২ মে আন্তর্জাতিক মা দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মায়ের মর্যাদার কথা। ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং বলেছেন, মাতৃত্বেই সকল মায়া, মমতা ও ভালোবাসার শুরু এবং শেষ। কথিত আছে, ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ। তবে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটায় মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস। প্রতি বছর মে মাসের চতুর্থ রবিবারকে মাদারিং সানডে হিসাবে পালন করা হতো ব্রিটেনে। এটা ছিল সপ্তদশ শতকের কথা। মায়ের সঙ্গে সময় দেওয়া ও মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল দিনটির কর্মসূচিতে। এর পর আমেরিকার পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ সালে। জুনের ২ তারিখকে তারা বেছে নিয়েছিল মা দিবস হিসাবে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন সর্ব প্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে 'মা' দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে এই দিনে আন্তর্জাতিক ভাবে পালিত হচ্ছে মা দিবস।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য বিশেষ দিনগুলোর চেয়ে এ দিনটিতে সব চেয়ে বেশি ফোন কল হয়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিআইপি কমিউনিকেশনের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ দিনটিতে নববর্ষের চেয়ে ৮ শতাংশ, ভালোবাসা দিবসের চেয়ে ১১ শতাংশ এবং হ্যালোয়েনের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি ফোন কল হয়। দক্ষিণ আফ্রিকানরা মা দিবসে ফোন করে সব চেয়ে বেশি। তাদের ফোন কলের হার বেড়ে ৯১ শতাংশ হয়েছে। যা অন্য বিশেষ দিনগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এ ছাড়াও তারা অন্যদের চেয়ে এ দিনটিতে ফোনে বেশি সময় ব্যয় করে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঘানার অধিবাসীরা। কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার দুটি লাইন দিয়ে এই আলোচনা শেষ করি, ‘ মা গো আমার মা / তুমি আমার এ ঘর ছেড়ে কোথাও যেও না’।
সূত্র: somewhereinblog.net
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/4/2020