পশ্চিমবঙ্গের আপৎকালীন নম্বর পুলিশ বিভাগ, পুলিশ স্টেশন, হাসপাতাল, ব্লাড ব্যাংক, রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর এবং রাজ্যের অন্যান্য অপরিহার্য অংশের নম্বর নিয়ে গঠিত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের আপৎকালীন নম্বরগুলি নাগরিকদের সহায়তা প্রদান করে।
রাজ্যে অনেক কেন্দ্র আছে যা ২৪ ঘন্টা রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করে। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালে তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে চারিদিকে বহু হাসপাতাল ছড়িয়ে রয়েছে।এমনকি সরকার গ্রাম্য এলাকাগুলিতেও বিনামূল্যে শয্যা সুবিধাসহ রাজ্যের সকল রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাসপাতাল স্থাপন করেছে। সমাজের চিকিৎসা খাতে সাহায্য করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বহু ২৪ ঘন্টা উপলব্ধ ওষুধের দোকান আছে যা পুরো সপ্তাহ সারা দিন ধরে খোলা থাকে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশের পুলিশ থানায় নিয়োজিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং নাগরিকদের একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত জীবনের আশ্বাস প্রদান করে। পুলিশ নাগরিকদের মহান সহায়তা করে। রাজ্যের শহর ও নগরগুলিতে অগ্নি নির্বাপক সুবিধাও রয়েছে। বিপদগ্রস্ত মানুষদের ডাকে অবিলম্বে দমকল চলে আসে। রাজ্যের রেলওয়ে স্টেশন এবং বিমানবন্দরে টেলিফোনসংক্রান্ত সহায়তা উপলব্ধ রয়েছে। নির্ধারিত বিমান এবং ট্রেনের অনুসন্ধান টেলিফোনে পাওয়া যায়। জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং যেকোনো সময়ে পশ্চিমবঙ্গের আপৎকালীন নম্বর নাগরিকদের ও ভ্রমণকারীদের সহায়তা করে।
পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ স্টেশন তাদের দ্রুত ও দক্ষ পরিষেবার জন্য বিখ্যাত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পুলিশ বাহিনী পশ্চিম বঙ্গ পুলিশ (ওয়েস্ট বেঙ্গল পুলিশ) হিসাবে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই বিভাগের অধীনে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন ছড়িয়ে আছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বহু অঞ্চল এবং জেলায় বিভক্ত। প্রতিটি অঞ্চলে যেমন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল নেতৃত্বে করেন সেরকম পুলিশের একজন সুপারিনটেনডেন্ট প্রতিটি পুলিশ জেলার প্রধান। বর্তমানে রাজ্যে তিনটি পুলিশ অঞ্চল রয়েছে, যথা উত্তরবঙ্গ অঞ্চল, পশ্চিম অঞ্চল এবং দক্ষিনবঙ্গ অঞ্চল। এক একটি অঞ্চলের অধীনে পাঁচটি বা ছয়টি জেলা থাকে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পুলিশ স্টেশন এই ধরনের জেলার অধীন। একটি পুলিশ স্টেশনের প্রধান হলেন ইন্সপেক্টর বা সাব-ইন্সপেক্টর। একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রধান দায়িত্ব ওই অঞ্চলের পুলিশ স্টেশনের উপর থাকে।
পশ্চিমবঙ্গ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সারা বছর, সারাদিন এবং সব সময়ে উপলব্ধ। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে রোগীদের বহন করার জন্য তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলোতে অনেক হাসপাতাল আছে যেগুলি আপত্কালীন অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দ্বারা সংযুক্ত। রোগীদের প্রয়োজনের দেখাশুনার জন্য বেসরকারী দপ্তর আছে। অ্যাম্বুলেন্সে জরুরী ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সবরকমের চিকিৎসা যন্ত্র থাকে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে যাওয়াকালীন তাদের পরিচালনা করার জন্য প্রশিক্ষিত কর্মী থাকে।
হাসপাতাল ছাড়াও কিছু বেসরকারী সংস্থা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করে থাকে। ২৪ ঘন্টা টেলিফোনসংক্রান্ত পরিষেবা সংস্থাগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সাহায্য করে। পশ্চিমবঙ্গ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা খুবই দ্রুত এবং চটপটে, তারা সময় নষ্ট না করে একটি ফোন পাওয়ার সাথে সাথেই সঠিক স্থানে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেয়।
নীচের তালিকায় কলকাতা শহরের কিছু অ্যাম্বুলেন্স কেন্দ্রের যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে –
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর কলকাতার দমদমে অবস্থিত। এটি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলি বাগডোগরা, পানাগড়, মালদা, কলাইকুন্ডা কোচবিহার, ব্যারাকপুর ও বালুরঘাটে অবস্থিত। এই বিমানবন্দর শুধুমাত্র অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা দেয়।
