১৭৯৫ সালের ৩১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সর্বশেষ ইংরেজ রোমান্টিক কবি জন কিটস। লর্ড বায়রন এবং পার্সি বিশি শেলির সঙ্গে তিনিই ছিলেন রোমান্টিক ধারার দ্বিতীয় প্রজন্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। জীবিতকালে সমালোচকদের কাছে তাঁর কবিতা ভালো ভাবে গৃহীত না হলেও পরবর্তী সময়ের আলফ্রেড টেনিসন এবং উইলফ্রেড ওয়েনের মতো কবির ওপর তাঁর ব্যাপক প্রভাব লক্ষ করা যায়। ইন্দ্রিয়-কল্পনার সুনিপুণ বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাঁর কবিতায়। বর্তমানে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় হল তাঁর কবিতা ও চিঠিগুলো।
১৭৯৫ সালে কিটসের জন্ম হয় টমাস এবং ফ্রান্সিস জেনিংস কিটসের ঘরে। শৈশবে তিনি স্থানীয় ডেম স্কুলে পড়াশোনা করেন। ব্যয়বহুল ইটন কিংবা হ্যারো স্কুলে পড়তে না পারলেও ইনফিল্ডের জনক্লার্ক স্কুলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন। ১৬ বছর বয়সে কিটস এনফিল্ডের স্কুল ত্যাগ করেন। তরুণ বয়স থেকেই তার কবি হওয়ার প্রতি ঝোঁক ছিলো। তা সত্ত্বেও কিটস গাই হাসপাতালে ওষুধ বিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানে তার সাথে লেই হান্ট নামে এক প্রতিষ্ঠিত কবির সাথে যোগাযোগ হতে শুরু করে। লেই হান্ট কিটসের সাহিত্য কর্মের প্রশংসা করেন এবং তাকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করেন।[৬] ১৮১৬ সালে সে ওষুধ বিদ্যার পেশা ত্যাগ করেন এবং পরিপূর্ণ ভাবে কবিতায় মনোনিবেশ করেন। ১৮১৮ সালে কিটসের ভাই টম মারাত্মকভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন এবং কিটস তার সেবা যত্ন করেন। কিন্তু টম ডিসেম্বরে মারা যান। এর পরে কিটস তার বন্ধু চার্লস ব্রাউনের হ্যাম্পস্টেডর বাসায় চলে আসেন। এখানে এসে কিটস ফ্যানি ব্রন নামে ১৮ বছরের এক তরুণী প্রতিবেশীর প্রেমে পড়ে যান। এর পর থেকেই কিটসের সৃষ্টিশীল সময়ের সূচনা হয়। বাবার মৃত্যুর পর কিটসের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। তবে সহসাই তাঁর মা নতুন স্বামীকে ত্যাগ করে কিটস ও অন্যান্য সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। মায়ের মৃত্যুর পর কিটস নানির অভিভাবকত্বে চলে আসেন। ১৮১৫ সালে কিটস মেডিক্যাল ছাত্র হিসেবে গাইস হাসপাতালে নিবন্ধিত হয়েছিলেন। কিন্তু লি হান্ট এবং বায়রনে ঝুঁকেছিলেন প্রবল অর্থসংকট সত্ত্বেও। বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিটস। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অকালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন ১৮২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
সুত্রঃ পোর্টাল টিম দ্বারা সংকলিত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019