ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার কাছে খবরটি যে কোনও দিক থেকেই উৎসাহব্যঞ্জক। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির গুরুত্বের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। টাইমস হায়ার এডুকেশনের উৎকর্ষ তালিকার সম্পাদক ফিল ব্যাটি ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পর্কে বলেছেন, ‘প্রথম ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় গত বছর ভারতের ১০টি প্রতিষ্ঠান ছিল, এবার তা বেড়ে ১১ হয়েছে, এর মধ্যে দিয়ে তারা সম্ভাবনা দেখাতে শুরু করেছে। প্রথম ১০০-র মধ্যে ভারতের চেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান কেবলমাত্র চিন ও তাইওয়ানের রয়েছে। রাশিয়া ও ব্রাজিলের মতো বৃহৎ বিকাশশীল অর্থনীতি এই তালিকায় ভারতের পিছনে রয়েছে। কিন্তু এই উন্নতির একটা অন্য কারণও রয়েছে। তা হল, আরও বেশি বেশি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এই তালিকায় থাকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তারা টাইমস হায়ার এডুকেশনকে নিজেদের সম্পর্কে তথ্যগুলি জানাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে বেশ কিছু ভারতীয় প্রতিষ্ঠান গত বছরের তুলনায় খারাপ ফল করেছে। ফলে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। তবে ভালো খবর হল, বিশ্ব ক্রম তালিকায় যুক্ত হওয়া এবং টাইমস হায়ার এডুকেশনের কঠিন আন্তর্জাতিক যোগ্যতামান সত্ত্বেও সেখানে নিজেদের সম্পর্কে তথ্য জানানোর মধ্য দিয়ে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আরও উন্নতি ও নিজেদের সেরাটা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। ‘এর সঙ্গে, ভারতের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যদি আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি নীতি ও আর্থিক সাহায্য পায়, তা হলে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।’
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এই ধরনের তালিকাগুলিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়, কারণ এগুলি অর্থ বরাদ্দ ও গবেষণামূলক কাজের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। সেজন্যই আইআইএসসি পঁচিশে রয়েছে আর পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে গিয়েছে।
অন্য দিকে আইআইটিগুলি তালিকায় ওপর দিকে না থাকলেও এবং গত বারের তুলনায় পিছিয়ে পড়লেও, পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সূত্র ইন্ডিয়া এডুকেশন রিভিউ, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020