বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৩২ কোটি মানুষ চোখের রোগে ভুগছে। যাদের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দৃষ্টিহীনতা এবং বাকি ২৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষ স্বল্প দৃষ্টি কিংবা চোখের অন্য কোন রোগে ভুগছে। এদের প্রতি সহানুভূতি জানানোর জন্য প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।
বর্তমান বিশ্বে সাড়ে চার কোটি মানুষ পুরোপুরি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ না নিলে ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রতি ৫ সেকেন্ডে এক জন বয়স্ক মানুষ এবং প্রতি এক মিনিটে একটি শিশু অন্ধ হয়ে পড়ছে। এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ অন্ধ মানুষের বাস উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। উন্নয়নশীল দেশগুলোসহ সব দেশের দৃষ্টিহীনদের সমস্যা সমাধানে যে সব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কাজ করছে তাদের একটি আন্তর্জাতিক জোটের নাম ভিশন-২০২০। অন্ধত্ব নিবারণে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা, সম্পদ সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে মিলে জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচি গড়ে তোলাই এ সংস্থার কাজ। শপথ নেওয়া হয়েছে ২০২০ সালের মধ্যে অন্ধত্বমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে ব্যাপক কর্মসূচি। যার প্রথমটি হচ্ছে অন্ধত্বকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। বিশ্বব্যাপী ১৫ শতাংশ অন্ধত্বের মূলে রয়েছে ট্রাকোমা নামক এক ধরনের চোখের ইনফেকশন। আফ্রিকা অঞ্চলে এ জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। ভিশন-২০২০-এর আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘ট্রাকোমা’ নির্মূলের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশার কথা হচ্ছে বিশ্বের অন্ধজনদের অন্তত ৮০ ভাগ অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব অথবা সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে এ সংখ্যা কমানো সম্ভব। আর সে লক্ষ্যকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া, লক্ষ্য অর্জনে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা এবং দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই পালিত হয় বিশ্ব দৃষ্টি দিবস।
সূত্র: shokalerkhobor24.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020