রাজ্যে কলকাতা, কল্যাণী, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ, বিদ্যাসাগর, গৌড়বঙ্গ, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির অন্তর্গত বিভিন্ন কলেজেই কেমিস্ট্রি অনার্স পড়ানো হয়। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি, বিশ্বভারতীতেও দ্বাদশ শ্রেণির পর কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে ভর্তি হতে পারে পড়ুয়ারা। এ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের সেন্ট্রাল ও স্টেট ইউনিভার্সিটিগুলোতেও কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। ভর্তির প্রক্রিয়া এক এক জায়গায় এক এক রকম।
প্রথাগত বিএসসি কোর্সের বাইরে এখন বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে রসায়ন নিয়ে একটু ভিন্ন ধরনের কোর্স পড়ানো হয়। যেমন, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু। এদের স্নাতক কোর্সটির নাম ‘ব্যাচেলর অব সায়েন্স (রিসার্চ) প্রোগ্রাম’। চার বছরের কোর্স। কিশোর বৈজ্ঞানিক প্রোৎসাহন যোজনা (কেভিপিওয়াই), অল ইন্ডিয়া প্রি মেডিক্যাল/প্রি ডেন্টাল টেস্ট(এআইপিএমটি), আইআইটি জয়েন্ট-এর মতো বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে এই কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
আইআইটি কানপুর, মুম্বইতেও কেমিস্ট্রিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স প্রোগ্রাম আছে। এর জন্য আইআইটি-র জয়েন্ট পরীক্ষায় বসতে হয়। আইআইটি গুয়াহাটিতে আছে কেমিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে চার বছরের বিটেক কোর্স। এ ছাড়াও অনেক আইআইটিতেই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি টেক-ও পড়া যায় দ্বাদশ শ্রেণির পর।
আবার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এ কেমিস্ট্রিতে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএস-এমএস ডুয়াল ডিগ্রি প্রোগ্রাম রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতে পাঁচটি আইআইএসইআর। এই ডুয়াল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে কেভিপিওয়াই, আইআইটি জয়েন্ট পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য ও সেন্ট্রাল বোর্ড থেকেও ছেলেমেয়েদের একটা নির্ধারিত নম্বরের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভর্তির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম দু’ বছর পড়ুয়াদের বিভিন্ন কোর বিষয় পড়তে হয়। তার পর পারফরমেন্স অনুযায়ী তারা স্পেশালাইজেশনের বিষয় বেছে নিতে পারে। আইআইটিতেও এমন পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্স রয়েছে।
আর ন্যাশনাল এন্ট্রান্স স্ক্রিনিং টেস্ট-এ বসতে হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, ভুবনেশ্বর এবং ইউনিভার্সিটি অব মুম্বই-এর ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাটমিক এনার্জি সেন্টার ফর এক্সেলেন্স ইন বেসিক সায়েন্সেস-এ কেমিক্যাল সায়েন্সের বিষয়টা নিয়ে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড এমএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য। আর, বিটস্যাট পরীক্ষার মাধ্যমে কেমিস্ট্রিতে ইন্টিগ্রেটেড ফার্স্ট ডিগ্রি এমএসসি করা যায় বিড়লা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স, পিলানিতে।
নিজের বোর্ডের সিলেবাসের বাইরেও পড়াশোনা করতে হবে। যারা জয়েন্ট বা আইআইটি দেয় তারা সাধারণত নিজেদের সিলেবাসটা ছাড়াও আইসিএসই-র মতো অন্যান্য বোর্ডের বইপত্রও দেখে। তবে এই প্রস্তুতিটা কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও কাজে লাগে। টেক্সট বইগুলি খুঁটিয়ে পড়ো, সঙ্গে নানা রকম প্রবলেম সল্ভ কর।
তবে এই সব প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিককে কোনও ভাবে অবহেলা করো না। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান মেরিট লিস্ট তৈরির সময় দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, প্রস্তুতি, ৩ মার্চ ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/3/2020