বিএসসি-র পর প্রথাগত উচ্চশিক্ষা করার জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তো রয়েছেই। সঙ্গে এমএসসি করার সুযোগও বেড়েছে আরও অনেক জায়গায়। আগে আমাদের হাতে গোনা কয়েকটি আইআইটি ছিল। গত কয়েক বছরে তার সংখ্যা বেড়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-ও হয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ফলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সুযোগ এখন অনেক বেশি। কোর্সও হয়েছে নানান ধরনের। অনেক জায়গায় যেমন ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি-ও এক সঙ্গে করা যায়। আইআইটি খড়গপুরেই যেমন এম এসসি ছাড়াও এম এসসি-পিএইচডি ডুয়েল ডিগ্রি প্রোগ্রাম রয়েছে। আইআইটি-গুলোতে এই ধরনের স্নাতকোত্তর কোর্সে ভতি হতে জ্যাম পরীক্ষা দিতে হয়। আইআইএসইআর-গুলোতেও ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্স রয়েছে। জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ-এ মেটেরিয়াল সায়েন্স এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস-এ (বিষয়টা মলিকিউলার বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স) ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি করা যায় ফিজিক্সে বি এসসি পড়ে। কলকাতার এস এন বোস ন্যাশনাল সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেস বা মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ-এর মতো বেশ কিছু জায়গাতেও ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি পড়ানো হয়। এই কোর্সে ঢুকতে সাধারণত প্রতিষ্ঠান পরিচালিত প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় অথবা আসতে হয় জেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে।
তবে অনেকেই বিএসসি করে ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হয় না। এরা সাধারণত প্রথাগত এম এসসি পড়ে। তার পর নিজেদের পছন্দ মতো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ভালো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করতে চলে যায়। দুয়ের মধ্যে চাকরির বাজারে কোনও পার্থক্য হয় না। তা ছাড়া পিএইচডি করার বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়ার মানসিকতার উপর নির্ভর করে। হাই এনার্জি ফিজিক্স, অ্যাসট্রোফিজিক্স, কনডেন্সড ম্যাটার ফিজিক্স বা মেটেরিয়াল সায়েন্স, স্ট্যাটিসটিক্যাল ফিজিক্স, লেসার ফিজিক্স, নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এর মতো নানান বিষয়ে স্পেশালাইজেশন করে পদার্থবিদ্যার পড়ুয়ারা।
এমএসসি পাশ করার পর আবার ডিপার্টমেন্ট ও অ্যাটমিক এনার্জি, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের মত কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা বিভাগে চাকরির জন্য সরাসরি ইন্টাভিউ দেওয়া যায়। এ ছাড়া কিছু বড় বড় সংস্থার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্টরেও গবেষণামূলক চাকরির সুযোগ আছে। তবে ভারতে এই ধরনের কাজের জায়গা সীমিত।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020