শিক্ষাদান প্রণালীর বদল, পাঠ্যক্রম ও মূল্যায়ন নতুন করে তৈরি করা এবং বিদ্যালয়গুলিকে আরও বেশি স্বশাসন দান, আইসিটি এর ব্যবহারকে সেরা স্তরে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সক্রিয়করণের যথেষ্ট বিষয় মজুত থাকলে শিক্ষাদান প্রণালীর দর্শন যতটা দেয়, শিক্ষকেরা আইসিটিকে ততটাই গঠনমূলক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
যদি আইসিটি ভালো ভাবে ব্যবহার করতে হয়, তবে শিক্ষকদের যথেষ্ট পরিমাণে কার্যকর কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা থাকা প্রয়োজন এবং তাঁদের পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া দরকার।
আইসিটি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করতে গেলে, নতুন শৈলী রপ্ত করতে, চলতি পঠন-পাঠন পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রমের সঙ্গে এগুলিকে খাপ খাওয়াতে এবং প্রয়োজনানুযায়ী অতিরিক্ত পাঠ পরিকল্পনা করতে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত সময় দিতেই হবে।
সার্থক ভাবে ব্যবহার তো দূরস্থান, শিক্ষকদের আইসিটি কেবলমাত্র ব্যবহার করাতেই বিদ্যালয় পরিচালকদের এবং ক্ষেত্র বিশেষে আশপাশের বাসিন্দাদের সাহায্য অনিবার্য হয়ে পড়ে। এই কারণে শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহার করার জন্য বিনিয়োগকে সেরা স্তরে নিয়ে যেতে দু’টি গোষ্ঠীর কাছেই পৌঁছানোটা প্রায়শই জরুরি হয়ে পড়ে।
প্রথাগত ও অপ্রথাগত দলগত অভ্যাস এবং সহকর্মীদের শৃঙ্খলা, শিক্ষার উদ্যোগ এবং ক্রিয়াকলাপে আইসিটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি দরকারী উপায় হতে পারে। এই ধরণের সহায়তা প্রণালী আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে সুসম্পন্ন করা যায়।
যে হেতু শিক্ষাব্যবস্থায় আইসিটি-র ব্যবহার একটি বৃহত্তর পরিবর্তন বা সংস্কার পদ্ধতির অঙ্গ। তাই আইসিটি-র সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার বাড়ানো জরুরি এবং এই ব্যাপারটা প্রচার করা দরকার।
সূত্র : infodev
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020