বিভিন্ন রাজস্ব-আয়ের ক্ষেত্র নিয়ে গঠিত, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি রাজ্যের দ্রুত উন্নয়নশীল স্তর হিসাবে বিবেচিত হয়। কৃষি ও পরিষেবা ক্ষেত্র এখানকার অর্থনীতির প্রধান উপাদান হলেও, এখানে আরোও অনেক অন্যান্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্র রয়েছে যেগুলি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির সমৃ্দ্ধতার প্রতি অনেক অবদান রেখেছে।
বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের ব্যাপক প্রদর্শনীয়তায়, রাজ্যের অর্থনীতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সহায়তা করে, যা আবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। রাজ্যের অর্থনীতির মজবুত ভিত গঠনের মূলে যেসমস্ত ক্ষেত্রগুলি রয়েছে সেগুলি হলঃ
এখানে আরোও অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রও রয়েছে যেগুলি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে যথেষ্টভাবে সাহায্য করে। এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলি হলঃ
উপরে উল্লিখিত সমস্ত ক্ষেত্রগুলির যৌথ উন্নয়ন ও উন্নতিসাধন সহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি রাজ্যের বহুতরফা উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী ও টেকসই ভিত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাজ্যের নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের কৃষি, দেশের বার্ষিক ফসল উৎপাদনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। অত্যন্ত উর্বর জমি এবং পর্যাপ্ত সেচের সুবিধা দ্বারা আশীর্বাদিত পশ্চিমবঙ্গের কৃষি উচ্চ মানের বীজ ও উন্নত চাষের কৌশল দ্বারা চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হওয়ায়, এই কৃষি ক্ষেত্র রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রচুর সহায়তা পায়। কৃষি মন্ত্রালয় শ্রী পূর্ণেন্দু বসু-র নেতৃত্বে বর্তমান ফলনের উন্নতির জন্য একটি বিচিত্র পরিসর নীতির প্রচলন করেন।
চাষের সুযোগকে বিস্তারিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভূমি-সংস্কার নীতি সম্পাদন করা হয়। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের কৃষিজমির সংখ্যা বৃদ্ধির সুযোগ কম রয়েছে সেহেতু কৃষি মন্ত্রালয় ফসল এলাকাগুলির উন্নয়নের উপর আরোও জোর দিয়েছেন।
প্রায় ২৬৪-টি মৎস্য খামারের সক্রিয়তায়, মৎস্য বিভাগ রাজ্যের এই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থার বিকাশে কঠোর পরিশ্রম করছেন। মাননীয় মন্ত্রী শ্রী চন্দ্রনাথ সিনহা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, মৎস্যপালন প্রাথমিকভাবে তিন ধরনের মাছের কারবার করে; যেমন ভারতীয় প্রধান কার্প, ভারতীয় গৌণ কার্প, বিদেশী প্রজাতির।
পূর্ব কলকাতার জলাভূমি হল প্রধান অঞ্চল যেখানে বিভিন্ন মাছ ধরার ক্রিয়াকলাপ কার্যকরীভাবে সম্পন্ন করা হয়। স্থানীয় ভেড়ি নামে পরিচিত, এই মৎস্য অঞ্চলগুলি বহু-সাংস্কৃতিক ও অপচয় জলে মৎস্যপলনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার প্রযোজনায় রাজ্যের এই মৎস্যপালন বিভাগে প্রাণোদিত হয়েছে। একটি সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগত তথ্য অনুযায়ী, মৎস্য উৎপাদনের এক প্রধান অংশ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য থেকে আসে।
মৎস্য উৎপাদনের উচ্চ সীমা অতিক্রম এবং উন্নত করার জন্য, গত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের দরুন রাজ্যের শহরতলির শঙ্করপুর, ফ্রেশারগঞ্জ ও বার্জ জেট্টি মাছধরার সবচেয়ে সমৃদ্ধ প্রান্ত হয়ে উঠেছে।
সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়ন একটি নতুন গতি অর্জন করেছে। অতীতের পরিষেবা এবং কৃষি ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে, ২০০৫ সালে, ১৭৯৬৮.৪১ কোটি টাকার প্রায় ৩৮৬-টি শিল্পায়ন প্রকল্প উন্নীত হয়েছে।
রাজ্যের মাননীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হলেন ডঃ অমিত মিত্র। বিভিন্ন আসন্ন শিল্পগলির মধ্যে, তথ্য প্রযুক্তি বা আই.টি ক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গে এক বিশাল পথ প্রশস্ত করেছে। পূর্ণাঙ্গ শিল্পায়নের প্রতি রাজ্যের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল কলকাতার সল্টলেক সিটিতে ইলেক্ট্রনিক কমপ্লেক্স-এর প্রতিষ্ঠার সূচনা। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল ছিল আরেকটি প্রধান কৃতিত্ব, যা আক্ষরিক অর্থে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়নের জন্য একটি সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিল।
