অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় উচ্চমাধ্যমিকে বেশি নম্বর দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় উচ্চমাধ্যমিকে বেশি নম্বর দিতে বিশেষ ব্যবস্থা

উচ্চ মাধ্যমিকে এ বার পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়ানোর উপর জোর দিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করছে তারা। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস শনিবার বলেন, ‘অন্য বোর্ডের মতোই এ রাজ্যের সরকারি বোর্ডের পরীক্ষার্থীরাও যাতে উচ্চ মাধ্যমিকে বেশি নম্বর পায়, সে জন্য ছোট ছোট প্রশ্নের উপর এ বার বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় এমসিকিউ-সহ ৭০ শতাংশ প্রশ্নই থাকবে দুই, তিন ও পাঁচ নম্বরের। ফলে নম্বর তোলা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এই পদ্ধতিতে পড়ুয়াদের খুঁটিয়ে বই পড়ার প্রবণতা বাড়বে।’ সংসদ সভাপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছাকে মর্যাদা দিতেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদ সভাপতি এ দিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন ও ইচ্ছা ছিল, অন্য বোর্ডের মতো এ রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আওতায় থাকা পড়ুয়ারা যেন বেশি নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’

পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি জানান, এ বছর যে সব বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল আছে, তাতে ৩০ নম্বর এবং কলা ও বাণিজ্য বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বরের প্রজেক্ট খাতা জমা নেওয়া হয়েছে। সে জন্য ৪০ লক্ষের বেশি খাতা ইতিমধ্যে সংসদে পৌঁছেছে। সংসদ সেই খাতাগুলি স্ক্রুটিনি করবে। সভাপতি জানান, প্রতিটি পরীক্ষায় দুটি করে ভাগ থাকবে। পার্ট-এ এবং পার্ট-বি। পার্ট-বি-তে মূলত এক নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন রাখা হবে। সঠিক উত্তর লিখলেই ছাঁকা নম্বর পাওয়া যাবে। তবে পার্ট-বি-এর প্রশ্নপত্রেই উত্তর লিখতে হবে। সেটি পরীক্ষা কেন্দ্রে জমা দিয়ে যেতে হবে। তেমনি টোকাটুকি এড়াতে পার্ট-বি-র ক্ষেত্রে একাধিক সেটের প্রশ্ন করা হয়েছে। যাতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে পাশের কারও প্রশ্ন না মেলে। আর যে সব প্রশ্নে এক নম্বরের বেশি বরাদ্দ রয়েছে সেগুলি পার্ট-এ-তে থাকবে। তবে বড় প্রশ্নের তুলনায় ছোট ছোট প্রশ্নের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের মাধ্যমে লেখা পরীক্ষায় ৭০ -৭৫ শতাংশ উত্তর দেওয়া যাবে। টোকাটুকি সম্পূর্ণ এড়াতে ও নতুন পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা হওয়ার কারণে এ বছর পরিদর্শকের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি মহুয়াদেবীর। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, গত বছরের তুলনায় এ বারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। নিয়মিত এবং সিসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ২৪১ জন। গত বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৯ জন। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এ বছর গোটা রাজ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দু’হাজার ন’টি। উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৪৭টি বিষয়ে পরীক্ষা হতে চলেছে। একাদশ শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লক্ষেরও বেশি।

সূত্র: এই সময়, ৮ মার্চ ২০১৫

সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate