ঙ) চালনা এবং বজায় রাখা : আইটি সিস্টেমের চালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ, পযর্বেক্ষণ এবং মূল্যায়ন নিয়মিত ভাবে করা হয়েছে।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ

একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক ভাবে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে যার কিছুটা মনুষ্যগত এবং কিছুটা প্রযুক্তিগত। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল কর দফতরের কর্মী এবং গ্রাহকদের নতুন ব্যবস্থা সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলা। পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাধা আসছিল ভেতর বাইরে দু’দিক থেকেই। ভেতরের বাধা যদি কর্মীরা হন তবে বাইরের বাধা হচ্ছিলেন ডিলার, ব্যবসা-মালিক এবং ট্যাক্স কনসালটেন্টরা।

রির্টান জমা দেওয়ার পদ্ধতি, রেজিস্ট্রেশন, পেমেন্ট এবং বিভিন্ন বিধিবদ্ধ ফর্মে নেওয়া বা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগে একটি পদ্ধতি মেনে চলা হত। গ্রাহক এবং কর্মীদের কাছে নয়া ব্যবস্থাকে সুবিধাজনক ভাবে তুলে ধরতে সমগ্র কর ব্যবস্থাটিকে পুরনো পদ্ধতি অনুযায়ী সাজানো হচ্ছিল। প্রকল্পের বাস্তবায়নে এটি আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এ ছাড়া ডিলারদের ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড তৈরি সব চেয়ে কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। এর জন্য প্রয়োজনীয় ভালো পরিকাঠামো পাওয়া জরুরি ছিল। এর পাশাপাশি গ্রাহকদের অনুরোধে বিভিন্ন সময় নানা পরিবর্তন এবং স্থানীয় অবস্থার জন্য স্বনির্ধারণ করা একটি ঝক্কির কাজ ছিল। অ্যাপ্লিকেশনকে আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলতে এই ধরনের পরিবতর্নের প্রয়োজনও ছিল। আরও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল জনগণের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষার প্রসার। কম্পিউটার না জানার ফলে অনেক ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছিল। তা ছাড়া আইনগত পরিবর্তন, পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, পরিকাঠামো এবং ব্যবহারের দিক থেকে সিস্টেমের ক্ষমতা তৈরিও একটি জটিল কাজ ছিল।

দফতরে থাকা সমস্ত পুরনো ডেটার ডিজিটাইজেশন এবং সংযুক্তি করতে গিয়ে মাঝেমাঝে প্রযুক্তিগত কারণে দেরি হয়ে যাচ্ছিল। এর প্রধান কারণ হল পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব। প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে এটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

বাধা ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা

জনগণ

স্টেকহোল্ডারদের আগ্রহী করে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে :

  • ক. কর্মশালা এবং আগ্রহবৃদ্ধিকারী অনুষ্ঠান।
  • খ. প্রকল্প পর্যালোচনা বৈঠক ডাকতেন আয়কর দফতরের প্রধান। যে বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন ব্যাঙ্ক, এনআইসি, উইপ্রোর কর্মীরা এবং শিল্পমালিক/ ডিলার/ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি।
  • ঘ. ভ্যাট বিভাগের সমস্ত কর্মীকে প্রাথমিক কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিদিনকার কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
  • ঙ. এই ই-পরিষেবাকে ব্যবহার করতে আগ্রহী করে তোলার জন্য উইপ্রোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
  • চ. শিল্প সংগঠনগুলির মধ্যে নিয়মিত সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হয়েছে।

দক্ষতা তৈরি

  • ক. ভ্যাট বিভাগের কর্মীদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং এই প্রক্রিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য লাগাতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
  • খ. ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কোনও সমস্যায় পড়লে অফিসের সময়ের মধ্যে কর্মীরাই তার সমাধান বাতলে দেন। তবে এই সফটওয়্যার চালু হওয়ার প্রথম দিকে ডিলার এবং ট্যাক্স কনসালটেন্টদের একটি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সফটওয়্যারটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাঁরা কোনও সমস্যায় পড়লে ফোনেই তার সমাধান মিলত। এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল একটি টিম। এই টিমের মাধ্যমেও সমাধান মিলত।
  • গ. সফট কপি হিসাবে প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে এই সফটওয়্যার ব্যবহারের ম্যানুয়াল দেওয়া হয়েছিল।

