বিগ ব্যাং, ব্ল্যাক হোল, ডার্ক ম্যাটার, গড পার্টিকল - এমন কত বিরাট বিষয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ফিজিক্সের নাম। ও সব নিয়ে জনপ্রিয় লেখাও ছাপা হয় প্রচুর। কারণ, বিষয়গুলো খুবই ইন্টারেস্টিং। নিশ্চয় তোমাকেও ভাবায়। তবে মনে রেখো, ভাবায় তো অনেককেই, তাদের ক’জন বিষয়টির গভীরে ঢোকার চেষ্টা করে। করে না, কারণ গভীরে ঢুকতে গেলে প্রয়োজন ফিজিক্সের গণিত। নিজেকে প্রশ্ন করো, তুমি কি ফিজিক্সের জটিল গণিতে ঢুকতে সড়গড়। মানছি, ও সবের গণিত এক্ষুনি তোমার ক্লাসে পাঠ্য নয়, তবে পাঠ্য হবে কোনও এক সময়। তার জন্য পদার্থবিদ্যার গণিতে এখন থেকেই মন দাও। এটা একটা বড় দিক। পদার্থবিদ্যায় কেরিয়ার করতে হলে শুরু থেকেই বড় বড় স্বপ্ন কিংবা কল্পনা ত্যাগ করে কঠিন পরিশ্রমের জন্য তৈরি হতে হবে। হয়তো দেখলে একটা বিষয়ে অনেক দিন ধরে খাটাখাটনি করে একটা ছোট্ট প্রশ্নের উত্তর পেলে। এইটুকু সাফল্য পেয়ে তোমার মনে যদি আনন্দ না জাগে, তা হলে বুঝবে ফিজিক্স তোমার জন্য নয়। মোট কথা বিষয়টা তোমায় ভাবায় কি না দেখো। এক জন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের পক্ষে এটা কখনও বোঝা সম্ভব নয় যে, ফিজিক্স তার পছন্দের বিষয় কি না। এখানে বড় ভূমিকা নিতে পারে নির্দিষ্ট বিষয়ের ক্লাসিক পাঠ্যপুস্তকগুলি। সেগুলো সময়ে সময়ে দেখো, পড়ো। যদি দেখো এগুলো বুঝতে বা সেগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সমাধান করতে তোমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না, তা হলে ধরে নিতে পারো ফিজিক্স নিয়ে কেরিয়ার করলে তুমি অসফল হবে না। তোমার যে বন্ধু আজ হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং করছে, সে হয়তো তোমার থেকে অনেক আগে কোনও চাকরি পেয়ে যাবে। কিন্তু তুমি ফিজিক্স নিয়ে পড়ে পরে যে বিষয় নিয়ে কাজ করবে, সেটা তুমি তোমার প্যাশন থেকে করবে। এই ভালো লাগার বিষয়টা তোমাকেই বুঝতে হবে। মনে রেখো, তুমি যদি ভালো রেজাল্টের সঙ্গে সঙ্গে ভাল গবেষণাও করতে পারো, তা হলে দেশের অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সম্মানজনক পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে পারবে।
অনেক কিছু আবিষ্কার হয়ে গেলেও অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও বাকি, অনেক সমস্যার সমাধান অধরা। সংক্ষেপে ফিজিক্স নিয়ে গবেষণার জগৎ আদিগন্ত ব্রহ্মাণ্ড।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020