বিশ্বজনীন প্রাসঙ্গিকতায় পিছিয়ে ভারত
গত দশকে ভারতের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা দক্ষতা তৈরি এবং নথিভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উদাহরণ তৈরি করলেও বিশ্বজনীন প্রাসঙ্গিকতা ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই পেপারে যে ঘাটতিগুলোর কথা উল্লেখ করছে, সেগুলি এ রকম ---
- পুরনো পাঠক্রম, উন্নত মানের শিক্ষকের অভাব, পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত বেশি থাকা, শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ কম থাকা এবং নতুন এবং উদ্ভাবনী পাঠক্রম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় স্বশাসনের অভাবে স্নাতকদের নিয়োগযোগ্যতা কম হচ্ছে।
- গবেষণা ক্ষেত্রে সরকারি ও কর্পোরেট বিনিয়োগ কম হওয়ায় উঁচুমানের গবেষণা ও পেটেন্টের সংখ্যা কম হচ্ছে, কম সংখ্যক ডক্টোরাল পড়ুয়া, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে গবেষণামুখীনতা ও গবেষণার সংস্কৃতির অভাব এবং গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ঘাটতি।
- ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি বিকাশের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে উদ্যোগের অভাব। অনেকর ক্যাম্পাসেই এ ধরনের কোনও সেল নেই বা এ সম্পর্কে কোনও কর্মসূচিও নেওয়া হয় না।
- নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ও বাধা অনেক, প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং পেশাদারি পরিচালন ব্যবস্থার অভাব, যদিও আমাদের মানতে হবে এই সমস্যাগুলো দূর করতে সরকার বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে এবং পদক্ষেপও করেছে। অবশ্য সরকার এ ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি কাজ করতে পারে, যাতে ভারতের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। অন্য দিকে দুনিয়ার কাছে প্রাসঙ্গিক ও প্রতিযোগিতাময় এই পৃথিবীর উপযোগী হয়ে উঠতে গেলে তাদের পাঠক্রম, শিক্ষণ পদ্ধতি, প্রযুক্তির ব্যবহার, অংশীদারিত্ব, প্রশাসন ও বিনিয়োগ- প্রতিষ্ঠানগুলিকে উচ্চশিক্ষার সকল ক্ষেত্রে রূপান্তরমুখী ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিতে হবে। এই রিপোর্টে পৃথিবীর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও দেশের ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, যেগুলি ভারত সরকার ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির কাজে লাগতে পারে।
ফিকির সুপারিশ
ভারতকে বিশ্বের মধ্যে প্রাসঙ্গিক ও প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তোলার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রেখে দেশের উচ্চ শিক্ষাকে তুলে ধরার সুপারিশ করা হয়েছে ওই পেপারে ---
- আন্তজার্তিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খ্যাতনামা পড়ুয়া ও শিক্ষকদের গুণমানের দিক থেকে ভারত পৃথিবীর উচ্চ শিক্ষার মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে, এ দেশে উন্নতমানের আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি/অংশীদারিত্বও রয়েছে।
- ভারতবর্ষ মেধার ভাণ্ডার--যারা ভারতের অর্থনীতিকে যেমন প্রতিযোগিতামুখী করে তুলতে পারে তেমন আন্তজার্তিক বাজারেও কাজের উপযুক্ত।
- গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির সংস্কৃতি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উঁচু স্তরে নিয়ে যেতে পারবে।
সূত্র : ইন্ডিয়া এডুকেশন রিভিউ, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪। http://www.indiaeducationreview.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.