১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল উইমেনস পার্টি। তখন তার নাম ছিল ‘কংগ্রেশনাল ইউনিয়ন ফর উওম্যান সাফরেজ’। তাঁরা মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবিকে মানুষের এবং সরকারের সমর্থনের জন্য লড়াই করেছেন। নারীদের ভোটাধিকারের দাবিতে তাঁরা পিকেটিং, পিটিশন, নাটকের মাধ্যমে কথা বলা, অনশন, প্যারেড করেছেন, এমনকী জেলে পর্যন্ত গেছেন। সেই আন্দোলনের ২,৬৫০টি প্রিন্ট ছবি পাওয়া গেছে ‘ম্যানুস্ক্রিপ্ট ডিভিশন অফ দ্য লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস’ থেকে।
ব্রিসবেনের অভিজাত ট্যাটারসল ক্লাব, শুধু মাত্র পুরুষদের প্রবেশ অবাধ। কিন্তু সেখানেই নাকি আট তারিখ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, স্পেশাল লাঞ্চ, নারী দিবস উদযাপন। অর্থাৎ কোনও নারী ছাড়াই নারী দিবসের অনুষ্ঠান। প্রতিবাদে কিছু মহিলা, ক্রস ড্রেস করে, দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে, সেখানে উপস্থিত। গিয়ে তাঁরা বলেন, এ বার কি তবে, সদস্য হওয়ার অনুমতি মিলবে? তত্ক্ষণাৎ বেধে যায় হট্টগোল। বের করে দেওয়া হয় প্রতিবাদীদের। কিন্তু প্রতিবাদ ? সমানে চলছে যে! দেবীগর্জন মহিলামহল ছদ্মবেশী।
এ বছরের অস্কারে সেরা সহ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন প্যাট্রিসিয়া আরকেট, বয়হুড ছবির জন্য। পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে তিনি এক আবেগঘন বক্তৃতা দেন। নারীত্বের সমর্থনে কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন আমেরিকায় মহিলাদের প্রতি অর্থনৈতিক অনৈক্যের বিরুদ্ধে। তিনি জানান আমেরিকার মত দেশেও একজন নারীর যত বয়স বাড়ে, তত তাঁর উপার্জিত অর্থের পরিমাণ কমতে থাকে। অবস্থা পরিবর্তনের পক্ষে দাবি তোলায় যথারীতি উঠেছে ঝড়।
আজেরবাইজানের সাংবাদিক খাদিজা ইসমাইলোভা, সরকারের বিরুদ্ধে নিজ মত প্রকাশে বাধা ও দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। এমনকী রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধেও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার তদন্ত করেন। ফল প্রত্যাশিত। লাগাতার হুমকি, অন্য আরও উপায়ে লাঞ্ছনা। যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ফেলবারও চেষ্টা হয়। কিন্তু তিনি একবারের জন্যও হাল ছাড়েননি। তীব্র দাপটে চালিয়ে গিয়েছেন নিজ কাজ। ভ্রান্ত অভিযোগে তাকে জেলে আটকে রাখা হলেও, খাদিজা নাছোড়।
সূত্র: এই সময়, রবিবায়োয়ারি, ৮ মার্চ, ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/28/2020