কোথাও কোথাও তোমাকে একটা-দুটো লেখার স্যাম্পেল জমা দিতে হতে পারে। তুমি স্নাতকোত্তরের সময় যে বিষয়ের ওপর কোনও প্রবন্ধ লিখেছিলে সেটাও জমা দিতে পারো, অথবা নতুন কিছু লিখেও জমা দিতে হতে পারো। তুমি যেটা সব থেকে ভালো জানো বা পারো, সেই বিষয়ের ওপরেই লেখার চেষ্টা কোরো। এ ক্ষেত্রেও শব্দ সংখ্যা মাথায় রেখো। তোমার রাইটিং স্যাম্পেল থেকে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ তোমার নিজে নিজে ভাববার এবং ভাবনাকে উপস্থাপন করার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে চাইবেন।
অথবা নিজে নিজে ভাবার বিষয়টি যদি বাদও দিই, তাহলেও তাঁরা দেখবেন, তুমি তোমার অধীত বিষয়টি কতটা ভাল ভাবে বুঝেছ বা উপলব্ধি করেছ, তা থেকে তোমার মনে কী কী প্রশ্ন জেগেছে এবং সেগুলিকে তুমি কতটা দক্ষতার সঙ্গে সামনে আনতে পারছ। পরীক্ষার নম্বর থেকে এগুলো বোঝা মুশকিল। তাই নিজস্ব লেখার প্রয়োজন। যদি পুরনো লেখাটি নতুন করে পড়ে সেখানে তুমি দুর্বলতা খুঁজে পাও, তাহলে নতুন ভাবনা সমৃদ্ধ নতুন লেখাই দেওয়া উচিৎ।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই এই সব তথ্যের সঙ্গে আলাদা করে ছাত্রের সিভি চায় না। কোথাও কোথাও হয়তো লাগে। সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্য দিয়ে রাখো। যেমন, জন্ম তারিখ, কোন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছো, বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর, কোন কোন ডিগ্রি রয়েছে। যদি কোনও স্কলারশিপ পেয়ে থাকো সেটা উল্লেখ করো। এ ছাড়াও কাজের অভিজ্ঞতা, গবেষণার অভিজ্ঞতা, এক্সট্রাকারিকুলার অ্যাক্টিভিটির কথাও উল্লেখ করো।
অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট তোমার আবেদনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তোমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই সেটা সংগ্রহ করতে পারবে। অনেক সময় ট্রান্সক্রিপ্টে শুধু কোর্স আর প্রাপ্ত নম্বর উল্লেখ করা থাকে। অনেক প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে কোর্স সিলেবাসও চাইতে পারে। সেটাও হাতের কাছে রেখো। সাধারণত ট্রান্সক্রিপ্টের একটা করে কপি দিলেই হয়, তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে আবার একাধিক কপিও দিতে হতে পারে।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020