রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এমন সব জায়গাই বাঙালির পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র।
কালিম্পং- শিলিগুড়ি ৩১ এ জাতীয় সড়কে রাম্বি থেকে ডান হাতে ৯ কিলোমিটার গিয়ে পাহাড়ের উপত্যকার খাঁজে আর এক রমণীয় পাহাড়ি শহর মংপু। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত মংপু ভূগোল বইতেও ঠাঁই করে নিয়েছে সিঙ্কোনা চাষের জন্য। ৩৭৫৯ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট পাহাড়ি শহর। দূরত্ব কালিম্পং থেকে ৩৮, দার্জিলিং থেকে ৫৭ ও শিলিগুড়ি থেকে ৪৯ কিমি। গ্যাংটক থেকেও বাস যাচ্ছে মংপুতে। এইখানেই মৈত্রেয়ী দেবীর বাড়িতে বসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর বিখ্যাত ‘জন্মদিন’ কবিতাটি লেখেন। আজ সেখানে রবীন্দ্র স্মারক ভবন’ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের মংপুতে কাটানোর দিনগুলি নিয়ে মৈত্রেয়ী দেবী রচনা করেন ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’।
মংপু থেকে ১৩ কিমি নিচুতে শাল, সেগুন, অর্জুনে ছাওয়া পাহাড় থেকে নেমেছে কালিঝোরা। ধ্যানমগ্ন পাহাড় আর অরণ্য, ধারা নামছে ৫৫০ ফুট উঁচু থেকে। সেই ঝোরার নামেই জায়গার নাম। বয়ে চলেছে তিস্তা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক শোভার জন্যই প্রশস্তি কালিঝোরার। কালিঝোরা বাজার থেকে খাড়াই পথ গিয়েছে ১৬ কিমি দূরে ৪০০০ ফুট উঁচু লাটপাঞ্চারে। লেপচা ভাষায় লাট মানে বেত, আর পাঞ্চার হচ্ছে জঙ্গল। অর্থাৎ বেতের জঙ্গল লাটপাঞ্চার। সূর্যালোকে ক্ষণে ক্ষণে নাকি সাজবদল হয় লাটপাঞ্চারের। আরও এগিয়ে মহানন্দা অভয়ারণ্য। লাটপাঞ্চারের ২ কিমি দূরে সনসেরিদাঁড়া ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও অন্যান্য তুষারশৃঙ্গ নয়নাভিরাম। মংপু থেকে মংপু- পেশক- তাগদা-ঘুম পথের তাগদা থেকে ৩ কিমি দূরে পাহাড়ে ঘেরা সবুজ ইকো ভিলেজ তিনচুলে, এক নবতম পর্যটন কেন্দ্র। এখান থেকে হিমালয়ের অপরূপ শোভা প্রত্যক্ষ করা যায়। তিনচুলের সানরাইজ পয়েন্ট থেকে পুবে কালিম্পং, পশ্চিমে মহানন্দা অভয়ারণ্য, এমনকী শিলিগুড়িও, উত্তরে টাইগার হিল আর দক্ষিণে নামচি দৃশ্যমান। থাকা – মংপুতে পি ডব্লু ডি ও সিঙ্কোনা প্ল্যানটেশনের বাংলো আছে। কালিঝোরায় পি ডব্লু ডি বাংলো আছে। লাটপাঞ্চারে আছে লাটকুঠি বনবাংলো। তিনচুলেতে বেসরকারি ব্যবস্থা।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020