একটা সময় ছিল প্রকাশনা শুধু বই ও সংবাদপত্র প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। এখন কিন্তু এটি ব্যাপক ভাবে বিস্তৃত হয়েছে ইন্টারনেটে ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমেও। বই যেমন প্রকাশিত হচ্ছে, তেমনই এর পাশাপাশি এখন বিপুল হারে প্রকাশ করা হচ্ছে ই-বুক। টানা কাগজের মূল্যবৃদ্ধি তো বটেই, ছাপার খরচ কমানোর জন্য এই মাধ্যমকে গুরুত্ব দিচ্ছে বহু প্রকাশনা সংস্থাই। এবং পাঠকদের মধ্যেও এই ই-বুক, ই-সংবাদপত্র, ই-জার্নালের চাহিদা বাড়ছে। কারণ বহু মানুষই এখন স্মার্টফোন, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপেই পড়াশোনার যাবতীয় কাজ সেরে ফেলতে চান। এই কারণেই ই-বুক বা ভার্চুয়াল বুকের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত হারে। ছাপা বই প্রকাশের জন্য যেমন পাবলিকেশন-এর কাজে দক্ষ কর্মীদের দরকার পড়ত, এই ই-বুকের বাজারেও কিন্তু তাঁদের চাহিদা কমছে না। বরং বলা ভালো, এঁদের চাহিদা বাড়ছে দ্রুত হারে।
ভারতে এই কেরিয়ার এখন গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা পেয়ে গিয়েছে। বহু প্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে কোর্স করাচ্ছে। এই কোর্সগুলি পড়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থায় সাব এডিটর, অ্যাসিস্টান্ট এডিটর, মার্কেটিং ম্যানেজার, প্রোডাকশন-ইন-চার্জ প্রমুখ পদে চাকরি পাওয়া যায়৷
১০ + ২ পাশ করার পর বুক পাবলিশিং-এর বিএ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ডিপ্লোমা কোর্স আছে। এনবিটি ট্রেনিং কোর্স বুক পাবলিশিং। এটি প্রিন্টিং টেকনোলজি নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করে। আমরা আগেই বলেছি, বেসরকারি ও সরকারি সংস্থাগুলিতে চাকরি হামেশাই পাওয়া যায়। আবার অনেকে নানা রকম ফ্রিল্যান্সিং কাজও করতে পারেন। মুদ্রিত দ্রব্যের মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রেও এই কোর্সগুলি খুব উপযোগী। ভারতে যে প্রতিষ্ঠানগুলি এই বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে নাম করেছে, সেগুলি হল ‘ইনস্টিটিউট অফ প্রিন্টিং টেকনোলজি, কেরালা’, ‘গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব প্রিন্টিং টেকনোলজি, অন্ধ্রপ্রদেশ’, ‘ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট, দিল্লি’, ‘মহারাষ্ট্র ইনস্টিটিউট অফ প্রিন্টিং টেকনোলজি, পুনে’, ‘ইনস্টিটিউট অফ প্রিন্টিং টেকনোলজি, চেন্নাই’। এ ছাড়া সারা দেশ জুড়েই প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইন্টারনেটে সার্চ করলেই এমন বহু প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যাবে।
এই কাজে প্রথমেই ১০ হাজার থেকে রোজগার শুরু। কেরিয়ারের অল্প সময়ের মধ্যেই ২৫ হাজার টাকা রোজগার করাটাও অসম্ভব নয়। অভিজ্ঞতাসম্পন্নরা ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন মাসে।
সূত্র: এই সময়, ১৯ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020