এখন সময় প্রযুক্তির। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই তাই ভিড় লেগে যায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে পড়ার জন্য। পড়া শেষ হলেই কিংবা চাকরি পাওয়ার পরেও কাজ শেষ নয়। চালিয়ে যেতে হবে পড়াশোনা। কাজের ফাঁকে এ রকম দু’-একটা কোর্স করা থাকলে আপনি কিন্তু অনেকের থেকেই এগিয়ে থাকবেন। চাকরির সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কোর্সের পাশাপাশি সরাসরি সম্পর্ক নেই, এমন কিছু কোর্স করে রাখতে পারলে কিন্তু তোমারই সুবিধা। এ রকমই কয়েকটি কোর্সের খবর রইল এখানে।
প্রায় সমস্ত কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারেই সি, সিপ্লাসপ্লাস, সি শার্প, জাভার মতো ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানো হয়। অনলাইন পরীক্ষারও ব্যবস্থা থাকে সংস্থাগুলিতে।
এই কোর্সে কোর আইটির নানা বিষয়গুলো এবং ক্লাউড টেকনোলজির বিষয় পড়ানো হয়। সিলেবাসের মধ্যে বিজনেস সিস্টেম ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, তেমনই অন্য দিকে পড়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং। যাঁরা ব্যবসাভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ করতে চান, তাঁদের কাজে লাগবে। কোর্সের উল্লেখযোগ্য একটা অংশে রয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যপারে প্রশিক্ষণও।
ওয়েবসাইট নির্মাণ থেকে শুরু করে, তার রক্ষণাবেক্ষণের কাজটাও করেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররাই। আইটি পড়াশোনার বিষয়ের মধ্যে এটাও পড়ে। সেই জন্য এক দিকে যেমন ওয়েবসাইটের লেখা ইত্যাদির প্রয়োজন তেমনই, তার গ্রাফিক্স থেকে শুরু করে নানা ডিজাইন করাও দরকার। তাই শিল্পের ধারণার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষাও ঠিকঠাক থাকা দরকার। ওয়েব ডিজাইনিং কোর্সের জন্য এইচটিএমএল, ফোটোশপ, কোরেল ড্র ইত্যাদি এক সঙ্গে শেখানো হয়।
বর্তমান বাজারে মোবাইল অ্যাপের চাহিদা খুব বেশি। অ্যাপ বানানোর জন্য ছাত্রছাত্রীদের সিপ্লাসপ্লাস বা জাভাতে প্রোগ্রাম তৈরি করার ক্ষমতার উন্নতি করাই এই ধরনের কোর্সের কাজ। কোর্সে মাল্টিমিডিয়া সংযোগ, গ্রাফিক্স ইত্যাদি বিষয়ে পড়ানো হয়।
এই কোর্সে মধ্যে পড়ানো হয় ডেটা মাইনিং, ডেটা ওয়্যারহাউসিং, ডেটা ইন্টারপ্রিটেশন, এবং বিজনেস ইন্টেলিজেন্স, যেগুলি বর্তমানে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুবই দরকারি।
এই কোর্স নেটওয়ার্কিং ও টেকনোলজির নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে। যেমন নিরাপত্তা, তথ্য আদান প্রদান বা ভিডিও অডিও আপলোডিং। এক দিকে যেমন তথ্যের আদান প্রদানের ব্যপারে সঠিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ করা ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ, তেমনই অফিসের মধ্যে এবং বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিকল্পনাও এঁদের করতে হয়। ক্রমশ হ্যাকিং বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সাইবার সিকিউরিটির ব্যপারেও আইটি প্রফেশনালদের দরকার পড়ছে। তাই এর দাম বাড়ছে।
সূত্র: হিরণ্ময় রায়, এই সময়, ২৬ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020