অমরলাল বানজারা ৬ ভাইবোনের মধ্যে এক জন। তার পরিবার রাজস্থানের একটি পাথর খাদানের সঙ্গে যুক্ত দাসশ্রমিক। মাত্র ৬ বছর বয়সে তাকে ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনার দায়িত্ব ঘাড়ে তুলে নিতে হয়। পরবর্তীকালে তাকে বাবার সঙ্গে পাথর ভাঙার কাজ করতে হত। তাকে যে সব যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে হত সেগুলিরই ওজন ছিল তার নিজের সমান। সেই সব যন্ত্র নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তাকে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হত। বলা বাহুল্য কখনওই সে লেখাপড়া শেখার সুযোগ পায়নি। অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য তার বাবা তাকে স্কুলে যেতে দিতে চায়নি। কিন্তু বচপন বাঁচাও আন্দোলনের কর্মীদের সংস্পর্শে আসার পর সে ও তার ভাই পুরন এখন সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে।
বাল আশ্রমে একটি পঞ্চায়েতের অস্তিত্ব রয়েছে। শিশুরাই এই পঞ্চায়েত পরিচালনা করে। তারা নিজেরাই পঞ্চয়েতের সরপঞ্চ বা প্রধান নির্বাচিত করে। জানুয়ারি ২০০৬-এর নির্বাচনে অমরলাল বাল আশ্রমের সরপঞ্চ মনোনীত হয়। সে এখন শিশু শ্রম বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় কর্মীতে পরিণত হয়েছে। নাচ-গান-থিয়েটারের মাধ্যমে নিরলস ভাবে শিশু শ্রম বিরোধী প্রচারে সে এগিয়ে এসেছে। বাল আশ্রমে এসে অমরলাল বুঝতে পেরেছে স্বাধীনতা কাকে বলে। এখন শোষণমুক্তিই তার কাছে প্রধান স্বপ্ন।
সূত্রঃ www.kailashsatyarthi.net
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/1/2020