বিএসসি করার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এমএসসি, এম ফিল ও পিএইচডি তো করতেই পারে ছেলেমেয়েরা। আইআইটিতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে জ্যাম পরীক্ষা দিয়ে সেখানে এমএসসি, এমএসসি-পিএইচডি ডুয়াল ডিগ্রি কোর্স পড়া যায়। অধিকাংশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতেও এই বিষয়ে এমএসসি ও পিএইচডি করা যায়। মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ভোপাল-এ কম্পিউটেশন অ্যান্ড সিস্টেম বায়োইনফরমেটিক্স এবং বায়োইনফরমেটিক্সে এম টেক পড়া যায়। পরীক্ষা দিয়ে যোগ দিতে পারো আইএসআই-তে এম ম্যাথ পড়তে। আমাদের দেশে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করার ক্ষেত্রে বহু বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন, টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে মৌলিক বিষয় নিয়ে নানান গবেষণা হয়। চেন্নাই ম্যাথেমেটিক্যাল ইনস্টিটিউটে ম্যাথেমেটিক্সে এমএসসি, পিএইচডি করাই যায়। এ ছাড়া এখানে অ্যাপ্লিকেশন অব ম্যাথেমেটিক্সেও এমএসসি কোর্স রয়েছে। দ্য ইনস্টিটিউট অব ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্সেস, চেন্নাই-এ অঙ্কে ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম রয়েছে। কোর্সগুলোয় ভর্তি হতে গেলে ছাত্রছাত্রীদের ন্যাশনাল বোর্ড অব হায়ার ম্যাথেমেটিক্স পিএইচডি স্কলারশিপস স্ক্রিনিং টেস্ট দিতে হয়। হোমি ভাবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট এবং এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে রেগুলার পিএইচডি-র সঙ্গে সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি প্রোগ্রামও পরিচালনা করে হরিশচন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এ ছাড়া বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়, বেলুড়-এ বিশুদ্ধ গণিত নিয়ে গবেষণা করা যায়।
আইএসআই-তে কোয়ান্টিটেটিভ ইকনমিক্স, কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের মতো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারো। অ্যাপ্লায়েড ম্যাথেমেটিক্স নিয়ে পড়ার পর ভবিষ্যতে এরোনটিক্স, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, কসমোলজি নিয়ে উচ্চশিক্ষা করা যাবে। অনেকে ক্রিপটোগ্রাফি নিয়েও কাজকর্ম করে। কারণ অঙ্কের একটি বিশেষ শাখা, নাম্বার থিয়োরির প্রয়োজন পড়ে এই বিষয়ে। অঙ্ক নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পড়ার পর কম্পিউটার সায়েন্সে বি টেক, এম টেক-ও করতে পারে ছাত্রছাত্রীরা। আবার এমসিএ-ও করা যায়।
প্রচুর সুযোগ। গেট-এর মতো পরীক্ষা দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বিদেশের বহু প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা করতে যেতে পারে। অনেক জায়গায় উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ছাড়া এখন ফ্রান্সের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়তে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ১৭ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020