অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

নতুন পেশা জনস্বাস্থ্য কর্মী

নতুন পেশা জনস্বাস্থ্য কর্মী

জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক স্তরে শেষ কয়েক বছরে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থা। পরিবেশ দূষণ, সংক্রামক ব্যাধির বাড়বাড়ন্ত, গড় আয়ের পরিমাণ কম থাকা ইত্যাদি কারণে ভারত-সহ তৃতীয় বিশ্বের একাধিক দেশে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ইস্যু ক্রমে প্রশাসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে। সেই কারণে নেওয়া প্রশাসনের একাধিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রকল্পতে চিকিত্সকের পাশাপাশি প্রয়োজন হবে অসংখ্য পাবলিক হেলথ কর্মীর। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ২০১৩ সাল থেকেই একাধিক সরকারি প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে চালু হয়েছে পাবলিক হেলথ সংক্রান্ত মাস্টার ডিগ্রি ও নানা সময়ের ডিপ্লোমা কোর্স। দিল্লিতে এই কোর্সে পরিকল্পনার সূত্রপাত হলেও সরকারি

উদ্যোগেই ক্রমে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা এই কোর্স করতে পারেন। সাধারণ মাস্টার ডিগ্রির মতোই এই কোর্সেরও সময়সীমা দুই বছরের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কোর্সের সময়সীমা দু’বছরে কেবল মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডির ভিতরে ছাত্রদের আটকে রাখলেই হবে না।

তাদের জাতীয় স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। ধারণা করতে হবে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা, গড় আয়ের ভিত্তিতে গড় স্বাস্থ্যের পরিসংখ্যান ইত্যাদি সম্পর্কেও। চিকিত্সক অমল শ্রীবাস্তব জানাচ্ছেন, ‘সরকারি হাসপাতালে কাজ করার ফলে খুব ভালো করেই বুঝতে পারি এই দেশের একেবারে নিচুস্তরের মানুষের মধ্যে তাঁদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা একেবারেই নেই। কিন্তু বৃহত্তর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উদ্ধারের কাজটা চিকিত্সকরা করতে পারবেন না, তার জন্য প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল স্টাফ চাই। পাবলিক হেলথের কোর্স আসলে সেই ধরনের কর্মীরই জোগান দেবে, যা আমাদের মতো দেশের পক্ষে খুব দরকারি।’প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য গবেষকদের মতে, এই সময়ের প্রধানতম সমস্যা জনস্বাস্থ্য। এর উন্নতি না করতে পারলে দেশীয় জীবনযাত্রার মান যেমন বাড়বে না, তেমনই মানব সম্পদের সঠিক প্রয়োগও করা যাবে না। ফলে জাতীয় আয়, দেশীয় অর্থনীতির কাঠামোও ভেঙে পড়বে ক্রমে। সেই জন্যেই প্রশাসন অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে এই প্রকল্পগুলিতে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে ভাবে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরে সরকারি বেসরকারি (এনজিও) উদ্যোগে জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব বাড়ছে, তাতে কাজের সুযোগও নিয়মিত বাড়ছে। কেবল মাত্র সরকারি দফতরে কেরানির কাজ করতে হবে তাই নয়, যদি কেউ গবেষণা করতে চান তা হলে তার জন্যও সুযোগ রয়েছে দেশে ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে।

সূত্র : উদ্দালক ভট্টচার্য, এই সময়, ২ এপ্রিল ২০১৫,

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate