আজ ভারতে অ্যানিমেশন সব চেয়ে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকা পেশাগুলির অন্যতম। আরও আরও দক্ষ অ্যানিমেটরের চাহিদা তৈরি হওয়ায় এই ক্ষেত্রে কাজের সুযোগও বাড়ছে এবং অ্যনিমেশনকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার চাহিদাও বাড়ছে। যদিও শিল্পের চাহিদার থেকে জোগান এখনও অনেক কম। অ্যানিমেশন শিল্পে বর্তমানে বছরে ৩০ হাজারেরও বেশি চাহিদা তৈরি হচ্ছে।
অ্যানিমেশন শিল্প, যাতে এক সময় পশ্চিমী দেশগুলির চূড়ান্ত দাপট ছিল, আজ ভারতে তাদের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে। এশিয়ার সমস্ত দেশগুলির মধ্যে ভারতেই বিশ্বমানের অ্যানিমেশন তৈরির দক্ষতা ও সৃজনশীলতা সব চেয়ে বেশি, তাই সম্ভাবনাও বেশি। এই শিল্প ভারতে নতুন হলেও তা বিপুল বৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। টেলিভিশন, ফিল্ম ও বিজ্ঞাপনে অ্যানিমেশন ও স্পেশাল এফেক্টের চাহিদা প্রচুর । সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পুরাণ ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের যথাযথ মিশেল এ দেশে সহজলভ্য হওয়ায় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিচার তৈরি হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। এই বৃদ্ধি কেবলমাত্র অ্যানিমেশন শিল্পেই আটকে থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে মোবাইল ও গেমিং শিল্পেও। এর ফলে টু-ডি ও থ্রি-ডি অ্যানিমেটরদের কাজের সুযোগ বাড়বে এবং সারা পৃথিবীতে ভারতীয় অ্যানিমেটরদের চাহিদা তৈরি হবে।
ভারতে অ্যানিমেশন শিল্প বেড়ে চলেছে। ইংরাজি জানা নাগরিক সমাজ, কম খরচ এবং স্টুডিও সহ উন্নত পরিকাঠামোর জন্য পশ্চিমী অ্যানিমেশন সংস্থাগুলি ভারত থেকে তাদের বহু কাজ আউটসোর্স করছে। ফান ব্যাগ অ্যানিমেশন, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইট অ্যান্ড ম্যাজিক এবং ডিজনির মতো বিখ্যাত অ্যানিমেশন সংস্থাগুলি ভারতের সঙ্গে সহ-প্রযোজনায় অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র তৈরি করার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020