বিএ বা বিএসসি-র পরে এমএ বা এমএসসি, এমফিল বা পিএইচডি করা যায় করা যায়। এখানকার সেন্ট্রাল বা স্টেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে এই ধরনের হায়ার স্টাডিজের সুযোগ থাকেই। অনেকে আইএসআই-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসে সেখানকার মাস্টার অব সায়েন্স ইন কোয়ান্টিটেটিভ ইকোনমিক্স কোর্সে ভর্তি হতে পারে। কোর্সটি দু’ বছরের। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সোশাল সায়েন্সেস-এর অন্তর্গত সেন্টার ফর ইকোনমিক স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং, দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিক্স, ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষা করা যায়।
জেনারেল ইকোনমিক্স, ফিনানশিয়াল ইকোনমিক্স, অ্যাপ্লায়েড কোয়ান্টিটেটিভ ফিনান্স, অ্যাকচুরিয়াল ইকোনমিক্স-এর মতো হরেক বিষয়ে এমএসসি পড়ানো হয় ম্যাড্রাস স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ।
দিল্লি বা কলকাতা আইএসআই-তে যে ধরনের প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়, ডিএসই বা জেএনইউ-র পরীক্ষার ধরন তার থেকে কিছুটা আলাদা। আইএসআই-এর পরীক্ষায় অঙ্কের উপর অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়। ফলে এই সব জায়গায় সফল হতে এখানকার প্রবেশিকা পরীক্ষায় যে ধরনের অঙ্ক আসে, তার প্রশিক্ষণ নিলে ভালো হয়। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় যে ধরনের অঙ্ক আসে, সেই রকম অঙ্ক প্র্যাকটিস করতে হবে। আর অর্থনীতির জন্য ক্লাসের পড়াটা ভালো করে তৈরি করলেই যথেষ্ট। কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কলেজেই যে সিলেবাস পড়ানো হয়, তাতে ছেলেমেয়েদের এই সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মাইক্রোইকোনমিক্স, ম্যাক্রোইকোনমিক্স, স্ট্যাটিসটিক্স, ইন্ডিয়ান ইকোনমি, ইকোনমেট্রিক্স-এর টেক্সট বইগুলো ভালো করে হৃদয়ঙ্গম করো। সঙ্গে এই সব প্রবেশিকা পরীক্ষার বিগত কয়েক বছরের প্রশ্ন অবশ্যই সমাধান করবে। কারণ কলেজের পরীক্ষার থেকে এটা অনেকটাই আলাদা। তুমি বুঝতেও পারবে বিষয়ের উপর তোমার দক্ষতা কেমন গড়ে উঠছে।
অধিকাংশ ছেলেমেয়েই ক্যাট, ম্যাট, জ্যাট-এর মতো সর্বভারতীয় ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষা দিয়ে আইআইএম, আইআইএফটি, এক্সএলআরআই, আইআইএসডব্লিউবিএম-এর মতো প্রতিষ্ঠানে এমবিএ পড়তে চলে যায়। কিছু ছেলেমেয়ে পরে ফিনান্স, অ্যাকচুরিয়াল সায়েন্স, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড নিয়ে পিএইচ ডি করে। কেউ আবার সিএ বা ল’ পড়তেও যায়। যদিও এদের সংখ্যা কম।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ৩১ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/23/2020