অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

বেলুড় মঠ

বেলুড় মঠ

মন্দির, মসজিদ ও গির্জা -- তিন ধর্মের উপাসনাস্থলের গঠনশৈলির মিশ্রণে তৈরি এই অসাধারণ মন্দিরটি। এটি সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদেরও একটি অনুপম নিদর্শন। মন্দিরের ভিতরে বিশাল উপাসনা কক্ষ। বেদীর উপর উপবিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণের শ্বেতমর্মর মূর্তি।

স্বামী বিবেকানন্দ – মাত্র ৩৯টা বছর ছিল তাঁর পরমায়ু। এই ক্ষণজন্মা মানুষটি সারা বিশ্বে কী ব্যাপক আলোড়নই না তুলে দিয়ে গেলেন। ধর্মাচরণকে নতুন ভাবে দেখতে শেখালেন, নতুন ভাবে করতে শেখালেন। গঙ্গার পশ্চিম কূল, বারাণসী সমতুল। এই সেই জায়গা, যেখানে শ্রীরামকৃষ্ণের পূত অস্থি কাঁধে করে বয়ে এনে প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী বিবেকানন্দ। গোড়াপত্তন হল বেলুড় মঠের। স্বামী বিবেকানন্দের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৩৬-এ। ১৯৩৮ সালের ১৪ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়। কালক্রমে গড়ে উঠল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মূল দফতর। এই প্রতিষ্ঠান স্বামী বিবেকানন্দের সমাজচিন্তাকে ছড়িয়ে দেওয়া ও আধ্যাত্ম-চর্চার পবিত্র কেন্দ্র হিসেবে বাঙালি সমাজ জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই মঠের ধারেই এক দু’তলা বড়িতে স্বামী বিবেকানন্দ থাকতেন। এই বাড়িতেই তিনি দেহ রাখেন। বিবেকানন্দর ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখতে বহু মানুষ এই বাড়িটিতে যান। ফলে একে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। গঙ্গার পাড় ধরে দক্ষিণ দিকে এগোতে একে একে পড়ে ব্রহ্মানন্দ মন্দির, মা সারদার মাতৃমন্দির, স্বামীজির মন্দির ও মহারাজদের সমাধি।

রামকৃষ্ণের স্মৃতিধন্য এই মন্দিরের শোভা দেখতে দেশবিদেশ থেকে বহু পর্যটক এখানে আসেন।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 9/28/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate