কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষ চিকিৎসা ক্ষেত্রে যুক্ত পেশাদার বলতে বুঝত ডাক্তার, নার্স ও বড়জোর স্বাস্থ্যকর্মীদের। সময় বদলেছে, সমাজ বদলেছে, বদলেছে কাজের ক্ষেত্র। আজকের দিনে শিক্ষা ক্ষেত্রের মতো স্বাস্থ্যও একটি পরিষেবা ক্ষেত্র। অর্থাৎ পরিষেবার গুণগত মান, উপভোক্তাদের সন্তুষ্টি, চিকিৎসার খরচ ও পরিবর্তে দেওয়া পরিষেবা - সবটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এখন কাজের সুযোগ বাড়ছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজই কিছু না কিছু নতুন সমস্যা আসে এবং গবেষণায় নতুন কিছুর উদ্ভাবন হয়। পাঁচ দশক আগের ‘ডিজিসপ্রোফাইল’-এর সঙ্গে এখন অনেক ফারাক। রোগ আলাদা, চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা। বদলে যাওয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার - এ সবই আজকের দস্তুর। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরিষেবা দেওয়া-নেওয়া, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার বাধা বিপত্তি কমে গিয়েছে অনেক, বেড়েছে সুযোগ। সব মিলিয়ে আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবার শিল্পের যোগ্য হয়ে ওঠা আজ আর তেমন কঠিন কিছু নয়।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় পরিকাঠামোর উন্নতি হওয়ায় সেই সঙ্গে যুক্ত বায়োটেকনোলজি, ক্লিনিক্যাল রিসার্চ, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হেলথ ইকোনমি, বায়োইনফরমেটিক্স ও মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশনের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধি বিকাশের ফলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মেডিকেল ল বা মেডিকেল এথিক্স সংক্রান্ত পড়াশোনাও।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ প্রতি দিন বাড়ছে। নতুন নতুন হাসপাতাল, নার্সিংহোম যত গড়ে উঠছে, ততই বাড়ছে দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য পেশাদারদের চাহিদা। আগে কোনও হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্যবস্থাও দেখতেন ডাক্তাররাই। এখন বিদেশি মডেলে গড়ে ওঠা নার্সিংহোমগুলির পরিচালন ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রিধারীদের। অত্যাধুনিক হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের মত প্রথাগত পেশাদার ছাড়াও প্রয়োজন - ডায়াগনিস্টিক কর্মী, ফিজিওথেরাপিস্ট, অ্যানাসথিসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থেকে হসপিটাল ম্যানেজার, ওয়ার্ড বয়, রিসেপশনিস্টদেরও। প্রত্যেকের নিজের নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনমাফিক প্রশিক্ষিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। মেডিকেল দুনিয়া ঘিরে এ রকম দু’টি নতুন পেশার হদিশ রইল এই বিভাগে।
সূত্র: যোজনা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/13/2020