বহু সিআইও, যারা নতুন ইআরপি সফটওয়্যার প্রয়োগ করতে চলেছেন, তাঁরা শেষ পর্যন্ত এই শিল্পের দুই প্রধান প্রতিযোগী সংস্থা এসএপি ও ওরাক্লের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আটকে যাচ্ছেন। কারণ দুয়েরই বাজার দখলের পরিমাণ সমান, কোন কোন পণ্য তারা দেয়, তা-ও স্পষ্ট, পণ্যগুলির শক্তি, দুর্বলতা, ঝুঁকি এবং অন্যন্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যেও খুব একটা তফাৎ নেই।
পৃথিবীর কয়েকশো কার্যকর ইআরপি-র পরিমাণগত রিপোর্ট, প্যানোরামা কনসাল্টিং-এর ২০১৪ ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস রিপোর্ট অনুযায়ী- এসএপি ও ওরাক্লের ভোক্তারা দু’টি পণ্য ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিন্ন ফলাফল পেয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এসএপি বা স্যাপের ক্রেতারা কম খরচে সেটি কার্যকর করতে পেরেছেন, অন্য দিকে প্রায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ওরাকল কার্যকর করা গিয়েছে। চর্চার বিষয়গুলিকে ব্যাখ্যা করলে এ রকম আরও নানা তথ্য আমরা পাব।
এই আলোচনায় নানা বিষয় যুক্ত থাকলেও আমরা দুয়ের মধ্যে পার্থক্য বিচার করার জন্য আলোচনাটি পাঁচটি বিষয়ের মধ্য কেন্দ্রীভূত রাখব। এগুলি হল -- কার্যকর করার ঝুঁকি, কার্যকর করার খরচ ও সময়কাল, কর্মক্ষমতা প্রসারণ, সফটওয়্যারের কার্যকারিতা ও প্রয়োজনমাফিক হয়ে ওঠার নমনীয়তা, ক্লাউড গ্রহণ করতে পারা। দু’টি পণ্যের পার্থক্যের এগুলি প্রধান দিক, এগুলি নিয়ে আলোচনা করলে আমরা পণ্যগুলির ভবিষ্যৎ গতিপথও বুঝতে পারব।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019