সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের (২৬ এপ্রিল, ১৯২৪ - ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫) আদি নিবাস ছিল দিয়া কৃষ্ণনগর। ১৯৪৮ সালে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি ই। ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া) থেকে ফেলো। ১৯৮২ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। নিত্যনতুন বিষয়বস্তু নির্বাচন তাঁর রচনাশৈলীর এক বৈশিষ্ট্য। তাঁর বেশ কিছু বই থেকে সিনেমা তৈরি হয়েছে।
নারায়ণ সান্যাল বহু বই লিখেছেন। নানা বিষয়ে বই লিখেছেন। শিশু সাহিত্য থেকে সায়েন্স ফিকশন, শিল্প সমালোচনা, স্থাপত্য বিষয়ক গ্রন্থ, মনস্তত্ত্ব, প্রযুক্তি, উদ্বাস্তু সমস্যা, ইতিহাস,পশু পাখি বিষয়ক বই থেকে সামাজিক উপন্যাস পর্যন্ত ছিল তাঁর অবাধ বিস্তার।
এই প্রতিভাবান লেখক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আলো ছায়া নিয়ে লিখতে ভালবাসতেন। আদিম মানুষ থেকে মানুষ সভ্য হয়ে ওঠার ঘটনাক্রম নিয়ে তাঁর কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা। এ ছাড়া শুক্র গ্রহ অভিযান নিয়ে আর্থার সি ক্লার্কের 2001. A Space Odyssey থেকে অনুপ্রাণিত তাঁর বিখ্যাত রচনা হ্যালের যন্ত্র-না। তাঁর সব চেয়ে বিখ্যাত রচনা আমেরিকার প্রথম পরমাণু বোমা তৈরির ম্যানহাটন প্রজেক্ট নিয়ে লেখা ‘বিশ্বাসঘাতক’। এটিও একটি বিদেশি উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত। তিনি বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা কাহিনি লিখেছেন। যা কাঁটা সিরিজ নামে পরিচিত। তবে বলে রাখা উচিৎ নারায়ণ সান্যাল টুকতেন না। তিনি মূল বিষয়টি নিতেন এবং সেটিকে বাংলার পরিবেশের উপযুক্ত করে তৈরি করতেন। সর্বত্র তিনি সূত্র জানিয়ে দিতেন। তাঁর সমসাময়িক লেখকরা যখন আবেগ-নির্ভর কথাসাহিত্য সৃষ্টিতে নিয়োজিত থেকেছেন, সে সময় নানা ধারার রচনা সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে এই ক্ষুরধার লেখনির অধিকারী মানুষটি বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান দখল করে নিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এই বহুমুখী প্রতিভার জন্য স্বতন্ত্র আসন চিরকাল থাকবে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020