প্রযুক্তি

  • ক. যে কোনও সময় সংযোগের জন্য কর্মীদের ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছিল।

প্রক্রিয়া

  • ক. প্রকল্পের গুরুত্ব এবং তার ফলাফল বোঝাতে প্রাথমিক পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করা হয়েছিল।
  • খ. কর্মীদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল এবং জিএপি বিশ্লেষণ স্টাডির জন্য প্রয়োজনী তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল।

ডেটা জিটাইজেশন

  • সমস্ত ডেটা ডিজিটাজেশনের জন্য তৃতীয় একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যাতে দ্রুত সমস্ত তথ্য ডিজিটাইজ করা সম্ভব হয়। সমগ্র কাজটিতে নজরদারি করছিল পিএমইউ টিম।
  • যে সমস্ত সূত্র থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হত তার মধ্যে ছিলেন ডিলাররা নিজেরাই। এ ছাড়া বিভাগের ফাইল এবং ট্যাক্স কনসালটেন্টরাই সূত্র হিসাবে কাজ করেছেন।
  • ডিলারদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা সমস্ত তথ্যের প্রিন্ট আউট নিয়ে যাবেন এবং মিলিয়ে দেখবেন।

ভ্যাট অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার কাস্টমাইজেশন

  • অনলাইন ট্র্যাকিং এবং কাস্টমাইজেশন অনুরোধ উত্থাপনা করার সুযোগ ছিল। যাতে ভ্যাট অফিসের উপর এই গোটা প্রক্রিয়াটি হস্তান্তর করা যেতে পারে।
  • কাস্টমাইজেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হত।
  • ভ্যাটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য দফতর থেকে কয়েক জন কর্মীকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

মূল শিক্ষা

রূপান্তর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য থাকে, সচেতনতা তৈরি, তার পরই সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জ্ঞান বদ্ধির মাধ্যমে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। ভ্যাট সফটওয়্যারটির ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি পালন করা হয়েছে।

সচেতনতা তৈরি

নানা ভাবে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • সরকারি ভাবে নোটিশ এবং সার্কুলার পাঠানো।
  • স্থানীয় সংবাদপত্র, টিভি এবং রেডিও বিজ্ঞাপন দেওয়া, পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার
  • সাংবাদিক বৈঠক ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রচার চালানো

স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞান বন্টন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ:

  • সরকারের ভ্যাট বিভাগের কর্মীদের মধ্যে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার সম্পর্কে দীর্ঘ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
  • শিল্প সংগঠনগুলির মধ্যেও ব্যাপক ভাবে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার সম্পর্কে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে।
  • ৮০ শতাংশ ডিলার এবং ১০০ শতাংশ ট্যাক্স কনসালটেন্টদের ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরে তাদের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে এবং তা অনলাইন পরিষেবা উন্নতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে এ সব সত্ত্বেও ব্যবহারকারীরা ব্যবহারের সময় সমস্যা পড়েছেন। সেই সমস্যার সমাধানে তাঁদের সহায়তা করার জন্য অফিসের সময়ভিত্তিক হেল্প ডেস্ক তৈরি করা হয়েছিল। মোবাইল ফোনে এবং ই-মেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সহায়তা করেছে উইপ্রোর একটি টিম।

ভ্যাট বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

  • নিমমিত আপডেট এবং বিভাগ সংক্রান্ত তথ্য যা ডিলারদের কাছে প্রাসঙ্গিক তা এই ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়।
  • ডিজিটাজেশন এবং নিয়মিত ভ্যাট ফর্ম পাওয়া যায় বলে ডিলাররা তাঁদের প্রয়োজনমতো ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

এই প্রকল্পের প্রয়োজনে প্রচুর পরিমাণে ডেটাবেস কম্পিউটার-বন্দি করা হয়েছে। যা ভবিষ্যতে অন্য প্রকল্পের জন্যও কাজে লাগবে।

সূত্র : http://nisg.org/files/documents/UP1418302819.pdf

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate