আসল নাম নরমা জেইন বেকার কিন্তু মেরিলিন মনরো নামেই পরিচিত। জন্ম: জুন ১, ১৯২৬ মৃত্যু: আগস্ট ৫, ১৯৬২ । ফস্টার শিশু হোমে বেড়ে উঠেছিলেন এই বিশ্ব বিখ্যাত আমেরিকান চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, গায়িকা, মডেল ও শো-গার্ল । কিংবদন্তির হাসি, হেয়ার স্টাইল আর ঠোটে মায়াবী জাদুর ছোঁয়ায় আজও “স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা” এই অনিন্দ্য সুন্দরী মেরিলিন মনরো।
১৯৪৫ সালে এরোপ্লেন পার্টস কোম্পানিতে শ্রমিক হিসাবে কর্মজীবন শুরু, এর পর ওই কোম্পানিতেই মডেলিং। অতঃপর শো-গার্ল, গায়িকা এবং অভিনেত্রী। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
মনেরোর অভিনয় জীবন শুরু হয় মডেলিং দিয়ে ১৯৪৬সালে। এখানেই মনরো বাদামি বা ব্রাউনিস কালার চুল কে প্লাটিনাম হোয়াইটের এক আভা আনেন যা তার ট্রেডমার্ক বলা চলে। আর তার নামের পরিবর্তে নতুন নাম হয় মেরিলিন মনরো। ১৯৪৭ সালে 20th Century-Fox স্টুডিওর সাথে চুক্তি বদ্ধ হন মনরো এবং দুটি মুভিতে তাকে প্রথমবারের মত দেখা যায়। ১৯৪৯ সালে মনেরো আবার মডেলিংয়ে ফিরে আসেন। ১৯৫০ সালে অল অ্যাবাউট ইভ নামে চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৫৭ সালে মুক্তি পায় বিখ্যাত ছবি দ্য সেভেন ইয়ার ইটচ। এছাড়াও হাউ টু মেরি অ্যা মিলিওনিয়ার, দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করে তিনি বিশ্বকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন। সাম লাইক ইট হট ছবিতে অভিনয় করে তিনি গোল্ডেন গ্লোব অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
তাঁর অভিনীত প্রথম চলচিত্র ১৯৫০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য অ্যাসফ্যাল্ট জাঙ্গাল’। এর পর ‘অল অ্যাবাউট ফাইভ’ প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পায়। এর পর একে একে ‘জেন্টলম্যান প্রেফার ব্লন্ডেস’ (১৯৫৩), ‘হাউ টু ম্যারি আ মিলিওনেয়ার’ (১৯৫৩), ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ (১৯৫৫), ‘দ্য প্রিন্স অ্যান্ড দ্য শোগার্ল’ (১৯৫৭), ‘সাম লাইক ইট হট’ (১৯৫৯) তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
১৯৬২, আগস্ট ৫-এ মেরিলিন মনরোকে লস এঞ্জেলসে তাঁর বিলাবহুল ব্রান্টউড বাড়িতে একাকী মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে সামনে আসে আত্মহত্যা। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে এই কিংবদন্তির অকাল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ আজও রহস্যের পর্দায় ঢাকা।
সুত্রঃ পোর্টাল টিম দ্বারা সংকলিত
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/1/2020