অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

শিশুশ্রম, ভাষা সমস্যা ও অপুষ্টি

শিশুশ্রম, ভাষা সমস্যা ও অপুষ্টি

শিশুশ্রমও শিশুদের অনুপস্থিতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে শিক্ষকদের লেখা থেকে বেরিয়ে এসেছে। মোট ১৩ জন শিক্ষককে এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গেছে। জলপাইগুড়ি জেলার শ্যামাপ্রসাদ আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্দীপ পাল তাঁর বিদ্যালয়ের বালিকাদের মধ্যে সমস্যাটিকে দেখতে পেয়েছন। তাঁর কথায়, ‘বেশির ভাগ ছাত্রী বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে, ফলে বিদ্যালয়ে আসা অনিয়মিত।’ শিশুশ্রমের কারণে অনুপস্থিতির এই সমস্যার উৎস বেশির ভাগ শিক্ষকই আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে চিহ্নিত করেছেন। মুর্শিদাবাদ জেলার শিক্ষক দীপক কুমার রায় লিখেছেন :

‘আমার বিদ্যালয়টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত ... বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় এলাকায় একটা রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় এবং অভিভাবক/অভিভাবিকাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সময় দেখা যায় গরহাজিরা। এই গরহাজিরার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল ঐ পরিবেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রভাব। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাধারণ ক্ষেতমজুর পরিবেশের সন্তানেরা বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। আর্থিক অনটনের কারণে ঐ সকল শিশু বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সম্পর্কযুক্ত কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।’

খুবই কম শিক্ষক উল্লেখ করেছেন, অথচ অনুপস্থিতর কারণ হিসেবে যা যথেষ্ট গুরুত্ব দাবি করে, এমন কিছু বিষয়ও শিক্ষকদের লেখা থেকে উঠে এসেছে। যেমন জলপাইগুড়ি জেলার পশ্চিমপারঙ্গের পার খাসিয়ামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রহ্লাদ দাস লিখেছেন বাংলাভাষা নয় এমন শিশুদের জন্য ভাষার সমস্যা অনুপস্থিতির এক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি লিখেছেন :

‘বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভাষার ছাত্রছাত্রীরা আসে। যাদের মাতৃভাষা বাংলা নয়, তাদের বাংলা ভাষা রপ্ত করতে অনেক সময় লেগে যায়। এর পর ইংরাজি ভাষা নিয়ে পঠনপাঠনের ক্ষেত্রে তাদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপানোর মতো অবস্থা হয়ে যায়।’

আবার ওই জেলারই ধী গাঙ্গুলী তাঁর বিদ্যালয়ে শিশুদের শারীরিক অসুস্থতাকে অনুপস্থিতির এক বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অপুষ্টি আমাদের বিদ্যালয়ে একটি বড় সমস্যা। অনেক ছাত্রছাত্রীকে দেখা যায় ভীষণ রোগা, চোখমুখ ফ্যাকাশে ইত্যাদি। এরা খুব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকে বলে এদের বিভিন্ন রকম পেটের অসুখ লেগেই থাকে। ফলস্বরূপ অনিয়মিত উপস্থিতির হার বাড়তে থাকে।’

সূত্র : কলমচারি, প্রতীচী ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/27/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate