শিক্ষকদের মধ্যে একটি বড় অংশ আবার এই নতুন পদ্ধতিতে ইংরাজি শিক্ষাদানের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা বোধ করছেন বলে দেখা যাচ্ছে। যদিও তাঁরা বেশির ভাগই পদ্ধতিটিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং স্বীকারও করেছেন যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াতে গিয়ে তেমন অসুবিধার সম্মুখীন না হলেও পরবর্তীকালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে লেখার ওপর জোর দেওয়া হয় না। ফলে শিশু বলতে পারলেও সঠিক ভাবে লিখতে শিখছে না। পরের শ্রেণিগুলিতে গিয়ে এটিই সমস্যার সৃষ্টি করে। ফলে শিক্ষকদের কাছে অসুবিধাজনক বলে মনে হয়েছে। কিছু কিছু শিক্ষক ইংরাজি ক্লাসগুলি সম্পূর্ণ ইংরাজিতে হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী গ্রাম থেকে উঠে আসা বাচ্চাগুলির সাথে শুধুই ইংরাজিতে কথা বলা বেশ শক্ত। তাঁদের লেখাগুলিতে বিশেষত তাঁদের পড়ানোর সমস্যাই পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই নতুন ভাবে ইংরাজি পড়ানোর পদ্ধতি কী ভাবে গ্রহণ করছে তা নিয়ে কোনও আলোচনা করেন নি। কাকদ্বীপের এক জন শিক্ষক লিখেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরাজি সিলেবাস গ্রাম বাংলার ছেলের কাছে খুব কঠিন হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ইংরাজিতে অক্ষর চেনা ও হাতের লেখার ওপর কোনও অধ্যায় নেই, ফলে অক্ষর জ্ঞান না শিখে অনেক পড়া শুনে করতে হয়, তাদের ভিত নষ্ট করে দেওয়া হয়।’ শিক্ষকেরা নিজেরাই আবার নিজেদের খানিক সমালোচনাও করেছেন। যেমন, মালদা থেকে এক জন শিক্ষক এ কথা পরিষ্কার করেই বলেছেন ইংরাজি ক্লাসে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় না। এ ক্ষেত্রে দক্ষতার তুলনায় মানসিকতার অভাব বেশি কাজ করে। তিনি আরও বলেছেন মানসিক ভাবে শিক্ষকেরা আরও বেশি যুক্ত হলে এবং পাঠদানের চেষ্টা করলে অবশ্যই সাফল্য আসবে।
তাই শুধু সমালোচনা বা অসুবিধার কথাই আলোচনা নয় বরং কিছু শিক্ষক যাঁরা সমাধান নিজেরাই খুঁজে প্রতি দিনের সমস্যাগুলির সামনে দাঁড়িয়েও পাঠদান প্রক্রিয়া চালিয়ে চলেছেন। তাঁদেরকেই উদাহরণ করে সকলের এগিয়ে চলার ব্যাপারে ভাবা যেতে পারে। এবং এই পদ্ধতি অন্য বিষয়েও কাজে লাগানো যেতে পারে।
সূত্র : কলমচারি, প্রতীচী ইনস্টিটিউট, ফেব্রুয়ারি ২০১২
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/30/2020