রাষ্ট্র সমস্ত-পরিবেষ্টিত উন্নতির উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করে, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প উন্নয়ন নিগম (ডব্লু.বি.আই.ডি.সি) বিভিন্ন অর্থনৈতিকগত বহুমূল্য নীতি চালু করেন এবং শহরতলীয় অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব করেন। এর মধ্যে বর্ধমান অগ্রাধিকার তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে, বাঁকুড়ায় ছয়টি ইস্পাত শিল্পের সঙ্গে একটি সিমেন্ট শিল্পের পথ সুগম করা হয়েছে যা আগামী বছরের মধ্যে শুরু করা হবে। পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের উপকণ্ঠে অন্য আরেকটি জায়গা এবং ভবিষ্যতে এখানে পাঁচটি অত্যাবশ্যক শিল্প নিয়ে আসা হবে।
একটি অগ্রণী প্রবণতা স্থাপণে পশ্চিমবঙ্গের তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) ক্ষেত্র এক নেতৃস্থানীয় খেলোয়াড় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি রাজ্যের অর্থনীতির রঙ্গভূমিতে বেশ ভালো কাজ করছে। সুসজ্জিত ভাল প্রশিক্ষিত জনশক্তি সহ, তথ্য প্রযুক্তি বা আই.টি শিল্প ভারতের বাণিজ্যিক রেখান্যাসের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান দাবী করে।
তথ্য প্রযুক্তি বা আই.টি-র কেন্দ্রস্থল গঠনের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স রাজ্যে জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত। এটি উন্নত-প্রযুক্তির ব্যবস্থার অবিশ্বাস্য অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বব্যাপী তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) ব্র্যান্ডের কিছু বৃহত্তম নামের মধ্যে রয়েছে; উইপ্রো, টি.সি.এস, আই.বি.এম এবং এন.আই.আই.টি, কলকাতায় অবস্থিত এই তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) – ভবনগুলি রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় স্থান।
পশ্চিমবঙ্গের এই তথ্য প্রযুক্তি (আই.টি) শিল্পগুলিতে অসংখ্য কর্মসংস্থানের সুযোগ শুধুমাত্র ভারতীয় সংস্থাগুলিকেই নয় বরঞ্চ বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলিকেও উচ্চ-মাত্রায় কর্মী সরবরাহের শ্রেষ্ঠ সমাধান দেয়। তথ্য প্রযুক্তির সক্রিয় সেবা বা আই.টি-র ক্ষেত্র আই.টি-র একটি সম্প্রসারণ এবং যথাযোগ্যভাবে তার মৌলিক নিয়ামকের সুযোগ বর্ধন করে।
রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলিতে সর্বোত্তম বৈদ্যূতিক সম্পদ প্রদান করার জন্য, পশ্চিবঙ্গের বৈদ্যূতিক ক্ষেত্র রাজ্যের চিরকালীন-বৃদ্ধিপ্রাপ্ত চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করে। ভারতের সমস্ত কোণ থেকে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করে, পশ্চিমবঙ্গের বৈদ্যূতিক শিল্প তার সীমানার মধ্যে আরোও ইউনিট স্থাপন করার লক্ষ্য রেখেছে।
১৯৮৫ সালে স্থাপিত, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যূৎ উন্নয়ন নিগম, এই রাজ্যটিকে ভারতের একটি পর্যাপ্ত বৈদ্যূতিক দীপ্ত স্থান রূপে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একটি প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছিল। ১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ বিদ্যূৎশক্তি উন্নয়ন নিগম গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, রাজ্যের যত বেশি সম্ভব গ্রামে বৈদ্যুতীকরণের প্রচেষ্টায় আরোও একটি পদক্ষেপ নিয়েছিল। এমনকি ১৯৯৯ সালে, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ন্ত্রণ নিগমের সামনে আসে যা বর্তমানে বৈদ্যূতিক পরিষেবার দেখাশোনা করেন।
গত কিছুদিন আগে, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যূৎ মন্ত্রণালয় রাজ্যের বর্তমান বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে উন্নতির লক্ষ্যে ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সামিল হয়েছেন। এই আবর্তন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ শিল্পের বৃদ্ধির সম্ভাবনায় একটি প্রধান প্রেরণার সৃষ্টি করেছে।
