অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বিশ্বজনীন প্রাসঙ্গিকতায় পিছিয়ে ভারত

বিশ্বজনীন প্রাসঙ্গিকতায় পিছিয়ে ভারত

গত দশকে ভারতের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা দক্ষতা তৈরি এবং নথিভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির উদাহরণ তৈরি করলেও বিশ্বজনীন প্রাসঙ্গিকতা ও প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরির ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এই পেপারে যে ঘাটতিগুলোর কথা উল্লেখ করছে, সেগুলি এ রকম ---

  • পুরনো পাঠক্রম, উন্নত মানের শিক্ষকের অভাব, পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত বেশি থাকা, শিল্পক্ষেত্রের সঙ্গে যোগাযোগ কম থাকা এবং নতুন এবং উদ্ভাবনী পাঠক্রম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় স্বশাসনের অভাবে স্নাতকদের নিয়োগযোগ্যতা কম হচ্ছে।
  • গবেষণা ক্ষেত্রে সরকারি ও কর্পোরেট বিনিয়োগ কম হওয়ায় উঁচুমানের গবেষণা ও পেটেন্টের সংখ্যা কম হচ্ছে, কম সংখ্যক ডক্টোরাল পড়ুয়া, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে গবেষণামুখীনতা ও গবেষণার সংস্কৃতির অভাব এবং গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ঘাটতি।
  • ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি বিকাশের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানে উদ্যোগের অভাব। অনেকর ক্যাম্পাসেই এ ধরনের কোনও সেল নেই বা এ সম্পর্কে কোনও কর্মসূচিও নেওয়া হয় না।
  • নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ও বাধা অনেক, প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং পেশাদারি পরিচালন ব্যবস্থার অভাব, যদিও আমাদের মানতে হবে এই সমস্যাগুলো দূর করতে সরকার বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে এবং পদক্ষেপও করেছে। অবশ্য সরকার এ ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি কাজ করতে পারে, যাতে ভারতের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। অন্য দিকে দুনিয়ার কাছে প্রাসঙ্গিক ও প্রতিযোগিতাময় এই পৃথিবীর উপযোগী হয়ে উঠতে গেলে তাদের পাঠক্রম, শিক্ষণ পদ্ধতি, প্রযুক্তির ব্যবহার, অংশীদারিত্ব, প্রশাসন ও বিনিয়োগ- প্রতিষ্ঠানগুলিকে উচ্চশিক্ষার সকল ক্ষেত্রে রূপান্তরমুখী ও উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিতে হবে। এই রিপোর্টে পৃথিবীর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ও দেশের ব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে, যেগুলি ভারত সরকার ও দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির কাজে লাগতে পারে।

ফিকির সুপারিশ

ভারতকে বিশ্বের মধ্যে প্রাসঙ্গিক ও প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তোলার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রেখে দেশের উচ্চ শিক্ষাকে তুলে ধরার সুপারিশ করা হয়েছে ওই পেপারে ---

  • আন্তজার্তিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খ্যাতনামা পড়ুয়া ও শিক্ষকদের গুণমানের দিক থেকে ভারত পৃথিবীর উচ্চ শিক্ষার মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে, এ দেশে উন্নতমানের আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতি/অংশীদারিত্বও রয়েছে।
  • ভারতবর্ষ মেধার ভাণ্ডার--যারা ভারতের অর্থনীতিকে যেমন প্রতিযোগিতামুখী করে তুলতে পারে তেমন আন্তজার্তিক বাজারেও কাজের উপযুক্ত।
  • গবেষণা, উদ্ভাবন এবং ব্যবসায়িক মনোবৃত্তির সংস্কৃতি দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উঁচু স্তরে নিয়ে যেতে পারবে।

সূত্র : ইন্ডিয়া এডুকেশন রিভিউ, ১৪ নভেম্বর, ২০১৪। http://www.indiaeducationreview.com

সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate