বিভিন্ন প্রাক স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাদার পাঠক্রমে পড়ুয়াদের ভর্তির পদ্ধতি হল প্রবেশিকা পরীক্ষা। সাধারণ ভাবে উচ্চ স্তরের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়ে থাকে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলেজ এই ধরনের পরীক্ষাগুলি নিয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলিতে উত্তীর্ণ হলেই পড়ুয়ারা নির্দিষ্ট ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।
একটা পাঠক্রম বেছে নেওয়া খুবই সহজ, কিন্তু পড়তে হলে এক জন পড়ুয়াকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষার ভিত্তিতেই প্রার্থী বাছাই করা হয় এবং সেই পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পাওয়া নম্বরে বা স্থানাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠান ঠিক করে তাকে কোন ধরনের পাঠক্রমের অংশ হওয়ার সুযোগ দেবে -- ডিপ্লোমা, পোস্ট ডিপ্লোমা, প্রাক স্নাতক, স্নাতকোত্তর, গবেষণা নাকি ফেলোশিপ । এমনকী সব রকমের পেশাগত পাঠক্রমের ক্ষেত্রেও প্রার্থীকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হতে হয়। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারের পক্ষে উপযুক্ত শিক্ষাগত ভিত্তি প্রস্তুতির সুযোগ প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিই তৈরি করে দেয়। পড়ুয়ার দক্ষতা, মেধা, তীক্ষ্ণতা, জ্ঞান সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্যই প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। পড়ুয়ার স্বাভাবিক দক্ষতার দিকটি প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রবেশিকা পরীক্ষা নির্দিষ্ট ধরনেই গ্রহণ করা হয়ে থাকে। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাতে যারা সফল হয় তারা ডাক পায় দলবদ্ধ আলোচনায় বা গ্রুপ ডিসকাসনে। তার পর হয় ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকার।
ক্ষেত্র অনুযায়ী প্রবেশিকা পরীক্ষা নানা ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা, ফ্যাশন ও টেকনোলজির প্রবেশিকা পরীক্ষা, ভারতে ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রবেশিকা পরীক্ষা, ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা, মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা, বিজ্ঞান/কম্পিউটারের প্রবেশিকা পরীক্ষা, আইনের প্রবেশিকা পরীক্ষা ইত্যাদির চাহিদা পড়ুয়াদের কাছে সব চেয়ে বেশি।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019