রাজ্যের আয়ের খাতে বিপুল অঙ্কের উৎপাদনে, ভূ-সম্পত্তি বিভাগ (রিয়েল এস্টেট) পশ্চিমবঙ্গের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চলের এক প্রতীকস্বরূপ। তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের উত্থানের সঙ্গ বরাবর গৃহ মন্ত্রণালয়ের কার্যকর সহায়তা, রাজ্যের ভূ-সম্পত্তি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উৎসাহ দান করেছে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা বৃদ্ধিও এই দৃশ্যকল্পে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের গৃহ মন্ত্রণালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শ্রী অরুপ বিশ্বাস যিনি পশ্চিমবঙ্গে একটি সফল ভূ-সম্পত্তি (রিয়েল এস্টেট) বাজার তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অনেক পরিকল্পনার প্রণয়ন করেছেন। এছাড়াও, কোনও ব্যক্তিগত সংস্থার উৎসাহী সমর্থন ছাড়া রাজ্যের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ, অনেক ভূমি সংক্রান্ত (রিয়েল এস্টেট) প্রতিষ্ঠানের দরুণ একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। একটি প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সবচেয়ে ভালো জমি-ঘর সংক্রান্ত সমাধানের প্রস্তাবে, এই সংস্থাগুলি, এই রাজ্যে স্থায়ী ঘাঁটি তৈরির জন্য বিশ্বের সমস্ত অংশ থেকে এখানে আসছে।
দেশের বিনিয়োগের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতীয় অর্থনীতি (সি.এম.আই.ই) পর্যবেক্ষণের কেন্দ্র হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ২০১০ সালে, ভারতের তথ্য প্রযুক্তির (আই.টি) খাতে রাজ্য সরকার ১৫-২০ শতাংশ বৃদ্ধির দৃষ্টান্ত রেখেছে। আই.টি ক্ষেত্র ছাড়াও বেতার সংযোগ বিভাগও রাজ্যের অর্থনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বি.এস.এন.এল) পশ্চিমবঙ্গের টেলিকম ক্ষেত্রের এক প্রধান খেলোয়াড়। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করার ছয় বছর পর, ১৮৮২ সালের জানুয়ারী মাসে, টেলিকম পরিষেবা কলকাতায় প্রবর্তিত হয়।
বি.এস.এন.এল তার গ্রাহকদের সুবিন্যস্ত বিস্তৃত পরিষেবা প্রদান করে। এটি ‘এক্সেল’ এবং ‘সেল ওয়্যান’ প্রকল্পের অধীনে মৌলিক ফোন, মোবাইল সংযোগ, ইন্টারনেট কানেকশনস, ব্রডব্যান্ড, ওয়্যারলেস ইন লোক্যাল লুপ ফোন (ডব্লু.এল.এল.ফোন) উপলব্ধ করে। কলকাতা টেলিফোনের অধীনে বি.এস.এন.এল-এর প্রায় ১.৩৫ কোটি গ্রাহক রয়েছে। বেতার সংযোগ (টেলিকম সেক্টার)-এর অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলি হল হাচ্, এয়ারটেল এবং রিল্যায়েন্স। পশ্চিমবঙ্গের ২০-টি জেলা রয়েছে যারা খুব ভাল বিএসএনএল ও বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলির মাধ্যমে সু-সংযুক্ত রয়েছে যেমন কলকাতা, বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান, নদীয়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, হুগলী, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, মালদা, মূর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণা, কোচবিহার, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও আলিপুরদুয়ার।
পশ্চিমবঙ্গের একটি সমৃদ্ধ এবং স্পন্দনশীল ঐতিহ্যের উপস্থিতির কারণে, পর্যটন শিল্প ভ্রমণার্থীদের এক অতুলনীয় স্বাদ-বোধ নিবেদন করে। মাননীয় মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসুর পরিচালনায়, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রণালয় এই ক্ষেত্রটিকে ভারতের এক অন্যতম সুন্দর স্থান হিসাবে গড়ে তোলার উপক্রম করেছেন।
প্রাচীন মহিমা এবং ঔজ্জ্বল্য ঐতিহ্যের সঙ্গে সুশোভিত, পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি পর্যটন প্রান্ত একটি স্বতন্ত্র কাহিনীর কথা বলে। উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম সহ রাজ্যের সমগ্র অঞ্চল আদিম সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গের পরিবহন ব্যবস্থা বেশ উন্নত, যা রাজ্যের অর্থনীতিতে এক অবদান রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলি রেলপথ দ্বারা সু-সংযুক্ত রয়েছে।রাজধানী শহর কলকাতার দুটি প্রধান রেলওয়ে স্টেশনঃ হাওড়া ও শিয়ালদহ হল পূর্বাঞ্চলের দুটি প্রধান রেলওয়ে স্টেশন। পশ্চিমবঙ্গের রেলপথ সংযোগের মোট দৈর্ঘ্য হল ৩,৮২৫ কিলোমিটার (২,৩৭৭ মিটার)। কলকাতা, ভারতীয় রেলের একটি কেন্দ্রীয় অবস্থান দখল করে আছে। এটি ভারতীয় রেলের দুটি বিভাগ পূর্ব রেলপথ ও দক্ষিণ রেলপথ-এর সদর দপ্তর। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর অংশের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
কলকাতা মেট্রো কলকাতার মধ্যে পরিবহনের অন্য আরেকটি উপায়। এটি ভারতের প্রথম ভূ-গর্ভস্থ রেলপথ। দার্জিলিং হিমালয় রেলপথ (এন.এফ.আর) শৈলশহর দার্জিলিং-কে রাজ্যের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। ইউনেস্কো (ইউ.এন.ই.এস.সি.ও) এটিকে বিশ্বের ঐতিহ্যগত স্থান বলে ঘোষণা করেছে। দমদমে অবস্থিত নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল রাজ্যের একমাত্র বিমানবন্দর। রাজ্যের আরেকটি প্রধান বিমানবন্দর হল শিলিগুড়ির নিকটবর্তী বাগডোগরা বিমানবন্দর।
সুত্রঃ ম্যাপইনফো ইন্ডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/18/2020