দমদম বিমানবন্দর দেশের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর। কলকাতার এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সংযোগ ঘটায়। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক (এন.এস.সি.বোস) বিমানবন্দর নিয়মিত বিমানের এক সু-পরিষেবা দ্বারা দেশের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গ বিমানবন্দরের যোগাযোগ নম্বর নিচে দেওয়া হল –
নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দমদম
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রধানত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড (ডাবলু.বি.এস.ই.বি)-এর দ্বারা সরবরাহিত হয়। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিভাগকে দুই ভাগে পুনর্গঠন এবং বণ্টন করেছেন যথা- ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডাবলু.বি.এস.ই.ডি.সি. এল) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (ডাবলু.বি.এস.ই.টি.সি.এল)।
পশ্চিমবঙ্গের ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ ও দেখাশুনা করা হয়। এই কমিশন রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যয়ের শুল্ক নির্ণয় এবং নিয়ন্ত্রণের দেখাশুনা করেন।
এছাড়াও কলকাতা শহরের কিছু এলাকায় সি.ই.এস.সি. লিমিটেড দ্বারা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তারা ১৮৯৯ থেকে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎ বিতরণ করা শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নের জন্য আপনি নিচের তালিকায় দেওয়া টেলিফোন নম্বরে ফোন করতে পারেন -
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান ডাকঘর কলকাতা শহরে অবস্থিত। এটি কলকাতার, জেনারেল পোস্ট অফিস নামে পরিচিত। এটি এই শহরে বিবাদী বাগে অবস্থিত। এর ঠিকানা ৭৯ – বি ডালহৌসি স্কোয়ার, কলকাতা – ৭০০০০১। এই ভবনটি শহরের এক প্রধান প্রতীক বলে মনে করা হয়।
কলকাতা জি.পি.ও-র অধীনে বিভিন্ন এলাকার ডাকঘরগুলি কাজ করে। এই জি.পি.ও ভবনের স্থাপত্য তার সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এই মিউজিয়ামের সাথে একটি পোস্টাল মিউজিয়াম সংযুক্ত রয়েছে। এটি ১৮৮৪ সালে নির্মিত।
পশ্চিমবঙ্গের পোস্টাল সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য, এর অধীনে কর্মরত ডাকঘরগুলি সবসময় আপনাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকে।
এখানে পশ্চিমবঙ্গের ডাকঘর (পোস্ট অফিস)-এর টেলিফোন নম্বর দেওয়া হল :
পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হাওড়ায় অবস্থিত। এই রেলওয়ে স্টেশন হাওড়া ব্রিজ দ্বারা কলকাতা শহরের সাথে সংযুক্ত। এটি ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রেলওয়ে জংশন। এই রেলওয়ে স্টেশন দেশের প্রায় সকল অংশের সাথে কলকাতা ও হাওড়া শহরকে সংযুক্ত করে।
রাজ্যের অন্যান্য অংশগুলি রেলপথ ও সড়কপথ দ্বারা খুব ভালভাবে হাওড়া স্টেশনের সাথে যুক্ত। এছাড়াও কলকাতার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একটি চমৎকার সড়কপথের জালবিন্যাস দ্বারা পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে স্টেশনের সাথে সংযুক্ত। এখানে কলকাতা শহরের যে কোন স্থানে আপনাকে পৌঁছানোর জন্য চব্বিশ ঘন্টা গাড়ী পরিষেবা এখানে উপলব্ধ।
পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে স্টেশনের যোগাযোগ নম্বর নিচে দেওয়া হল –
পশ্চিমবঙ্গের জল সরবরাহ সাধারণভাবে ভালো। রাজ্যে বিভিন্ন নদী ও হ্রদ থাকায় সেচের জন্য জল সর্বদাই সহজলভ্য। বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলগুলিতে গঙ্গা নদী জলের প্রধান উৎস। রাজ্যে নলকূপ ব্যবহারের প্রচলনও আছে।
রাজ্যের শহুরে এলাকাগুলিতে ঘরোয়া এবং শিল্প-সংক্রান্ত ব্যবহারের জন্য প্রধানত জলের প্রয়োজন হয়া ঘরোয়া এবং শিল্প-সংক্রান্ত ব্যবহারের জন্য মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দ্বারা নির্দিষ্ট এলাকায় জল সরবরাহে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। তারা প্রতিটি এলাকায় প্রতিটি বাড়ীতে নিয়মিত জল সরবরাহের ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করে।
অন্যান্য আরো কয়েকটি নির্দিষ্ট সংস্থা আছে, যারা রাজ্যে পানীয় জল সরবরাহের দিকে বিশেষ নজর দেয়। পশ্চিমবঙ্গের জল সম্পর্কিত যেকোন সমস্যার জন্য আপনি যোগাযোগ করতে পারেন –
শ্রী কাশী বিশ্বনাথ সেবা সমিতি – ০৩৩ – ২২৩৯ – ৪১১৩, ০৩৩ – ২২৩৯ – ৩৭৫৯
কিছু অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বর নিচে দেওয়া হল –
সূত্র: বিকাশপিডিয়া টীম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020