বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে লেটার অব রেকমেন্ডেশন অত্যন্ত জরুরি বিষয়। যার কাছে তুমি পড়েছ, তিনি তোমার উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মতামত দেবেন, তা যে এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার ব্যাপার, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবেদন অনলাইন জমা করা গেলেও লেটার অব রেকমেন্ডেশন, স্টেটমেন্ট অব পারপাসের মতো কাগজপত্র কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। আজকাল অনেক ক্ষেত্রে যিনি তোমাকে রেকমেন্ডেশন দিচ্ছেন, তিনিও অনলাইন জমা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তোমার রেকমেন্ডারকে সিভি ও মার্কশিটের কপি যেমন দিয়ে রাখবে তেমনি তিনি কোন সেমেস্টার, কী কোর্স পড়িয়েছিলেন সেটাও জানিয়ে রেখো। এটাও বলে রেখো, যে অনলাইন রেকমেন্ডেশনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাকে মেল করতে পারে।
মনে রেখো, জিআরই বা জিম্যাট-এর স্কোর প্রতিষ্ঠানের বাছাই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ। এই সব প্রক্রিয়ায় যারা কম নম্বর পায়, তারা প্রথমেই বাদ চলে য়ায়। এর পর নির্বাচকরা দেখেন তোমার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড, লেটার অব রেকমেন্ডেশন, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, সিভি, রাইটিং স্যাম্পেলের মতো বিষয়গুলিও। ফলে এগুলোকেও হেলাফেলা করা চলবে না। লেটার অব রেকমেন্ডেশন (এলওআর) আবেদনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ। এর মাধ্যমেই তোমার দক্ষতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাবেন নির্বাচকরা। যে শিক্ষক তোমাকে পড়িয়েছেন বা যাঁর সঙ্গে কোনও প্রোজেক্টে কাজ করেছ, তিনি যদি এটা লেখেন, তা হলে ভালো হয়। কিন্তু যদি সুযোগ থাকে, তা হলে এমন কোনও শিক্ষকের থেকে এলওআর নাও, যাঁকে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসররাও ভালো চেনে। তিনি যদি তোমাকে পড়িয়ে থাকেন, তা হলে তো সমস্যা নেই। আর তুমি সরাসরি তার ছাত্র না হলেও তাঁকে গিয়ে বল তুমি বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে ইচ্ছুক। তোমার প্রোজেক্ট, পেপার ইত্যাদি তাঁকে বিশদে জানাও। তিনি সব খোঁজ খবর নিয়ে একটা এলওআর লিখে দিতেই পারেন। হাতে সময় নিয়ে অ্যাপ্রোচ করবে, যাতে তিনি সময়মতো চিঠিটা লিখে দিতে পারেন।
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ২০ জানুয়ারি, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/21/2019