স্নাতক স্তরে ফিজিক্স পড়ে পরে অন্য বিষয় পড়তে চাইলে হরেক বিষয়ে উচ্চশিক্ষা করা যায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন বেশ কিছু বিভাগ আছে, যেখানে ফিজিক্স নিয়ে বিএসসি করে পড়ুয়ারা এমএসসি ছাড়াও বিটেক পড়তে যায়। যেমন, কম্পিউটার সায়েন্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স অ্যান্স ফটোনিক্স ইত্যাদি। অনেকে আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মাস্টার অব কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনস-ও পড়ে। তবে, যদি তুমি একটা বিশেষ বিষয় পছন্দ কর, তা হলে এই বিষয়ে উন্নতির সুযোগ ঠিকই পেয়ে যাবে।
যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মতো বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা বিশেষত পিএইচডি করতে যেতে চায়, তাদের জিআরই, টোয়েফেল পরীক্ষা দিতে হবে। জিআরই-র মতো পরীক্ষাগুলির সুবিধা হল, যেমন স্কোর করবে, সেই অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কল পাবে। তা ছাড়া, এখানে যোগ্যতার কোনও নির্ধারিত মান দেওয়া থাকে না। তাই অনেক ক্ষেত্রে জিআরই-তে দু’জনে একই স্কোর করলেও এক জন আরেক জনের থেকে বেশি প্রেফারেন্স পেয়ে যায়। ধরো, দু’জন পড়ুয়াই জিআরই-তে একই স্কোর করেছে। কিন্তু এক জন তার সঙ্গে কোনও রিসার্চ প্রোজেক্টেও যুক্ত থেকেছে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু প্রোজেক্ট করা পড়ুয়াটিকেই বেশি ওয়েটেজ দেবে। যারা বিভিন্ন প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সঙ্গে ওই বিষয়ের জার্নালে রিসার্চ পেপার বের করে, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের সাধারণত অন্যদের তুলনায় একটু বেশি হলেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তবে ইউরোপিয়ান দেশগুলিতে পড়ার ক্ষেত্রে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলি ছেলেমেয়েদের ভর্তি করে মূলত তাদের অ্যাকাডেমিক রেকর্ডের ভিত্তিতে। সঙ্গে হয়তো একটা ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্ট দিতে হয়। তার পর বায়োডাটা দেখে, ইন্টারভিউ-এর মাধ্যমে তারা সুযোগ পায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে।
টেক্সট বই পড়ার অভ্যাস করতেই হবে। নোট সর্বস্ব পড়াশোনা দিয়ে তুমি এগোতে পারবে কিন্তু বেশি দূর নয়। বিএসসি, এমএসসি-তে নম্বর ভালো পেলেও নেট বা গবেষণার জন্য ইন্টারভিউতে আটকে যেতে হবে। এই সব ক্ষেত্রে তোমার বেসিক কতটা পরিষ্কার সেটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই নোট যদি করতেই হয়, আর পাঁচটা বই পড়ে নিজে তৈরি করো। শিক্ষকদের সাহায্য নাও। তাঁরা যদি দেখেন তুমি বিষয়টার গভীরে ঢুকতে ইচ্ছুক, তা হলে নিশ্চয় সাহায্য করবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/15/2020