জাতীয় পতাকা একটা অনুভূমিক তেরঙা যার ওপরে ঘন গৈরিক (স্যাফরন/কেশরিয়া), মধ্যে সাদা এবং নীচে গভীর সবুজ রঙ থাকে সমান অনুপাতে। পতাকার প্রস্থ ও দৈর্ঘ্যের অনুপাত ২:৩। সাদা অংশের মধ্যস্হলে একটা ঘন নীল রঙের চাকা থাকে ‘চক্রের’ প্রতিভূ হিসেবে। তার নকশা সারনাথের আশোকস্তম্ভের মাথার মতো, ব্যাস প্রায় সাদা অংশের চওড়ার সমান এবং তাতে ২৪টা স্পোক থাকে। জাতীয় পতাকার নকশা ২২ জুলাই, ১৯৪৭-এ গণ পরিষদে গৃহীত হয়েছিল।
সময়ে সময়ে সরকারের অবিধিবদ্ধ নির্দেশ ছাড়াও, জাতীয় পতাকার প্রদর্শন এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনসন অফ ইমপ্রোপার ইউজ) অ্যাক্ট, ১৯৫০ (নং ১২ অফ ১৯৫০) এবং প্রিভেনসন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১ (নং ৬৯ অফ ১৯৭১) দ্বারা পরিচালিত হয়। এই সমস্ত আইন, ধারা, অনুশীলন এবং নির্দেশকে একসাথে করে সকলকে পরিচালিত করতে এবং সকলের স্বার্থে তৈরি হয়েছে ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া, ২০০২।
পূর্ববর্তী ‘ফ্ল্যাগ কোড – ইন্ডিয়া’র বদলে বর্তমানের ‘দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া, ২০০২’, ২০০২ সালের ২৬শে জানুয়ারি থেকে চালু হয়। ‘দ্য ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া, ২০০২’ অনুসারে সাধারণ লোকজন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি দ্বারা জাতীয় পতাকা প্রদর্শনে কোনও নিষেধ নেই, কিন্তু এমব্লেমস অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনসন অফ ইমপ্রোপার ইউজ) অ্যাক্ট, ১৯৫০ এবং প্রিভেনসন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট ১৯৭১, এবং ওই বিষয়ে বিধিবদ্ধ অন্য কোনও আইনে অন্য কিছু বলা হলে তা মানতে হবে।
ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া সম্পর্কে আরও জানতে এখানে click here
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/19/2019