সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ও ব্যবহারকারীদের কল্পনা চাগিয়ে তুলতে এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণে সাহায্য করতে আগামিদিনের প্রযুক্তিতে এক ঝলক।
শিক্ষাক্ষেত্রে রেডিও ও টেলিভিশনের ব্যাবহার বিংশ শতাব্দী থেকেই।
এ ক্ষেত্রে তিন ভাবে আইসিটি-র ব্যাবহার হয়ে থাকে ---
আইআরআই হল দৈনিক ভাবে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষা সম্প্রচার। রেডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর শিক্ষা সম্প্রচার যা শিক্ষকদের শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আইআরআই-এর মাধ্যমে কম আলোকিত অঞ্চলের বিদ্যালয় ও শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে তৈরি শিক্ষণসামগ্রী পাঠিয়ে শিক্ষাদান করা হয়, কারণ সেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার সুযোগ কম। এ কথা স্বীকার্য যে প্রথাগত ও অপ্রথাগত দু’ধরনের শিক্ষারই মান বৃদ্ধিতে আইআরআই-এর একটি সুফল আছে। এটা একটি আর্থিক সুযোগযুক্ত পদ্ধতি যার সাহায্যে অনেক লোককে এক সঙ্গে শিক্ষা দেওয়া যায়।
টেলিভিশনের সাহায্যে একক শিক্ষা বা অন্যান্য শিক্ষামূলক প্রযুক্তি দেওয়া যায়। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এমন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে যেখানে দেখা যায় শিক্ষক কথা বলছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর, যা ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিতে সাহায্য করে। শিক্ষামূলক টেলিভিশনের সম্প্রচার প্রায়ই দেখানো হয় যার মাধ্যমে আরও শেখা ও যোগাযোগ সম্ভব। শিক্ষা সম্প্রচার এশিয়ার মধ্যে একটি বহু প্রচলিত মাধ্যম। ভারতে ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভিডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার করে থাকে।
নির্দিষ্ট বিষয়ে শিক্ষা সম্প্রচার ছাড়াও রেডিও ও টেলিভিশনে অন্যান্য সাধারণ শিক্ষামূলক ব্যাপারেও সম্প্রচার করা হয়। শিক্ষা সম্পর্কিত রেডিও ও টেলিভিশনের সম্প্রচারগুলি সাধারণত ‘সাধারণ শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান’ নামে পরিচিত। একটি উদাহরণ হল ‘সেসেম স্ট্রিট’ যেটি বাচ্চাদের জন্য সম্প্রচারিত পাশ্চাত্যের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান। আর একটি হল ‘ফার্ম রেডিও ফোরাম’ যা একটি কানাডিয়ান শিক্ষামূলক রেডিও সম্প্রচার সংস্থা।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/21/2019