ডুয়ার্সের গরুমারা ও চাপরামারি অরণ্যের প্রধান প্রবেশদ্বার লাটাগুড়ি। পিচ রাস্তার পাশেই জঙ্গল লাগোয়া নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার। এখানে ডিয়ার পার্ক ও ছোটখাটো প্রদর্শনী আছে। লাগোয়া বন বিভাগের অফিস থেকে কাছাকাছির বিভিন্ন জঙ্গল-বিটে ঢোকার অনুমতিপত্র ও গাইড পাওয়া যায়। এখান থেকে গরুমারা, চাপরামারি, খুনিয়া, চুকচুকি, মেদলা অরণ্যে ঢোকার পারমিট সংগ্রহ করতে হবে। চালসা থেকেও খুনিয়া ও চাপরামারি অরণ্য দর্শনের পারমিট মেলে। প্রতি বৃহস্পতিবার অরণ্য বন্ধ থাকে। শিলিগুড়ি থেকে লাটাগুড়ির দূরত্ব ৮০ কিমি। লাটাগুড়ি থেকে ময়নাগুড়িতে এসে ৩ কিমি দূরে জল্পেশ শিবমন্দিরটিও দেখে নেওয়া যায়।
থাকা – লাটাগুড়ি বাজার ও প্রকৃতি বীক্ষণকেন্দ্রর কাছাকাছি অঞ্চল জুড়ে বেশ কিছু হোটেল ও রিসর্ট আছে। অরণ্য হোটেলটির বুকিং পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দফতর থেকে করা যাবে।
চালসা থেকে ১০, লাটাগুড়ি থেকে ১৪ কিমি দূরে পাহাড়-জঙ্গল আর মূর্তি নদী নিয়ে অবকাশ যাপনের মনোরম ঠিকানা মূর্তি। নদীর ধারে ছড়িয়ে আছে গ্রাম। মূর্তি নদীর ব্রিজ পেরিয়ে খুনিয়া মোড়। রাস্তার দু’পাশ জুড়ে ঘন জঙ্গল। চেকপোস্ট থেকে কিছুটা এগোলেই চন্দ্রচূড় ওয়াচটাওয়ার। ঘাসজমিতে হাতি ও বাইসনের দেখা মেলে।
থাকা – মূর্তি নদীর ধারে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বনানী বাংলো। মূর্তির কাছে কালীপুরে গরুমারা এলিফ্যান্ট ক্যাম্প ও গরুমারা ইকো ভিলেজ। এই দু’জায়গার বুকিং হয় লাটাগুড়ির নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার থেকে।
লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিমি দূরে চাপরামারি অভয়ারণ্য। জঙ্গলের গভীরে বনবাংলো, বনবাংলোর সামনে বনাঞ্চল, জলাজমি, সবুজ ঘাসের চারণভূমি। এই ঘাসজমিতেই হাতি, গাউরের দল আসে। চাপরামারির অরণ্যে শতাধিক প্রজাতির অর্কিড পাওয়া যায়। গাউর, হাতি ছাড়াও হরিণ, নীলগাই, শম্বর প্রভৃতি নানান জীবজন্তু ও নানান রকম পাখির দেখা মেলে এই অরণ্যে।
থাকা – চাপরামারি অরণ্যের ভেতরে থাকার একমাত্র জায়গা বন বিভাগের বাংলো। চাপরামারি বন-লাগোয়া পানঝোরা বনবস্তিতে চাপরামারি ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্প। দু’জায়গায় থাকার বুকিং-ই জলপাইগুড়ির অরণ্য ভবন থেকে করা যাবে। লাটাগুড়ির নেচার ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার থেকেও ওয়াইল্ডারনেস ক্যাম্পের বুকিং করা যায়।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/14/2020
পৃথিবী বিখ্যাত মোমের জাদুঘর মাদাম তুসো সম্পর্কে কি...