পাঁচটা দিন সময় থাকলে বেরিয়ে পড়ুন সামসিং, সুনতালেখোলা ও রকি আইল্যান্ডের উদ্দেশে। ঘুরে, গা এলিয়ে দিনগুলি কেটে যাবে বেশ।
কেন যাবেন: ডুয়ার্সের সুনতালেখোলা যেতে আপনাকে পেরোতে হবে চা বাগান। মেটেলি থেকে গোটা রাস্তাটা গিয়েছে চা বাগানের ভিতর দিয়ে। চারদিকে সবুজ শান্ত সমুদ্রসম তার বিস্তার। চা গাছের ওপর ছায়া দিচ্ছে বড় বড় বৃক্ষ। তার ডালে-ডালে খেলে বেড়ায় পাখির দল। চা বাগানের শেষে দেখা যায় ভুটান পাহাড়। তার পাদদেশে ছোট ছোট গ্রাম। সুনতালেখোলা থেকে সামসিং ন'কিলোমিটার। সামসিংয়ের দিক থেকে গেলে সুনতালেখোলার আগে পড়বে বন দফতরের চেকপোস্ট। চেকপোস্ট পেরিয়ে আরও কিছুটা গেলে সুনতালেখোলা নেচার ক্যাম্প। চারদিকে জঙ্গল। পাখি আর প্রজাপতির বাহারি মেলা। শীতকালে গেলে চোখে পড়বে কমলালেবু।
সুনতালেখোলা পেরিয়ে আরও তিন কিলোমিটার এগিয়ে রকি আইল্যান্ড। পাথুরে পথে দুলে দুলে চলে গাড়ি। মূর্তি নদীর ধারে পাহাড় আর জঙ্গল নিয়ে রকি আইল্যান্ড। যদি হাঁটাহাঁটির ইচ্ছে থাকে, তা হলে সেখান থেকে গাইড নিয়ে চলে যেতে পারেন নাগাভ্যালি। ৫ কিমি দূরে ফুলে ফুলে সেজে থাকা মোহময়ী সুন্দরী গ্রাম। আরও এগিয়ে পথ গিয়েছে আরণ্যক সাকাম-এ।
কীভাবে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে প্রথমে পৌঁছতে হবে নিউ মাল জংশন। ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস যাচ্ছে নিউ মাল জংশন। সেখান থেকে মেটেলি হয়ে সামসিং ৩০ কিলোমিটার। সামসিং থেকে সুনতালেখোলা যাওয়া যায়। সুনতালেখোলাতে নদীর ধারে ক্যাম্প ফায়ার করা যায়।
কোথায় থাকবেন: সামসিং, সুনতালেখোলা, রকি আইল্যান্ড যে কোনও একটি জায়গায় থাকলে তিনটি জায়গাই ঘুরে নেওয়া যায়। সামসিং ও সুনতালেখোলায় পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের বাংলো রয়েছে। এছাড়া সুনতালেখোলায় রয়েছে ওয়াইল্ডারনেস রিসর্ট। রকি আইল্যান্ডে বেসরকারি টেন্ট আর কটেজ ব্যবস্থা আছে।
মনে রাখবেন: সুনতালেখোলাতে রাত্রিবাসের অনুমতি থাকলে তবেই চেকপোস্ট থেকে গাড়ি নিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পাওযা যায়। নইলে পায়ে হেঁটে ঘুরতে হবে সুনতালেখোলা।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/6/2020