অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বিশ্ব ক্যানসার দিবস

বিশ্ব ক্যানসার দিবস

ক্যানসার। যতটা না মারাত্মক, তার থেকে বেশি আতঙ্কের। শব্দটি শুনলে মনে হয় নিশ্চিত মৃত্যু। অবশ্য এখন আর তা নয়। ক্যানসারের চিকিৎসা অনেক এগিয়েছে। সম্ভব হচ্ছে এর প্রতিরোধ। আছে প্রতিকারও। ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয়। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ক্যানসারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শরীরের যে কোনও অংশেই হতে পারে ক্যানসার। প্রতি বছর বিশ্বে ১২ কোটি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ক্যানসার রোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০১৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে মারা যাবে আট কোটি মানুষ। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী মানবদেহ গঠিত বিভিন্ন কোষের সমন্বয়ে। প্রতিনিয়ত এই কোষগুলো ভাঙে গড়ে। এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ার কোনও একটি বন্ধ হয়ে যাওয়াটাই ক্যানসার। শরীরের যে কোনও অংশেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। এর পরই আছে মেয়েদের জরায়ু ও স্তন। প্রতি বছর বিশ্বে ১০ লাখ নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ক্যানসারের যত কারণ আছে, তার মধ্যে ধূমপান অন্যতম। অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে নানা ভাবে তামাক সেবন, অতিরিক্ত ওজন এবং আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ, ক্ষতিকর আলো, কিছু ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণে ক্যানসার হতে পারে। জন্মগত কারণেও কখনও কখনও ক্যানসার হয়। তবে ৪০ শতাংশ ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে সব কারণে ক্যানসার হয়, তা থেকে দূরে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে তিন ভাগের এক ভাগ রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, বদহজম, পেটব্যথা ও আলসার হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে অথবা অন্য যে কোনও সময় কারণ ছাড়া রক্তপাত, হঠাৎ গলার স্বরের পরিবর্তন, কফের সঙ্গে রক্ত, খাবার গলাধঃকরণেও সমস্যা হতে পারে। কখনও কখনও শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ও চাকা চাকা হতে পারে। তবে একে প্রতিরোধের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন, অতিরিক্ত ওজন হ্রাস ও নিয়মিত ব্যায়াম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। আঁশ ও শস্যদানা জাতীয় খাবার গ্রহণ আর চর্বি, মিষ্টি, রাসায়নিক খাদ্য উপাদান, রেড মিট ও রেড ড্রিংকস বর্জন করেও ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়। হেপাটাইটিস বি ও সি-এর টিকা নেওয়ার মাধ্যমেও ক্যানসার প্রতিরোধ করা যায়।

সূত্র: kalerkantho.com

সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate