(২৭ মার্চ ১৯১৪ – ২৫ জানুয়ারি ১৯৮৫)
অজয় কর ১৯৪৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত ২৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ১৯৬১ সালে নির্মিত সপ্তপদী ৩য় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। অজয় করের ক্যামেরা ব্যবহারের মুন্সিয়ানা ও প্রযুক্তির ব্যবহার আজও বাংলার চলচ্চিত্র দুনিয়ায় কিংবদন্তি হয়ে আছে। বাংলা ছবির তথাকথিত ‘স্বর্ণযুগ’ যাঁরা নির্মাণ করেছিলেন তাঁদের অন্যতম তিনি। তাঁর কেরিয়ারের শুরুটা ছিল ক্যামেরার কাজ দিয়ে। কানন দেবী এবং হরিদাস ভট্টাচার্য প্রতিষ্ঠিত শ্রীমতী পিকচার্সের ছবিগুলির পরিচয়লিপিতে চিত্রশিল্পী হিসেবে তাঁর নাম থাকত। পরে শুরু করলেন সিনেমা পরিচালনা, নিজের নামে নয়, সব্যসাচী ছদ্মনামে। সব্যসাচী নামেই পরিচালনা করেন ‘অনন্যা’, ‘বামুনের মেয়ে’, ‘মেজদিদি’। তার পর চলে যান দক্ষিণ ভারতে, সিনেমাটোগ্রাফারের কাজ নিয়ে। অজয় কর নামে প্রথম ছবি ‘জিঘাংসা’। কেবল জনপ্রিয় ছবির তালিকায় কয়েকটি নাম সংযোজন করতে চাননি অজয় কর। তাই, ‘সাত পাকে বাঁধা’র মতো ছবি করতে সাহস করেছিলেন সুচিত্রা সেনকে নিয়ে, যে ছবি সুচিত্রার চেনা বক্স অফিসে পরীক্ষিত স্টাইলটা ভাঙতে চেয়েছিল। আর সেটাই ছিল সুচিত্রার একমাত্র বিদেশে পুরস্কৃত ছবি। অথচ অজয় কর বাংলার চলচ্চিত্র চর্চায় বিশেষ ঠাঁই কোনও দিনই পেলেন না। তপন সিংহ তাঁর আত্মজীবনী ‘মনে পড়ে’-তে লিখেছেন, ‘ভাবতে অবাক লাগে যে অজয় করের মতো চিত্রশিল্পী এবং চলচ্চিত্রনির্মাতাকে নিয়ে আমাদের দেশে আলোচনা হয় না।’
১) গৃহপ্রবেশ (১৯৫৪): সুচিত্রা, উত্তম, ২) সাজঘর (১৯৫৫): সুচিত্রা, বিকাশ, ৩) হারানো সুর (১৯৫৭): সুচিত্রা, উত্তম, ৪) সপ্তপদী (১৯৬১): সুচিত্রা, উত্তম, ৫) সাত পাকে বাঁধা (১৯৬৩): সুচিত্রা, সৌমিত্র, ৬) দত্তা (১৯৭৬): সুচিত্রা, সৌমিত্র, ৭) শ্যামলী (১৯৫৬): উত্তম, কাবেরী, ৮) বড়দিদি (১৯৫৭): উত্তম, সন্ধ্যারাণী, ৯) খেলাঘর (১৯৫৯): উত্তম, মালা সিনহা, ১০) শুন বরনারী (১৯৬০): উত্তম, সুপ্রিয়া, ১১) কায়াহীনের কাহিনি (১৯৭২): উত্তম, অপর্ণা, ১২) অতল জলের আহ্বান (১৯৬২): সৌমিত্র, তন্দ্রা বর্মণ, ১৩) বর্ণালী (১৯৬৩): সৌমিত্র, শর্মিলা ঠাকুর, ১৪) কাঁচ কাটা হীরে (১৯৬০): সৌমিত্র, লিলি চক্রবর্তী, ১৫) পরিণীতা (১৯৬৯): সৌমিত্র, মৌসুমী, ১৬) মাল্যদান (১৯৭১): সৌমিত্র, নন্দিনী মালিয়া, ১৭) নৌকাডুবি (১৯৭৯): সৌমিত্র, অপর্ণা।
সূত্র: natunbarta.com
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/20/2020