অরণ্যময় পাহাড়ভূমির আর এক আকর্ষণ আদিবাসীদের দেশ চাইবাসা। পশ্চিম সিংভূম জেলার সদরও এই চাইবাসায়। ছোট ছোট টিলা, ভিলা ধর্মী বাড়িঘর, শাল, সেগুনে ছাওয়া উঁচুনিচু পথঘাট যেন পটে আঁকা ছবি এই চাইবাসা। ওঁরাও, মুন্ডাদের বাস। বাঙালিয়ানাও আছে শহরে। চাইবাসার জলও যেন এক ধন্বন্তরি। জলে যেন হজমি গোলা। খিদে বাড়ে চাইবাসার জলে। দিঘির পর দিঘি, নাম তার বাঁধ। মধুবাঁধ, রানিবাঁধ, শিববাঁধ, জুবিলি বা সাহেববাঁধ। এরাও পরিবেশকে মধুময় করে তুলেছে। আর আছে বোরো নদী, সেও যেন মাধুর্যে ভরা। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য বোটিং, চিলড্রেনস পার্ক গড়ে উঠেছে সাহেববাঁধে। তেমনই চাইবাসার আরেক আকর্ষণ মুঙ্গালাল রুংটা গার্ডেন।
এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ গঞ্জ বড় জামদা। চাইবাসা থেকে ৭৭ কিমি গেলে এই বড় জামদা। বন আর পাহাড়ে ঘেরা এই স্টেশন। ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশার এক বিচিত্র মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে। সারান্ডার সিংহদ্বার এই বড় জামদা। ঠাকুরানি পাহাড়ের নীচেই ওড়িশার শহর বারবিল। হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ধরেই চাইবাসা যাওয়া সহজ। এ ছাড়া কলকাতার বাবুঘাট থেকে প্রতি দিন ডিলাক্স বাস যাচ্ছে চাইবাসা, বড় জামদা হয়ে কিরিবুরু। কলকাতার যাত্রীদের চাইবাসা যেতে হলে সহজতম পথ দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া- রাউরকেলা রেলপথের ত্রিমুখী তিন রেল সংযোগকারী স্টেশন, টাটানগর ২৫১, রাজখারসওয়ান ২৯৩,চক্রধরপুর ৩১৪ কিমি। ট্রেনও যাচ্ছে ইস্পাত এক্সপ্রেস, মুম্বই মেল, হাওড়া- কোরাপুট, হাওড়া- এলটিটি এক্সপ্রেস, ত্রয়ী হয়ে। ইস্পাত থামে না রাজখারসওয়ানে। বাসও যাচ্ছে প্রতিটি রেল সংযোগকারী স্টেশন থেকে চাইবাসায়। তবে, ৬৫ কিমি দূরের টাটা থেকে চাইবাসা যাওয়ার প্রচুর বাস। তেমনই কলকাতা থেকে টাটা যাওয়ার ট্রেনও অনেক। তবে সরাসরি যাত্রায় শনিবার ছাড়া প্রতিদিন হাওড়া-বারবিল বা জনশতাব্দী এক্সপ্রেসে যাওয়াই উচিৎ হবে। এছাড়া বাবুঘাট থেকে চাইবাসা যাওয়ার বাসও রয়েছে রোজ বিকেলে।
কলকাতার বহু বিখ্যাত কবি, সাহিত্যিকের প্রিয় বেড়ানোর জায়গা ছিল এই চাইবাসা।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/27/2020