অমিয়ভূষণ মজুমদার (২২ মার্চ ১৯১৮-৮ জুলাই ২০০১) এক জন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও নাট্যকার। পাবনার এক জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। কোচবিহারের বাসিন্দা এই লেখকের সঙ্গে কোচবিহারের রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপ্ত সাহিত্যিক জীবনে অমিয়ভূষণ বাংলা ভাষায় বহু উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন। আধুনিক বাংলা কথাশিল্পে তাঁকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি রাজনগর উপন্যাসের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পান। এ ছাড়াও তাঁর বিভিন্ন রচনা সমালোচক ও সাধারণ পাঠকদের সমাদর পেয়েছে। দীর্ঘ লেখক জীবনে অমিয়ভূষণ কোনও দিন কোনও প্রতিষ্ঠানের সাহচর্য গ্রহণ করেননি। এ জন্য বহু সৃজনশীল মানুষের কাছে তিনি রোল মডেল হয়ে রয়েছেন। গড় শ্রীখণ্ড, মহিষকুড়ার উপকথা, রাজনগর, মধু সাধুখাঁ, ফ্রাইডে আইল্যান্ডের মতো তাঁর অনবদ্য সৃষ্টিগুলি প্রাথমিক ভাবে লিটল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় এবং খুব কম সংখ্যাক পাঠকের কাছে পৌঁছয়।
অমিয়ভূষণ মজুমদারের প্রথম প্রকাশিত রচনা হল একটি নাটক। দ্য গড অন মাউন্ট সিনাই নামের এ নাটকটি বেরিয়েছিল অধুনালুপ্ত মন্দিরা পত্রিকায়। (অমিয়ভূষণ মজুমদার পূর্ণাঙ্গ রচনাপঞ্জি, বিজ্ঞাপনপর্ব ১০, অক্টো ১৯৮২ – জানু ১৯৮৩, কলকাতা)। অন্যত্র তথ্যাদি এমন ১৯৪৩-এ মন্দিরা পত্রিকায় একটি একাঙ্ক প্রকাশিত হয়েছিল (অমিয়ভুষণ মজুমদার জীবনপঞ্জী, এবং মুশায়েরা, উপন্যাস বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা, কলকাতা)। দ্য গড অন মাউন্ট সিনাই-ইকি ঐ একাঙ্কটি? লিটল ম্যাগাজিনে রচনা প্রকাশ করার এ অভ্যাসটি সারাজীবন ধরেই অমিয়ভূষণে বর্তমান। লিটল ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে তেমনটি হয়েছে। ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর কাছে কিছুতেই তিনি পরিচিত হয়ে উঠতে পারেন নি। যদিও আসল ব্যাপারটি হচ্ছে তিনি তা চানওনি। পরবর্তীতে হাত দেন গল্প রচনায়। ১৯৪৫-এ প্রথম গল্প রচিত হয় যার নাম ছিল ‘প্রমীলার বিয়ে’।
সাহিত্য সৃষ্টি ছাড়াও অমিয়ভূষণ এক জন চমৎকার তৈলচিত্রকরও ছিলেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতেও তাঁর দখল ছিল।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/18/2020