শিমুলতলা থেকে কলকাতামুখী ২৫ কিমি গিয়ে জসিডি। শিমুলতলা থেকে ট্রেনে যেমন যাওয়া যায়, তেমনই হাওড়া থেকেও নানান ট্রেন যাচ্ছে জসিডি জংশন হয়ে। এছাড়া যাচ্ছে পূর্বা এক্সপ্রেস,শিয়ালদহ বালিয়া এক্সপ্রেস, মিথিলা এক্সপ্রেস, অমৃতসর মেল, কলকাতা দিল্লি লালকেল্লা এক্সপ্রেস, কলকাতা গোরক্ষপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া দানাপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া জম্মু হিমগিরি এক্সপ্রেস, হাওড়া এলাহাবাদ বিভূতি এক্সপ্রেস, হাওড়া পটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস(রবিবার ছাড়া), শিয়ালদহ দ্বারভাঙা গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেস জসিদি পৌঁছয় ঘণ্টা পাঁচেকে। তবু যেন জসিডি তথা বৈদ্যনাথ ধাম যাতায়াতে হাওয়া-পাটনা-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সুবিধাজনক হবে। মজফ্ফরপুর প্যাসেঞ্জার,তুফান এক্সপ্রেস, মোকামা প্যাসেঞ্জার ট্রেনেও যওয়া যায় জসিদি। হাতিয়া পটনা পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, টাটা দানাপুর এক্সপ্রেস, রাঁচি বৈদ্যনাথ ধাম এক্সপ্রেস, দুর্গ টাটা দানাপুর সাউথ বিহার এক্সপ্রেসহাতিয়া গোরক্ষপুর মৌর্য এক্সপ্রেস, টাটা কাটিহার/ছাপড়া এক্সপ্রেস, সাপ্তাহিক পুরী পটনা বৈদ্যনাথ ধাম এক্সপ্রেস, টাটা পটনা এক্সপ্রেস, টাটা গোরক্ষপুর এক্সপ্রেসও য়াচ্ছে জসিদি হয়ে।
জসিডিতে হোটেলের অভাব আছে। খোলামেলা প্রকৃতির মাঝে ব্যাক্তিগত বাড়ি, ঘর ভাড়া নিয়ে স্বাস্থ্যান্বেষীদের থাকাই শ্রেয়। আর আছে পান্থ নিবাস বা স্বাস্থ্যোদ্ধার কেন্দ্র জসিডি আরোগ্য ভবন, কটেজধর্মী ঘর, রান্নার ব্যবস্থাও আছে। রান্নার ব্যবস্থা মেলে ২৫০-৫০০ টাকায়। রেল স্টেশনের বাইরে দু’টো হোটেল আছে, আর আছে রমণীয় বাগিচার মাঝে জাপানি কৃষ্টিতে সৃষ্টি গার্ডেন রিসর্ট। এ ছাড়া আরও হোটেল রয়েছে চার দিকে।
শিমুলতলার মতো জসিডির পর্যটক আকর্ষণ উল্লেখযোগ্য না হলেও জল হাওয়ার গুণে স্বাস্থ্যান্বেষীদের কাছে আদর্শ জায়গা। জসিডি শিল্পকেন্দ্রিক শহর। আর আছে ৭৫০ রকমের গোলাপের বাগিচা সিনহা গার্ডেন, রতন পাহাড়, নবাব কুটির, বরদা কুটির, ডাবর ফ্যাক্টরি, পাগলাবাবার আশ্রম, রিখ্যা যোগ আশ্রম, হিল ভিউ, কালীবাড়ি ও দিঘাড়িয়া পাহাড়। শনি মঙ্গলের রোহিণী মেলা অর্থাৎ হাটের আকর্ষণও কম নয় জসিডি ভ্রমণে। স্বদেশি কালে বিপ্লবীদের ঘাঁটি ছিল জসিডি অরণ্য। দেওঘরের সংযোগকারী রেল স্টেশনও এই জসিডি জংশন।
সুত্রঃ পোর্টাল কনটেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/3/2020