নাসরিন জাহানের জন্ম ১৯৬৪ সালের ৫ মার্চ ময়মনসিংহের হালুয়াহাট গ্রামে। তাঁর বাবার নাম গোলাম আম্বিয়া ফকির, মা উম্মে সালমা। নাসরিনের স্বামীর নাম আশরাফ আহমেদ, কন্যা অর্চি অতন্দ্রিলা।
গত শতকের আশির দশকের শুরু থেকে ছোট গল্পের দুনিয়ায় তাঁর প্রবেশ। পাঁচটি সফল গল্পগ্রন্থের পর তিনি উপন্যাস লিখতে শুরু করেন। প্রতিটি উপন্যাসেই নাসরিনের অভাবনীয় সফলতা আসে।
তিনি বাংলা সাহিত্যের সেই সব বিশেষ লেখকের এক জন , যিনি দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতায় বিরাজ করতে পেরছেন। এক দিকে ধ্রুপদী অন্য দিকে আধুনিকতা তাঁর সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। শিল্পী নাসরিনের প্রবল সংবেদন তাঁর নান্দনিক নিরপেক্ষতাকে কখনও ব্যাহত করতে পারেনি। তাঁর গদ্য বাংলা সাহিত্যের বিস্তীর্ণ ভূমিতে বিশিষ্টতার দাবি জানায়। ‘উড়ুক্কু’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে পাঠকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন নাসরিন জাহান। উড়ুক্কু ছাড়াও ক্রুশ কাঠের কন্যা, সোনালী মুখোশসহ তার বেশ কিছু উপন্যাস পেয়েছে পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা। উপন্যাসের পাশাপাশি গল্পকার হিসেবেও নাসরিন জাহানের যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। বর্তমানে তিনি পাক্ষিক অন্যদিন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে কর্মরত। তিনি উড়ুক্কু উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন ফিলিপ্স সাহিত্য পুরস্কার, পাগলাটে এক গাছ বুড়ো উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, সীতাকুণ্ড সাহিত্য পুরস্কার, খুলনা রাইটার্স ক্লাব পুরস্কার, সমগ্র সাহিত্যের জন্য বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার। তিনি পাক্ষিক অন্যদিন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক।
কথা সাহিত্যের পাশাপাশি তিনি নাট্য সাহিত্যের সঙ্গেও গভীর ভাবে সম্পৃক্ত। নাসরিন জাহানের বিখ্যাত বইগুলির মধ্যে রয়েছে --- লি, পুরুষ রাজকুমারী, সোনালি মুখোশ, উড়ুক্কু, শঙ্খনর্তকী, দৈত্য আর সাহসী ছেলের গল্প, সম্ভ্রম যখন অশ্লীল হয়ে ওঠে, চন্দ্রলেখার জাদুবিস্তার প্রভৃতি।
নিজের লেখার ভাষা সম্পর্কে তাঁর মত, ‘অনেকের কাছে আমার লেখার ভাষা জটিল বলে মনে হয়। কিন্তু আমি এভাবেই লিখি। আমার পাঠকরাও আমাকে এভাবে গ্রহণ করতে অভ্যস্ত।’ বাংলাদেশের পাঠক সমাজ নাসরিনের নতুন উপন্যাসের অপেক্ষায় থাকেন প্রতি বছর।
সূত্র: porua.com.bd
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/18/2020