কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একাধারে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তাঁর প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ২০১১ সালের ‘উড়ো চিঠি’। এর পর ২০১৩ সালে তিনি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নির্মাণ করেন।
কমলেশ্বর একজন ডাক্তার। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি অন্য ক্ষেত্রে চলে আসেন এবং বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করা শুরু করেন।
ডক্টর প্রিফিক্সটা দশ বছর প্র্যাকটিস করার পর সেই ২০০৩ সালেই ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছেন ৪৩ বছরের কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। কোঠারি মেডিকেল সেন্টার, একবালপুর নার্সিং হোম ঘুরে শেষ চাকরি করেছেন ইইডিএফ-এ। তার পর ক্যালকাটা মেডিকাল কলেজের ছাত্র সোজা মুম্বইতে বিজ্ঞাপনের জগতে। কমলেশ্বরের কথায়, “চাকরি ছেড়ে মুম্বই চলে গিয়েছিলাম বিজ্ঞাপনের ছবিতে অমিত সেনকে অ্যাসিস্ট করতে। বাড়ির সবাই তো চমকেই গিয়েছিল। ডাক্তারি ছেড়ে ফিল্ম মেকিং করতে চাই শুনে লোকে তো চমকাবেই। চার বাংলোতে থাকতাম। অ্যালপেনলিবে, ট্রপিকানা, সোনি ব্রাভিয়ার অ্যাড বানাতাম অ্যাসিসট্যান্ট হয়ে। একবার তো তাজা টি-এর বিজ্ঞাপনে স্যাফ আলি খানের সঙ্গেও শ্যুটিং করেছিলাম। তার পর কলকাতায় চলে এলাম ফিল্ম বানাব বলে।”(আনন্দবাজার পত্রিকা)
তিনি এক জন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি অমিত সেনগুপ্ত পরিচালিত নটবর নট আউট চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লেখেন। তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ২০১১ সালের উড়ো চিঠি। এতে ১২টি ভিন্ন গল্পের ওপর ১২টি বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরের চলচ্চিত্রটি ২০১৩ সালে মুক্তি পায়। বিখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটক-এর জীবনীনির্ভর এই চলচ্চিত্রটিও আগেরটির মতো বক্স অফিস হিট না হলেও অত্যন্ত প্রশংসিত হয় এবং বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। তিনি চেতনা নামক থিয়েটার-এর সদস্য।
তাঁর তৃতীয় ছবিটি দারুন সাড়া ফেলে দেয়, যার অনেকটাই কৃতিত্ব হয়তো অমর কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোমাঞ্চকর উপন্যাস চাঁদের পাহাড় অবলম্বনে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস-এর ব্যানারে কমলেশ্বর তৈরি করেন ওই একই নামের ছবি। উপন্যাসের নায়ক শঙ্করের ভূমিকায় অভিনয় করেন টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা দেব। ১৫ কোটি টাকা বাজেটের এই চলচ্চিত্রটি এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক বাজেটের বাংলা চলচ্চিত্র। আফ্রিকায় আউটডোর শুটিং করা এই ছবি দারুন ভাবে বক্স অফিস হিট।
২০১৫-তে কমলেশ্বর ‘মহাভারত’ চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যস্ত।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/28/2020