সব বাচ্চাই কোনও না কোনও সময়ে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু শেষ অবধি পারে ক’জন ? এ চাকরিতে স্বাস্থ্যমানের কড়াকড়ি ও ট্রেনিং-এর চাপ আছে। তা ছাড়া পাইলট হতে গেল একটা ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজন। দ্বাদশ স্তরে পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক নিয়ে বিজ্ঞান শাখায় কম করে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশা করতে হয়। এর পর উড়ানের ট্রেনিং। প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স পেতে গেলে অন্তত ১৬ বছর বয়স হওয়া বাধ্যতামূলক। আর কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের জন্য অন্তত ১৭ বছর বয়স হওয়া চাই। দু’চোখের দৃষ্টি চাই ৬/৬। সাধারণত স্বাস্থ্য মজবুত হতে হবে। বিমান চালাতে চাইলে প্রথমে স্টুডেন্ট পাইলট লাইসেন্স পেতে হবে। তার পর পিপিএল। এর মধ্যেই শেখানো হয় এভিয়েশন মেটেরোলজি ও এয়ার ন্যাভিগেশন। পিপিএল পেতে ৬০ ঘণ্টা উড়ান অভিজ্ঞতা লাগে। তার মধ্যে ২০ ঘণ্টা সোলো অর্থাৎ একা ওড়ার অভিজ্ঞতা। সিপিএল পেতে গেলে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে অন্তত ২৫০ ঘণ্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। এই পেশায় আইনকানুন বেশ কড়া। দেশে বেশ কয়েকটি ফ্লাইং স্কুলেই লাইসেন্স দেওয়া হয়। তবে আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাগুলিতে চাকরি পেতে হলে কোনও আন্তর্জাতিক মানের ফ্লাইং স্কুল থেকেই প্রশিক্ষণ নিলে ভালো। এই পেশায় গ্ল্যামার আছে। আছে মাসিক ছয় অঙ্কের বেতন কাঠামো। তবে কাজের সময় অন্য দশটা-পাঁচটা চাকরির মতো ছকবাঁধা নয়। নিষ্ঠা লাগে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে চনমনে থাকতে হয়। পেশায় ঝুঁকিও আছে। বর্তমানে অনেক মেয়েও এই পেশায় আসছেন।
মেধাবী প্রশিক্ষিতদের এয়ারলাইন সংস্থাগুলি শিক্ষানবিশির সুযোগ দেয়। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে ভবিষ্যতে ওই সব কোম্পানিতে পাইলট হিসেবে কাজ করার সুযোগ মেলে। শিক্ষানবিশদের বেতন কম হলেও পরে পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মাইনে বাড়াতে থাকে। ভারতে পাইলটরাই সর্বোচ্চ বেতনের চাকরি করেন। দেশীয় বিমান সংস্থায় এক জন পাইলটের বেতন মোটামুটি দেড় লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। পরে সময় ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে সেটা বাড়ে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই বেতন কাঠামো প্রায় বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক উড়ানে এক জন দক্ষ পাইলটের মাসিক বেতন প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা হতে পারে।
তবে ভারতীয় বায়ুসেনা দলে যোগ দিতে চাইলে তার জন্য আলাদা পরীক্ষা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে বেতন কাঠামো কমার্শিয়াল পাইলটদের তুলনায় অনেক কম হলেও সরকারি পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকে।
১. পাইলট- ব্যক্তিগত পাইলট লাইসেন্স ও বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স।
বিস্তারিত বিবরণের জন্য – www.igrua.com, www.dgca.nic.in
২. এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং- আইআইটি খড়গপুর
ভর্তি- আইআইটি-জেইই-র মাধ্যমে
ওয়েবসাইট- http://jee.iitd.ac.in অথবা http://www.jee.ac.in
৩. এয়ারক্র্যাফট মেইনটেনান্স ইঞ্জিনিয়ারিং - ইন্ডিয়ান ইনস্টটিউট অফ এরোনটিক্যাল সায়েন্স,
পি-২৫৪, মাইকেল নগর, জশোর রোড,ফোন- ২৫৬৭-৩৮৩০
যোগ্যতা- পর্দ্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক সহ উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর।
কোর্স শেষ হওয়ার পর ভারত সরকারের ডিজিসিএ-তে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স পেতে হবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/30/2019