ফর্সা টুকটুকে মুখ | তাকে ঘিরে আছে সোনালি কোঁকড়া কোঁকড়া চুল | সেই চুলে এখনও বাঁধা আছে ফিতে | ঘুমিয়ে আছে ২ বছরের ছোট্ট রোজালিয়া লোম্বার্দো | প্রায় ৯৫ বছর ধরে ঘুমিয়ে আছে সে | সেই কোন ১৯২০ তে নিউমোনিয়া ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল তাকে | তার থেকে আর জাগেনি সে | ছোট্ট রোজালিয়া তার চিরঘুমে শান্তিতে শুয়ে আছে ইতালির সিসিলির পালেরমোতে | ক্যাপুচিন কনভেন্টে কম্বল ঢাকা রোজালিয়াকে দেখতে আসে অসংখ্য পর্যটক | তার আদরের নাম ঘুমন্ত সুন্দরী বা স্লিপিং বিউটি |
রোজালিয়ার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তার বাবা | করিয়ে রেখেছিলেন মামি | ক্যাপুচিন কনভেন্টে কয়েক হাজার মামির মধ্যে রোজালিয়ার মামিই সবথেকে ভালভাবে সংরক্ষিত হয়েছে | কিন্তু প্রথম থেকেই এই মামি ঘিরে বহু গল্প প্রচলিত | রোজালিয়ার মামির চোখের পাতা নাকি মাঝে মাঝে কিছুটা খুলে যায় | হাল্কা ভাবে দেখা যায় তার নীল চোখের মণি |
কিন্তু এর পিছনে কোনও রহস্য লুকিয়ে নেই | ক্যাপুচিন কনভেন্টের কিউরেটর জানিয়ে দিয়েছেন এটা দৃষ্টিভ্রম বা অপ্টিক্যাল ইলিউশ্যন | আলোর জন্যেই এই দৃষ্টিভ্রম হয়‚ যাতে মনে হয়‚ মামির চোখের পাতা মৃদু হলেও খুলছে |
এই ভ্রমের রহস্য নয় মিটল | কিন্তু মামি এতদিন ধরে অবিকৃত থাকার রহস্য কী ? রোজালিয়ার দেহ মামি করেন সিসিলির বিখ্যাত এমবামার এবং ট্যাক্সিডার্মিস্ট আলফ্রেদো সালাফিয়া | তিনি নিজে প্রয়াত হন ১৯৩৩ -এ | তার আগে কোনওদিন নিজের ট্রেডসিক্রেট প্রকাশ করেননি |
২০০৯ সালে আবিষ্কৃত হয় একটি হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি | পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করেন‚ সেটি আলফ্রেদোর হাতে লেখা | সেখানে লেখা আছে‚ মামি করার জন্য ব্যবহার করেছেন ফর্মালিন‚ জীবাণু নাশ করার জন্য; গ্লিসারিন‚ দেহ শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে; স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড‚ ছত্রাক রোধ করতে এবং জিঙ্ক সল্ট‚ দেহ প্রস্তরীভূত করতে |
রহস্য যাই হোক না কেন | প্রায় এক শতক জুড়ে ছোট্ট রোজালিয়াকে দেখতে আসেন অগণিত পর্যটক | তাদের সবার কাছে সিসিলির আবেদন‚ রোজালিয়াকে দেখুন একটা প্রতীক হিসেবে | মেয়ের প্রতি বাবার স্নেহের প্রতীক হিসেবে | এক ভগ্নহৃদয় বাবার কীর্তি হিসেবে | কোনও রহস্যের বাতাবরণে নয় |
ফর্সা টুকটুকে মুখ | তাকে ঘিরে আছে সোনালি কোঁকড়া কোঁকড়া চুল | সেই চুলে এখনও বাঁধা আছে ফিতে | ঘুমিয়ে আছে ২ বছরের ছোট্ট রোজালিয়া লোম্বার্দো | প্রায় ৯৫ বছর ধরে ঘুমিয়ে আছে সে | সেই কোন ১৯২০ তে নিউমোনিয়া ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল তাকে | তার থেকে আর জাগেনি সে | ছোট্ট রোজালিয়া তার চিরঘুমে শান্তিতে শুয়ে আছে ইতালির সিসিলির পালেরমোতে | ক্যাপুচিন কনভেন্টে কম্বল ঢাকা রোজালিয়াকে দেখতে আসে অসংখ্য পর্যটক | তার আদরের নাম ঘুমন্ত সুন্দরী বা স্লিপিং বিউটি |
রোজালিয়ার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তার বাবা | করিয়ে রেখেছিলেন মামি | ক্যাপুচিন কনভেন্টে কয়েক হাজার মামির মধ্যে রোজালিয়ার মামিই সবথেকে ভালভাবে সংরক্ষিত হয়েছে | কিন্তু প্রথম থেকেই এই মামি ঘিরে বহু গল্প প্রচলিত | রোজালিয়ার মামির চোখের পাতা নাকি মাঝে মাঝে কিছুটা খুলে যায় | হাল্কা ভাবে দেখা যায় তার নীল চোখের মণি |
কিন্তু এর পিছনে কোনও রহস্য লুকিয়ে নেই | ক্যাপুচিন কনভেন্টের কিউরেটর জানিয়ে দিয়েছেন এটা দৃষ্টিভ্রম বা অপ্টিক্যাল ইলিউশ্যন | আলোর জন্যেই এই দৃষ্টিভ্রম হয়‚ যাতে মনে হয়‚ মামির চোখের পাতা মৃদু হলেও খুলছে |
এই ভ্রমের রহস্য নয় মিটল | কিন্তু মামি এতদিন ধরে অবিকৃত থাকার রহস্য কী ? রোজালিয়ার দেহ মামি করেন সিসিলির বিখ্যাত এমবামার এবং ট্যাক্সিডার্মিস্ট আলফ্রেদো সালাফিয়া | তিনি নিজে প্রয়াত হন ১৯৩৩ -এ | তার আগে কোনওদিন নিজের ট্রেডসিক্রেট প্রকাশ করেননি |
২০০৯ সালে আবিষ্কৃত হয় একটি হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি | পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করেন‚ সেটি আলফ্রেদোর হাতে লেখা | সেখানে লেখা আছে‚ মামি করার জন্য ব্যবহার করেছেন ফর্মালিন‚ জীবাণু নাশ করার জন্য; গ্লিসারিন‚ দেহ শুকিয়ে যাওয়া রোধ করতে; স্যালিসাইক্লিক অ্যাসিড‚ ছত্রাক রোধ করতে এবং জিঙ্ক সল্ট‚ দেহ প্রস্তরীভূত করতে |
রহস্য যাই হোক না কেন | প্রায় এক শতক জুড়ে ছোট্ট রোজালিয়াকে দেখতে আসেন অগণিত পর্যটক | তাদের সবার কাছে সিসিলির আবেদন‚ রোজালিয়াকে দেখুন একটা প্রতীক হিসেবে | মেয়ের প্রতি বাবার স্নেহের প্রতীক হিসেবে | এক ভগ্নহৃদয় বাবার কীর্তি হিসেবে | কোনও রহস্যের বাতাবরণে নয় |
সুত্রঃ banglalive.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020