শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব ও সারদা মায়ের স্মৃতিবিজড়িত এই দু’টি স্থান হপ্তাশেষের ছোট্ট বেড়ানোর জন্য খুব সুন্দর। কলকাতা থেকে ১০৪ কিমি আর বাঁকুড়া থেকে ৮৫ কিমি দূরে কামারপুকুরের অবস্থান। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ফেব্রুয়ারি কামারপুকুরে রামকৃষ্ণদেবের জন্ম হয়। ১৯৫১ সালে জন্মভিটাতে রামকৃষ্ণদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। সাদা মার্বেল পাথরে ঠাকুরের অনুপম মূর্তি। শ্রীরামকৃষ্ণ মঠের প্রবেশদ্বারের কাছে যোগী শিব মন্দির। মঠের বিপরীতে হালদারপুকুর। ডান দিকে লাহাবাবুদের বাড়ি ও পাঠশালা, গোপেশ্বর শিব মন্দির, ভিক্ষামাতা ধনী কামারনীর বাড়ি ইত্যাদি দর্শনীয়। কামারপুকুর চটি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বঙ্কিমচন্দ্রের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের পটভূমি গড় মান্দারনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পিকনিক স্পট গড় মান্দারন পর্যটন কেন্দ্র। পথে পড়বে আমোদর নদী। কামারপুকুর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে চাঁদুর শালবন। কামারপুকুর থেকে ৬ কিমি দূরে সারদা মায়ের জন্মস্থান জয়রামবাটি। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর সারদামণির জন্ম হয়। তাঁর জন্মভিটায় ১৯২৩ সালে মাতৃমন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরে রয়েছে মায়ের পাথরের মূর্তি। মন্দিরের বিপরীতে মায়ের বাসগৃহ। লাগোয়া পুন্যিপুকুর। পুকুরের পাড়ে কুলদেবতা সুন্দরনারায়ণ ও শীতলাদেবীর মন্দির। ১ কিমি দূরে রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ মিশন প্রতিষ্ঠিত বিবেকানন্দ মঠ বা নরনারায়ণ মন্দির। কামারপুকুরে শ্রীরামকৃষ্ণ মঠের যাত্রীনিবাসে থাকা যায়। ১ কিমি দূরে জেলা পরিষদের বাংলো। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বেসরকারি লজ রয়েছে। জয়রামবাটিতেও বেসরকারি ট্যুরিস্ট লজ রয়েছে। ফাল্গুন মাসে রামকৃষ্ণদেবের আবির্ভাব তিথিতে ১৫ দিন ধরে মেলা চলে কামারপুকুরে। প্রতি বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় জয়রামবাটিতে পালিত হয় মন্দির প্রতিষ্ঠা দিবস।
হাওড়া থেকে ট্রেনে তারকেশ্বর এসে সেখান থেকে বাসে কামারপুকুর-জয়রামবাটি আসা যায়। ট্রেনে আরামবাগ এসে সেখান থেকেও বাসে আসা যায় কামারপুকুর-জয়রামবাটিতে। আরামবাগ থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে কামারপুকুর। তবে আরামবাগ থেকে বাস ধরতে হলে আরামবাগ স্টেশন থেকে অটোয় বাসস্ট্যান্ডে আসতে হবে। সরাসরি বাসেও কলকাতা থেকে যাওয়া যায়।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/27/2020
শ্রীরামকৃষ্ণ ও সারদা মায়ের স্মৃতিবিজড়িত একটি ছোট...