পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড, এই তিন রাজ্যের সীমানায় সুবর্ণরেখা নদীর ধারে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের জন্য সুন্দর ভাবে সেজে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরের হাতিবাড়ি। পাহাড় আর পাহাড়, মাঝে আরণ্যক পরিবেশ আর সুবর্ণরেখা নদীর ছোঁয়ায় অনবদ্য এই হাতিবাড়ি। জেলেনৌকায় চেপে বিহার করা যেতে পারে সুবর্ণরেখার বুকে। হাতিবাড়ির রূপ এতোটাই সুন্দর যেন মনে হবে প্রকৃতি তার সবটুকু সৌন্দর্য অকৃপণ ভাবে ঢেলে দিয়েছে এখানে। এরই মাঝে শাল, পিয়াল, সেগুন, আকাশমণি আর ইউক্যালিপটাসের কোনায় কোনায় চেনা অচেনা পাখপাখালির কলকাকলি পরিবেশকে আরও মনোরম করে তুলেছে এই হাতিবাড়িতে। হাতের মুঠোয় এই পর্যটন কেন্দ্র। কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটানোর এক আদর্শ পরিবেশ।
সীমান্ত এলাকা চিচিড়ায় চেকপোস্ট বসেছে দোকানপাটের ভিড়, গাড়িঘোড়ার জটলা দিনরাত জুড়ে। বারবিল ও কেওনঝড়ের বাসও যাচ্ছে ঝাড়গ্রাম হয়ে কলকাতা থেকে ঘন্টা কয়েকে হাতিবাড়ি অর্থাৎ জামসোলা পেরিয়ে ওড়িশা রাজ্যের নানানদিকের। বাস আসছে ১০০ কিমি দূরের খক্ষপুর, ৬২ কিমি দূরের ঝাড়গ্রাম থেকেও হাতিবাড়ি। কলকাতা থেকে ঘঐ ৬ খক্ষপুর ১৩২, লোধাশুলি ১৬৬, চিচিড়া ১৮৪, জামসোলা ২০৭, রাংরিপোশি ২৩০ কিমি দূরে। বাংলা ঝাড়খণ্ডের চেকপোস্ট চিচিড়া হলেও ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার চেকপোস্ট জামসোলার রমরমা। দোকানপাট, ধাবার হোটেল মেলে জামসোলায় । জামসোলা থেকে ২ কিমি গিয়ে হাতিবাড়ি। বাঁয়ে মোরাম বিছানো পথে ৩ কিমি যেতে মনোরম পরিবেশে ২ ঘর তাঁবুর হাতিবাড়ি ফরেস্ট রেস্ট হাউস। হাতিবাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার জন্য ঢুকতে হয় দুই প্রতিবেশী রাজ্যে। হাতিবাড়ি যেতে হবে বাসে বা গাড়িতে এবং পেরোতে হবে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ডের চেকপোস্ট চিচিড়া, তার পর ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার চেকপোস্ট জামসোলা। হাতিবাড়ি যেতে হবে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে --- খড়গপুর-লোধাশুলি-চিচিড়া-জামসোলা হয়ে। জামসোলার দূরত্ব ২০৭ কিমি। এখান থেকে ২ কিলমিটার যেতে হাতিবাড়ি। আর সেখান থেকে বাঁয়ে ৩ কিমি মোরাম বিছানো পথে গেলে পড়বে হাতিবাড়িতে থাকার এক মাত্র জায়গা বন বিভাগের বাংলো। এটি কিন্তু হাতিবাড়ির এক বিউটি স্পট। বাজারহাট-দোকান-ধাবা জামসোলায়। কলকাতা থেকে বরাবিল, বাংরিপোশি, কেওঞ্ঝড়ের বাস যায় জামসোলা ছুঁয়ে। সেই বাসে জামসোলা এসে আবার বাস। খড়গপুর, ঝাড়গ্রাম থেকে বাস যায় হাতিবাড়ি জামসোলা দিয়ে।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019